Law Guide Of Bangladesh Police

১,০০০ হাজারের বেশি প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাজানো

দন্ডবিধি আইন, Index of Laws, আইনের সূচী, Law Guide Of Bangladesh Police

দন্ডবিধি আইন, Index of Laws, আইনের সূচী, Law Guide Of Bangladesh Police

দন্ডবিধি আইন

 

ধারা

বিবরণ

২১

সরকারী কর্মচারীঃ যিনি সরকারি চাকুরীতে নিযুক্তি বা বেতনভোগী বাকোন সরকারি কর্তব্য সম্পাদন বাবদ ফি বা কমিশনের মাধ্যমে পারিশ্রমিক গ্রহণ করে থাকেন তাকেসরকারি কর্মচারী বলে।

২৩

অবৈধ লাভ/ অন্যায় লাভঃ যে সম্পত্তি আইনত লভ্য নয় সে সম্পত্তিঅন্যায়ভাবে লাভ বা আহরণ করে তাকেই অন্যায় লাভ বলে।

অবৈধ লাভঃ বে আইনীভাবে এরূপ সম্পত্তি লাভ করা, যে সম্পত্তিতেলাভকারী ব্যক্তির কোন আইনানুগ অধকার নাই।

অবৈধ ক্ষতিঃ বেআইনীভাবে এরূপ সম্পত্তির ক্ষতি, যাতে ক্ষতিগ্রস্থব্যক্তির আইনানুগ অধিকার রয়েছে

২৪

অসাধুভাবেঃ কোন ব্যক্তি এক ব্যক্তির অবৈধ লাভ বা অপর কোনব্যক্তির ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে কোন কিছু করলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত কাজ অসাধুভাবে করে বলেগণ্য হবে।

২৫

প্রতারনামূলক ভাবেঃ কোন ব্যক্তি প্রতারনা করারঅভিপ্রায়ে  (তবে প্রকারান্তরে নয়) কিছু করলেউক্ত ব্যক্তি উক্ত কাজ প্রতারণামূলক ভাবে করে বলে গণ্য হবে।

২৭

স্ত্রী, কেরানী বা ভৃত্যের অধিকারভুক্ত সম্পত্তিঃ কোন সম্পত্তিকোন ব্যক্তির পক্ষে তার স্ত্রী, কেরানী বা চাকরের দখলে থাকলেও উক্ত সম্পত্তি উক্ত ব্যক্তিরঅধিকারে রয়েছে বলে গণ্য হবে।

২৮

নকল/ জালঃ কোন ব্যক্তি সদৃশ্যতার সাহায্যে ভ্রান্তি উৎপাদনেরঅভিপ্রায় বা তদ্বারা ভ্রান্তি উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে জেনে এক বস্তুকে অন্যকোন বস্তুরসদৃশ্য করলে সে নকল/জাল করে বলে গণ্য হবে।

বা একটি বস্তুকে অন্য যেকোন বস্তুর সদৃশ্য করে অনুরূপ সদৃশ্যপ্রতারণার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত করার অভিসন্ধি করলে তাকে জাল/নকল বলে। শাস্তিদঃবিঃ৪৮৯

২৯   

দলিলঃ দলিল বলতে যে বস্তুর উপর অক্ষর সংখ্যা বা চিহ্ন দ্বারাকিংবা অনুরূপ একাধিক উপায় প্রকাশিত বা বর্ণিত বিষয়টির সাক্ষ্য বা প্রমাণ হিসেবে উক্ত বস্তুব্যবহৃত হতে পারে তাকেই দলিল বলে।

৩০

মূল্যবান জামানতঃ মূল্যবান জামানত শব্দাবলীদ্বারা এমন একটি দলিলবুঝায়, যা হচ্ছে বা যার তাৎপর্য হচ্ছে উক্ত দলিল বলে কোন আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠিত,সম্পসারিত, হানান্তরিত, সীমিত, বিলুপ্ত বা খারিজ করা হয়। অথবা যা দ্বারা কোন ব্যক্তি এইমর্মে স্বীকার করেন যে, তিনি কোন আইনানুগ দায়িত্বাধীনে রয়েছেন বা তার কোন বিশেষ আইনানুগঅধিকার নেই।

৩১

উইলঃ যেকোন অসিয়তমূলক দলিল বুঝাবে।

অথ্যাৎঃ যে কোন ব্যক্তি মূত্যু পূর্বে তার স্থাবর/অস্থাবরসম্পত্তি উইল করে বিলিবন্দেজের ব্যবস্থা করে যেতে পারেন। যে দলিলে এরুপ বিলিবন্দেজসংক্রান্ত বিষয়াদি লিখিত হয়, তাকেই উইল বলে। উইলের সত্যতা প্রমাণ করার জন্য সাক্ষ্য আইনের৬৭ ও ৬৮ ধারার শর্তাগুলি পালন করতে হয়।

