উত্তরঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬১ ধারা মূলে সাক্ষীর একটি নমুনা জবানবন্দী নিম্নেপ্রদত্ত হলোঃ (পিআরবি বিধি ২৬৫)
ঢাকা জেলার সাভার থানার মামলা নং-১০ তারিখ- ১১/০৪/১৬ ইং, ধারা-৩০২/৩৪ দন্ডবিধি সংক্রান্তে সাক্ষী আবুল হাসেম (৩৫), পিতা- লিয়াকত হোসেন, গ্রাম- সোনাপুর, থানা- সাভার, ঢাকা জেলা, পেশা- চা দোকানদার এর জবানবন্দীঃ
উপরে আমার নাম ঠিকানা সঠিক লেখা আছে। আমি তদন্তকারী অফিসারের জিজ্ঞাসার আলোকে এই মর্মে আমার বক্তব্য প্রদান করছি যে, ঘটনার দিন অর্থাৎ ১১/০৪/১৬ ইং তারিখ বিকাল বেলায় আমার চায়ের দোকানে চা বানানো ও বেচাকেনার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এই মামলায় খুন হওয়া ব্যক্তি “মাসুম ভাই” বিকাল আনুমানিক ০৫.৩০ টার সময় তার এক বন্ধুসহ আমার দোকানে চা খেতে আসে। তার বন্ধুর নাম আমার জানা নেই। তবে দেখলে চিনব। তারা দুজনেই আমার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিল আর গল্প করছিল। বিকাল আনুমানিক ০৫.৪৫ টার সময় কালো রংয়ের একটি পালসার মোটরসাইকেলে দুইজন ব্যক্তি আসে এবং তারা কোন প্রকার দেরী না করেই মাসুম ভাইয়ের বুকে পিস্তুল দিয়ে দুটি গুলি করে ও দ্রুত মোটরসাইকেলে সটকে পড়ে। গুলি লাগার পর মাসুম ভাই জায়গায় লুটিয়ে পড়েন। আমি ও দোকানে থাকা অন্যান্য কাস্টমাররা দ্রুত দেক্সড়ে যাই। মাসুম ভাইয়ের বন্ধুও এ সময় কাছে দাড়ানো ছিল। সবাই আমরা হতবাক হয়ে যাই। গুলি লাগার সাথে সাথেই তিনি মারা যান। মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ার পর কোন প্রকার কথা বলা বা শব্দ করতে পারেন নাই। মাসুম ভাইয়ের বন্ধু ও আমরা সবাই মাসুম ভাইকে ধরাধরি করে দ্রুত পাশের বাবুল ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যাই। কিন্তু ডাক্তার বলেন উনি বেচে নেই। পরে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খুনিদের মাথায় কোন হেলমেট ছিল না। তাদের এই এলাকায় আগে কখনও দেখি নাই এবং পরিচিত নয়। তবে তাদেরকে দেখলে চিনব। মোটরসাইকেলে বসা পিছনের জন গুলি করেছিল। চালকের মুখে হালকা চাপ দাঁড়ি ছিল।
ইহা আমার জবানবন্দী।
লিপিবদ্ধকারী