৪০

অপরাধঃ যে সকল কার্য বা কার্যবিরতি যা করলে অথবা না করলে বর্তমান বলবৎ আইনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে সে সকল কার্যগুলিকেই অপরাধ বলে। (ফৌঃ কাঃবিঃ ৪(ণ), নাঃশিঃ ২(ক)

৪৪

ক্ষতিঃ কোন ব্যক্তির দেহ, মন, সুনাম বা সম্পত্তিতে বে-আইনীভাবেকোনরূপ ক্ষতি সাধন করা হলে তাকে ক্ষতি বলা হয়

৫২

সরল বিশ্বাসঃ যথাবিহীত সতর্কতা ও মনোযোগ ব্যতিরেকে কোন কিছু করাহলে বা কোন কিছু বিশ্বাস করা হলে তা সরল বিশ্বাসে বিশ্বাস করা হয়েছে বলে গন্যহবে।

৫২-ক

আশ্রয়ঃ দঃ বিঃ ১৩০ বা ১৫৭ ধারায় যেক্ষেত্রে আশ্রিত ব্যক্তিকেতদীয় স্ত্রী বা স্বামী কর্তৃক আশ্রয় দেয়া হয় সে ক্ষেত্র ব্যতিরেকে আশ্রয় বলতে কোন ব্যক্তিকেআশ্রয়, খাদ্য, পানীয়, অর্থ, পোশাক, যন্ত্রপাতি, গোলাবারুদ বা পরিবহনের মাধ্যমে সরবরাহ করাবা গ্রেফতার এড়ানোর উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে যেকোন মাধ্যমের সাহায্যে সহায়তাকরা।

৫৩

দন্ডসমূহঃ (১) মৃত্যু, (২) যাবজ্জীবন, (৩) বাতিল, (৪) কারাবাস ২প্রকার- ক. সশ্রম খ. বিনাশ্রম (৫) সম্পত্তিবাজেয়াফত, (৬) অর্থদন্ড

৭৫   

বর্ধিত দন্ডঃ পূর্ববর্তী দন্ডের পরে অত্র আইনের ১২শ বা ১৭শঅধ্যায়ের অধীনে কতিপয় অপরাধ করলে অপরাধীকে তখন বর্ধিত দন্ড প্রদান করাহয়ঃ

(ক) যে ব্যক্তি ৩ বৎসর বা তদুর্দ্ধ মেয়াদের যেকোন বর্ণনারকারাদন্ড সহকারে অত্র আইনের ১২শ বা ১৭শ অধ্যায়ের অধীনে কোন অপরাধে দন্ডিত হয়ে উক্ত অধ্যায়সমূহের যেকোনটির অধীনে সে একই মেয়াদের জন্য অনুরূপ কারাদন্ডে দন্ডনীয় যেকোন অপরাধের জন্যদোষী সাব্যস্ত হবে, সে ব্যক্তি পরবর্তী প্রত্যেক অনুরূপ অপরাধের জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ড বাযেকোন বর্ণনার কারাদন্ড যাহার মেয়াদ ১০ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে

 

সাধারণ ব্যতিক্রম(৭৬-৯৫)

৭৬

আইন বলে বাধ্য বা ভুল ধারনাবশতঃ নিজেকে বাধ্য বলে বিশ্বাসকারীব্যক্তি বিশেষ কর্তৃক সম্পাদিত কাজ অপরাধ নয়।

৭৭

বিচার সম্পর্কিত কার্য পরিচালনাকালে বিচারকের কাজ অপরাধ হবেনা।

৭৮

আদালতের রায় বা আদেশের অনুস্মরনের সম্পাদিত কাজ অপরাধ হবেনা।

৭৯

আইন সমর্থিত বা ভুল ধারনাবশতঃ নিজেকে আইন সমর্থিত বলেবিশ্বাসকারী ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত কাজ অপরাধ নয়।

৮০

আইনানুগ কাজ করার সময় দূর্ঘটনা ঘটলে অপরাধ নয়, যদি উক্ত কাজেকোন প্রকার অপরাধমূলক উদ্দেশ্য না থাকে

৮১

সম্ভাব্য ক্ষতিকারক কার্য কিন্তু অপরাধমূলক অভিপ্রায় ব্যতিরেকেএবং অন্যবিধ ক্ষতিনিবারণ কল্পে সম্পাদিত কাজ অপরাধবলা যাবে না  বা ঊবৃহত্তরক্ষতিরোধের জন্য অপেক্ষাকৃত কমক্ষতির কাজ আইনত সিদ্ধ

৮২

৯ বছরের কমবয়স্ক শিশুর কাজ অপরাধ নয়।

৮৩

৯ বছরের অধিক ১২ বছরের কম অপরিনত বুদ্ধি সম্পূন্ন শিশুর কাজঅপরাধ নয়।

৮৪

অপকৃতিস্থ ব্যক্তির কৃত কাজ অপরাধ নয়।

৮৫

অনিচ্ছাকৃত নেশাগ্রস্থ হওয়ার ফলে বিচার বিবেচনায় অক্ষম ব্যক্তিরকাজ অপরাধ নয়।

৮৬

স্বেচ্ছায় মদ্যপান করে মাতাল অবস্থায় কোন অপরাধমূলক কাজ করলেতবে সে ব্যক্তি ৮৪ বা ৮৫ ধারার ব্যতিক্রমের সুযোগ পাবে না বরং উক্ত কাজটি তার নির্দিষ্টজ্ঞান ও অভিপ্রায় ছিল বলে গণ্য হবে, যদি না তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিংবা অজ্ঞাতে তাকে মাতালকরা হয়ে থাকে।

৮৭

মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত ঘটানোর অভিপ্রায় নয় বরং অনুরূপ সম্ভাবনাপূর্নবলে অজ্ঞাত কার্য সম্মতি সহকারে সম্পাদন করা অপরাধ নয়।

৮৮

মৃত্যু ঘটানোর উদ্দেশ্য ব্যতিরেকে এমন কার্য ব্যক্তি বিশেষেরউপকারার্থে সরল বিশ্বাসে সম্মতি সহকারে সম্পাদন করা অপরাধ নয়।

৮৯

১২ বছরের কমবয়স্ক শিশু বা বিকৃত মস্তিক্ত সম্পন্ন ব্যক্তিরউপকার হবে বলে মনে করে সরল বিশ্বাসে অভিভাবক কর্তৃক কৃত কাজ অপরাধ নয়।

৯০

১২ বছরের কম বয়স্ক শিশু বা বিকৃত মস্তিক্ত সম্পন্ন ব্যক্তিকর্তৃক ভীতি বা ভ্রান্ত ধারনায় প্রদত্ত সম্মতি কোন সম্মতি বলে গণ্য হবেনা।

৯১

যে সকল কার্য সাধিত ক্ষতি হতে স্বতন্ত্রভাবে অপরাধ বলে গণ্য সেসকল কার্য ব্যতিক্রমের অন্তর্ভক্ত নয়(৮৭,৮৮,৮৯ ধারা সমূহ প্রযোজ্য নয়)।

৯২

সম্মতি ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তির মঙ্গলার্থে সরল বিশ্বাসে কৃত কাজঅপরাধ নয়।

৯৩

সরল বিশ্বাসে কৃত যোগাযোগ অপরাধ হবে না।

৯৪

যে কাজ করার জন্য ভীতি প্রদর্শন করে বাধ্য করা হয় খুন,প্রাণদন্ডে দন্ডনীয় কিংবা রাষ্ট্ররিরোধী অপরাধ ছাড়া যদি কেউ আসন্ন মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে কোনব্যক্তিকে অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করা হয় তবে তার কোন অপরাধ হবে না।

৯৫

সামান্য ক্ষতিকারক কার্য অপরাধ হবে না।

 

আত্নরক্ষার অধিকার(৯৬-১০৬)

৯৬

ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগকালে কৃত কোন কিছুই অপরাধনয়।

৯৭

শরীর ও সম্পত্তি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত আত্নরক্ষার অধিকার থাকবে(৯৯ ধারায় বিধৃত বিধি নিষেধ সাপেক্ষে)

৯৮

অপ্রকৃতিস্থ ইত্যাদি ব্যক্তির কার্যের বিরুদ্ধেও ব্যক্তিগতআত্নরক্ষার অধিকার থাকবে।

৯৯

যে সকল কার্যের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আত্নরক্ষার অধিকারনাই

পদাধিকার বলে সদবিশ্বাসে সম্পাদনকারী সরকারী কর্মচারী কর্তৃকসম্পাদিত বা সম্পাদনের জন্য উদ্যেগকৃত কোন কার্য, যা আইনের দৃষ্টিতে যথাযথরূপে যুক্তিযুক্তনা হলেও মৃত্যু বা গুরুত্বর আঘাতের আশঙ্কা সৃর্ষ্টি করে না;

ঊপদাধিকার বলে সদবিশ্বাসে সম্পাদনকারী কোন সরকারি কর্মচারীরনির্দেশক্রমে সম্পাদনের জন্য উদ্যেগকৃত কোন কার্য যা উক্ত নির্দেশ আইনের দৃষ্টিতে যথাযথরূপেযুক্তিযুক্ত না হলেও মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি করে না;

অধিকার প্রয়োগের সীমাঃ

যেসকল ক্ষেত্রে সরকারি কর্তৃপক্ষের আশ্রয় লাভের সময় থাকে, সেসকল ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার থাকবে না;প্রতিরক্ষার জন্য যতখানি ক্ষতি করাপ্রয়োজন তার অধিক ক্ষতি পর্যন্ত প্রতিরক্ষার অধিকার কোন অবস্থায় বিস্তৃতনয়।

যে সকল ক্ষেত্রে আত্নরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার নাই।যথা

 ১। আত্মরক্ষার জন্য যতটুকু বল প্রয়োজন করা প্রয়োজন ঠিকততটুকু বল প্রয়োগ করা যাবে। কোন ক্রমেই ইচ্ছাকৃতভাবে তার অধিক বল প্রয়োগ করা যাবেনা।

 ২। উপর্যুক্ত সরকারী কর্তৃপক্ষ যেমন- পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেটেরসাহায্য নেয়ার মত সময় হাতে থাকলে সেখানে আত্মরক্ষার অধিকার থাকে না।

 ৩। সরকারী কর্মচারীর আইনগত কাজের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগতঅধিকার চলবে না। যদি না মৃত্যু বা গুরুতর জখমের আশংকা দেখা দেয়।

 ৪। প্রতিরক্ষার জন্য যতটুকু ক্ষতি করার প্রয়োজনেইচ্ছাকৃতভাবে তার অধিক ক্ষতি করা যাবে না।

১০০

দেহের ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার মৃত্যু ঘটানোর ক্ষেত্রেপ্রযোজ্য হয়ঃ

দেহ রক্ষার ক্ষেত্রেঃ-

১। এরূপ আক্রমন যা এমন যুক্তিসঙ্গত আতঙ্ক সৃষ্টি করে যে,মৃত্যুই হবে অনুরূপ আক্রমনের পরিণতি;

২। এরূপ আক্রমন যা এমন যুক্তিসঙ্গত আতঙ্ক সৃষ্টি করে যে, গুরুতরআঘাতই হবে অনুরূপ আক্রমনের পরিণতি;

৩। ধর্ষণের অভিপ্রায়ে আক্রমণ;

৪। অপ্রকৃতিস্থ কামলালসা চরিতার্থ করণের অভিপ্রায়েআক্রমন;

৫। মনুষ্যহরণ বা অপহরণের অভিপ্রায়েআক্রমন;

৬। এরূপ পরিস্থিতিতে কোন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে আটক করে রাখারঅভিপ্রায়ে আক্রমন, যে পরিস্থিতির জন্য এরূপ আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যে, তারমুক্তির জন্য সে সরকারি কর্তৃপক্ষ সমূহের আশ্রয় নিতে অসমর্থ হবে।

১০১

যে ক্ষেত্রে অনুরূপ অধিকার মৃত্যু ব্যতীত অন্য যে কোন ক্ষতিপ্রযোজ্য হয়।

১০২

দেহের ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকারের আরম্ভ ও স্থিতিকাল

১০৩

সম্পত্তি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগকালেমৃত্যু পর্যন্ত ঘটানো যায়

সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রেঃ-

১.দস্যুতা;

২.রাত্রি বেলায় অপথে গৃহে প্রবেশ;

৩.বাসগৃহ বা সম্পত্তি সংরক্ষনের স্থানরূপে ব্যবহৃত হয়, এমনইমারত, তাবুতে, জাহাজে অগ্নিকান্ডের সাহায্যে অনুষ্ঠিত ক্ষতি;

৪.এইরূপ অবস্থায় চুরি, ক্ষতি বা অনধিকার গৃহে প্রবেশ যাযুক্তিযুক্তভাবে এইরূপ ভয়ের সৃষ্টি করতে পারে যে, অনুরূপ ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকারপ্রয়োগ করা না হলে মৃত্যু বা গুরুতর জখমই হবে তার পরিণতি।

১০৪

যে ক্ষেত্রে অনুরূপ অধিকার মৃত্যু ব্যতীত অন্য যে কোন ক্ষতিপ্রযোজ্য হয়

১০৫

সম্পত্তি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকারের আরম্ভ ওস্থিতিকাল

১০৬

নিরপরাধ ব্যক্তির ক্ষতিসাধন হওয়ার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে মারাত্নকআক্রমনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আত্নরক্ষার অধিকার।

নিরপরাধ ব্যক্তির ক্ষতি হলেও আত্নরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকারপ্রয়োগঃ

দন্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারার শর্তসাপেক্ষে নিরপরাধ ব্যক্তির ক্ষতিহবে জেনেও যুক্তিসঙ্গতভাবে মৃত্যুর আশংঙ্খা সৃষ্টি করে এমন আক্রমনে বিরুদ্ধে আত্নরক্ষারব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগকালে নিরপরাধ ব্যক্তির ক্ষতি হরেও উক্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটানো যাবেএবং এতে কোন অপরাধ হবে না।

উদাহরণঃ ক একটি জনতা কর্তৃক আক্রান্ত হয়। উক্ত জনতা তাকে হত্যাকরার উদ্দ্যেগ গ্রহণ করে। জনতার উপর গুলি না চালালে সে তার আত্নরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকারপ্রয়োগ করতে পারবেন না এবং জনতার সাথে মিশ্রিত ছোট ছোট শিশুদের ক্ষতির ঝুকি না নিয়েও চালানোযাবে না। এক্ষেত্রে গুলি চালিয়ে কোন শিশুর ক্ষতি হলেও কোন অপরাধ হবে না। দন্ডবিধি ১০৬ ধারামোতাবেক সে রেহাই পাবে।

 

৫ম অধ্যায়

সহায়তা(১০৭-১২০)

১০৭

সহায়তা/ প্ররোচনাঃ যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে অপরাধসংঘটনের জন্য সহায়তা করে, পরামর্শ দেয় বা উস্কানি দেয় কিংবা ষড়যন্ত্র করে বা কার্যবিরতিরদ্বারা অপরাধ সংঘটনের পথ সুগম করে দেয় তাকে প্ররোচনা বলে।

১০৮

প্ররোচনা দাতা/ দুষ্কর্মে সহায়তাকারী।

১০৯

দুষ্কর্মে সহায়তার ফলে সহায়তা কাজটি সম্পাদিত হওয়ার ক্ষেত্রেযদি কোন শাস্তিবিধান না থাকে তবে সে ক্ষেত্রে  মূল অপরাধের জন্য যে শাস্তিবিধান আছে দুষ্কর্মে সহায়তাকারীরবেলায়ও একই শাস্তিপ্রযোজ্য।

১১৪

অপরাধ সংঘটন কালে সহায়তাকারীর উপস্থিতি থাকলে এই ধারা মোতাবেকদন্ডিত হবেন।

১১৫

মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধে সহায়তাকরণ;

অপরাধ সংঘটিত না হলে-৭ বছর স/বি.অর্থদন্ড;

অপরাধে সহায়তার ফলে আঘাত ঘটিলে-১৪ বছর ,,  ,,

১১৬

 

কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধে সহায়তাকরনেঃ-

অপরাধটি সংঘটিত না হবার ক্ষেত্রে দীর্ঘতম মেয়াদের একচতুর্থাংশ;

সহায়তাকারী সরকারী কর্মচারী হলে (পুলিশ)অর্ধেক;

১১৮

মৃত্যু/ যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্রগোপনকরণ।

অনুষ্টিত হলে - ৭বছর.অর্থ.উভয় ঊঅনুষ্টিত না হলে- ৩ বছর, অর্থ,উভয়

১১৯

সরকারি কর্মচারী কর্তৃক এমন অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র গোপনকরণ যানিবারণ করা তার কর্তব্য-

১২০

কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্রগোপনকরণ

১২০(ক)

অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্রঃ দুই বা ততধিকব্যক্তি-

(১) কোন অবৈধ কার্য অথবা

(২) অবৈধ নয় এমন কোন কার্য অবৈধ উপায়ে স¤ক্সাদন করতে বা করাতে সম্মত হলে অনুরূপ চুক্তি অপরাধমূলকষড়যন্ত্র বলে অভিহিত হবে

১২০(খ)

অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের শাস্তি

 

৬ষ্ট অধ্যায়

রাষ্ট্রবিরোধী(১২১-১৩০)

১২১

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা, উদ্যেগ, সহায়তা করা -মৃত্যুদন্ড/যাবজ্জীবন/অর্থদন্ড

১২১-ক

১২১ ধারা বলে অপরাধসমূহ সংঘটনের ষড়যন্ত্রকরা-১০বছর/অর্থদন্ড

১২২

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে অস্ত্রশস্ত্র ইত্যাদিসংগ্রহ করণ-যাবজ্জীবন/১০বছর/অর্থদন্ড

১২৩

যুদ্ধ সগম করার অভিপ্রায়ে ষড়যন্ত্র গোপণ করণ -১০বছর/অর্থদন্ড

১২৩(ক)

রাষ্ট্র সৃষ্টি নিন্দাকরণ ও  উহার সার্বভৌমত্বের বিলোপ সমর্থ করা-১০বছর/জরিমান

১২৪

কোন আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়োগে বাধ্য করার বা বাধাদান করারঅভিপ্রায়ে রাষ্ট্রপতি, গভর্নর প্রমুখ ব্যক্তিকে আক্রমন।

১২৪(ক)

রাষ্ট্র দ্রোহিতাঃ যে ব্যক্তি কথায় বা লিখিত শব্দাবলীর দ্বারাঅথবা সংকেত সমহের দ্বারা,কল্পমর্তর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতিঘৃণা বা অবজ্ঞার সৃষ্টি করে বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা করার উদ্যোগকরে-যাবজ্জীবন/৩বছর/জরিমানা

১২৮

সরকারী কর্মচারী কর্তৃক স্বেচ্ছাকৃতভাবে রাজবন্দী বাযুদ্ধবন্দীকে পালিয়ে যেতে দেয়া - যাবজ্জীবন/১০বছর/অর্থদন্ড

১৩০

যুদ্ধ বন্দীকে পালায়নে সাহায্য, আশ্রয়দান কিংবা গ্রেফতারেবাধাদান করা- যাবজ্জীবন/১০বছর/অর্থদন্ড

১৪০

সৈনিক, নাবিক, বৈমানিক কর্তৃক ব্যবহৃত পোষাক পরিধান করা বাপ্রতীক ধারণ করা-৩মাস/৫০০টাকা/উভয়

 

৮ম অধ্যায়

গণশান্তির পরিপন্থী অপরাধ(১৪১-১৬০)

১৪১

বে-আইনী সমাবেশঃ পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি জনসাধারণের কোন স্থানেএকত্রিত হয়ে রাষ্ট্র বিরোধী বা অন্য কোন অসৎ উদ্দেশ্যে সমাবেশ হয়ে যদি শান্তি ভঙ্গের কোনকাজ করে তাকে বে-আইনী সমাবেশ বলে।

বে-আইনী সমাবেশের উদ্দেশ্য নিম্মলিখিত এক বাএকাধিক

১.  বল প্রয়োগেসরকারি কর্মচারীকে ভীতি প্রদর্শন করা;

২.  আইন প্রয়োগেবাধাদান করা;

৩.  কোন অপকর্মবা অনধিকার প্রবেশ বা অন্য কোন প্রকার অপরাধ অনুষ্ঠান করা;

৪.  ভয় দেখিয়েসম্পত্তিদখল করা, পথ বা পানির ব্যবহার বন্ধ করা বা অধিকার আদায়ের চেষ্টাকরা;

৫.  বল প্রয়োগেকোন ব্যক্তিকে যা করতে সে বাধ্য নয় তা করতে বাধ্য করা।

১৪২

বে-আইনী সমাবেশের সদস্য

১৪৩

বে-আইনী সমাবেশের সদস্যের শাস্তি- ৬মাস/ অর্থদন্ড/উভয়

১৪৪

মারাত্নক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বে-আইনী  সমাবেশে যোগদান- ২বছর/ অর্থ/ উভয়

১৪৫

বে-আইনী সমাবেশ ভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেনেও তাতেযোগদান- ২বছর/অর্থ/উভয়

১৪৬

দাঙ্গাঃ কখনও কোন বে-আইনী সমাবেশ বা তার যে কোন সদস্য কর্তৃকঅনুরূপ সমাবেশের সাধারণ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বল বা উগ্রতা প্রয়োগ করা হলে অনুরূপ সমাবেশেরপ্রত্যেক সদস্য দাঙ্গার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হবে।

১৪৭

দাঙ্গার শাস্তি ২বছর/ অর্থ/ উভয়

১৪৮

মারাত্নক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা সংঘটন-৩বছর/অর্থ/উভয়

১৪৯

সাধারণ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত অপরাধের জন্য বে-আইনীসমাবেশের প্রত্যেক সদস্য দোষী

১৫০

বে-আইনী সমাবেশে যোগদানের জন্য লোকভাড়া করা বা ভাড়ার কার্যে সায়দেয়া।

১৫১

পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ ভেঙ্গে দেয়ার নির্দেশ দেয়াহয়েছে জেনেও তাতে যোগদান করা-৬মাস/অর্থ/উভয়

১৫২

দাঙ্গা ইত্যাদি দমন কালে সরকারী কর্মচারীকে আক্রমন বা বাধাদানকরা- ৩বছর/অর্থ/উভয়

১৫৩

দাঙ্গা অনুষ্ঠানের অভিপ্রায়ে বেপরোয়াভাবে উত্তেজনা দানকরা।

দাংগা অনুষ্টিত হলে- ১বছর/অর্থ/উভয়,   ঊদাংগা অনুষ্টিত না হলে- ৬মাস/অর্থ/উভয়

১৫৪

যে ভূমির উপর বে-আইনী সমাবেশ/ দাঙ্গা অনুষ্ঠি হয় তার মালিক বাদখলদার উক্ত ঘটনা সম্পর্কে থানায় সংবাদ দিতে বা বাধা সৃষ্টি করতে আইনত: বাধ্য- ১হাজারটাকা

১৫৭

বে-আইনী সমাবেশ/ দাঙ্গায় অংশগ্রহণের নিমিত্তে ভাড়াটিয়া লোকদেরআশ্রয়দান করা- ৬মাস/জরিমান/উভয়

১৫৮

বে-আইনী সমাবেশ বা দাঙ্গায় অংশগ্রহনের নিমিত্তে ভাড়াটিয়া হওয়া -৬মাস/জরিমানা/উভয় অস্ত্রে সজ্জিত হলে-২বছর/অর্থ/উভয়

১৫৯

মারামারিঃ যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি প্রকাশ্য স্থানে ঝগড়া করেগণশান্তি ভঙ্গ করে তাহলে তারা মারামারিকরে বলে গণ্য হবে।

১৬০

মারামারির শাস্তি- ১মাস/১শত টাকা

 

৯ম অধ্যায়

সরকারি কর্মচারী সংক্রান্তঅপরাধ(১৬১-১৭১)

১৬১

সরকারি কর্মচারী কর্তৃক কোন সরকারি কার্য সম্পর্কে বৈধপারিশ্রমিক ব্যতীত অন্যকোন পারিতোষিক গ্রহণ করা শাস্তি।

১৬৫

সরকারি কর্মচারী কর্তৃক মূল্যবান জিনিস বিনামূল্যে/ অল্পমূল্যেগ্রহণ করার অপরাধ

১৬৫(ক)

যে ব্যক্তি ১৬১ ও ১৬৫ ধারায় দন্ডনীয় কোন অপরাধে সহায়তা করে এবংসহায়তার ফলে অপরাধ অনুষ্ঠিত হউক বা না হউক উক্ত অপরাধের জন্য ব্যবস্থিত দন্ডে দন্ডিতহবে।

১৬৮

সরকারি কর্মচারী বে-আইনীভাবে ব্যবসায় নিয়োজিত হওয়া- ১বছরবিঃ/অর্থ/উভয়(পিআরবি-১১০)

১৬৯

সরকারি কর্মচারী বে-আইনীভাবে সম্পত্তি ক্রয়/ ক্রয়ের উদ্দেশ্যেনিলাম ডাকা-২বছর বিঃ/অর্থ/উভয়(পিআরবি-১১০)

১৭০

সরকারি কর্মচারীর ছদ্দবেশ ধারন-২বছরসঃ/অর্থ/উভয়

১৭১

প্রতারণা মূলক উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মচারী কর্তৃক ব্যবহৃতপোশাক/প্রতীক ধারণ করা-৩মাস/২শত টাকা/উভয়

 

১০ম অধ্যায়

সরকারি কর্মচারীদের আইনসঙ্গত ক্ষমতারঅবমাননা(১৭২-১৮৯)

১৭২

সমন জারীকরনের বা অন্যবিধ ব্যবস্থা এড়ানোর উদ্দেশ্যে আত্নগোপণকরা

১৭৩

সমন জারীকরনের বা অন্যবিধ ব্যবস্থা গ্রহনে বাধাসৃষ্টি/প্রকাশনায় বাধার সৃষ্টি-১মাস বিঃ/৫০০টাকা/উভয়

১৭৪

সরকারি কর্মচারীর আদেশানুসারে হাজির না হওয়া-১মাসবিঃ/৫০০টাকা/উভয়

১৭৫

সরকারি কর্মচারীর নিকট দলিল পেশ করার জন্য আইনগত বাধ্য ব্যক্তিকর্তৃক তা পেশ না করা

১৭৬

সরকারি কর্মচারীর নিকট নোটিস/ তথ্য সরবরাহ করার জন্য আইনত:বাধ্য ব্যক্তি কর্তৃক তা না করা

১৭৭

মিথ্যা/ অসত্য তথ্য সরবরাহ করা-৬মাসবিঃ/১০০০টাকা/উভয়   ঊ অপরাধ সংঘটননিবারণ হলে ২ বছর

১৭৮

হলফ বা শপথ গ্রহণের জন্য যথাযথ সরকারি কর্মচারী কর্তৃক আদিষ্টহয়ে তা গ্রহণে অস্বীকার করা

১৭৯

প্রশ্ন করার ক্ষমতা সম্পন্ন সরকারি কর্মচারীর প্রশ্নের উত্তরদানে অস্বীকার করা-৬মাস/১০০০/-টাকা

১৮০

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করা-৩মাস/৫০০/-টাকা/উভয়

১৮১

হলফ বা শপথ পরিচালনার ক্ষমতা সম্পন্নসরকারি কর্মচারীর নিকট হলফবা শপথ করে মিথ্যা বিবৃতিদান

১৮২

কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধন কল্পে সরকারি কর্মচারীকে মিথ্যা তথ্যসরবরাহ করা- ৬মাস/১০০০টাকা/উভয়

১৮৬

সরকারি কর্মচারীকে সরকারি কার্যাবলী সম্পাদনে বাধা দান করা-৩মাস/ ৫০০টাকা/ উভয়

১৮৭

সরকারি কর্মচারীকে সাহায্য করতে আইনতঃ বাধ্য হওয়া সত্ত্বেওসাহায্য না করা

১৮৮

সরকারি কর্মচারী কর্তৃক যথাযথরূপে জারিকৃত আদেশ অমান্যকরা

১৮৯

সরকারি কর্মচারীকে ক্ষতি সাধনের হুমকি-২বছর/অর্থ      

 

একাদশ অধ্যায়

মিথ্যা সাক্ষ্য ও গণবিচারের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিতঅপরাধ(১৯১-২২৮)

১৯১

মিথ্যা সাক্ষ্যদানঃ যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কোন ঘোষনা করার জন্যআইন বলে বাধ্য হয়েও এমন কোন বিবৃতিদান করে যা মিথ্যা এবং যা সে মিথ্যা বলে জানে বা বিশ্বাসকরে সে ব্যক্তি মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় বলে গণ্য হবে।

১৯২

মিথ্যা সাক্ষ্য উদ্ভাবন করা

১৯৩

মিথ্যা সাক্ষ্যের শাস্তি ৭বছর/অর্থ/উভয় অন্য মামলায় ইচ্ছাকৃতমিথ্যা সাক্ষ্য-৩বছর/অর্থ

১৯৪

মৃত্যুদন্ডযোগ্য অপরাধের দন্ডবিধান করানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যাসাক্ষ্য দেওয়া- মৃত্যুদন্ড/যাবজ্জীবন/১০বছর

১৯৫

যাবজ্জীবন কারাদন্ডে কিংবা ৭বছর বা তদুর্ধ্ব মেয়াদের অপরাধেদন্ডিত করানোর মতলবে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া

১৯৬

মিথ্যা সাক্ষ্য সত্য বলে ব্যবহার করা-  যেন মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়াছে

১৯৭

মিথ্যা সার্টিফিকেট দান করা বা তাতে স্বাক্ষর করা- যেন সেমিথ্যা সাক্ষ্য দিয়া ছিল

১৯৮

মিথ্যা সার্টিফিকেট সত্য বলে ব্যবহার করা- যেন সে মিথ্যাসাক্ষ্য দিয়াছে

১৯৯

মিথ্যা বিবৃতি

২০০

মিথ্যা বিবৃতি সত্য বলে ব্যবহার করা- যেন সে মিথ্যা সাক্ষ্যদিয়াছিল

২০১

অপরাধীকে শাস্তিহতে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা সংবাদ দেয়া/ সাক্ষ্যপ্রমাণ বিলোপসাধন।

২০৪

সাক্ষ্য প্রমান হিসেবে যাতে কোন দলিল উপস্থাপিত হতে না পারে তাবিনষ্ট করা- ২বছর/অর্থ/উভয়

২১১

ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাকরা-২বছর/অর্থ/উভয়

২১২

অপরাধীকে আশ্রয়দান করা

২১৬

হাজত হতে পালায়ন, গ্রেফতারের আদশে জারি করা হয়েছে এরূপ অপরাধীকেআশ্রয়দান

২১৬(ক)

দস্যু বা ডাকাতকে আশ্রয়দান- ৭বছর সঃ/অর্থ, ব্যতিক্রম-স্বামী..স্ত্রী পরসস্পরকে আশ্রয় দিলে অপরাধ হবে না

২২১

যদি কোন সরকারি কর্মচারী কারো অপরাধের জন্য গ্রেফতার করতে বাআটক রাখতে বাধ্য হওয়া সত্ত্বেও ইচ্ছাপূর্বক অনুরূপ ব্যক্তিকে গ্রেফতার না করে কিংবা পালায়নকরতে সুযোগদেয় তাহলে সেই সরকারী কর্মচারী দন্ডিত হবে-

২২২

যদি কোন সরকারী কর্মচারী আদালতকর্তৃক দন্ডপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকেগ্রেফতার করতে আইনত বাধ্য হওয়া সত্ত্বেও ইচ্ছাপূর্বকভাবে গ্রেফতার না করে বা পালায়ন করতেদেয় তাহলে অনুরূপ সরকারী কর্মচারী নিম্নরূপে দন্ডিত হবে

২২৩

যদি কোন সরকারি কর্মচারী কোন ব্যক্তিকে আইনত: আটক রাখতে বাধ্যহওয়া সত্ত্বেও অবহেলাক্রমে অনুরূপ ব্যক্তিকে পালায়ন করতে দেয় তাহলে সে ব্যাক্তি দঃ বিঃ ২২৩ধারায় দন্ডিত হবে।

২২৪

কোন ব্যক্তির আইনানুগ গ্রেফতারে বাধাদান/প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকরা

২২৫(ক)      

যদি কোন সরকারী কর্মচারী আইনত: এমন কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতারকরিতে বা আটক রাখিতে বাধ্য হওয়া সত্ত্বেও সে ব্যক্তিকে গ্রেফতার না করে বা পালায়ন করতে দেযব্যাপারটি সম্পর্কে অত্র আইনের ২২১,২২২,২২৩ ধারা মোতাবেক উপস্থিত সময়ে বলবৎ অন্যকোন আইনেবিধান করা হয় নাই তা হলে উক্ত সরকারি কর্মচারীর নিম্নোক্তরূপে দন্ডিত হবে--

 

চতুর্দশ অধ্যায়

জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তাসুবিধা(২৬৮-২৯৪খ)

২৬৮

গণ উপদ্রবঃ যে ব্যক্তি, এমন কোন কার্য করে, যা পরিপার্শ্বেবসবাসকারী, সম্পত্তির ব্যবহারকারী বা জনসাধারণ বা সাধারণভাবে জনগণের কোন সাধারণ ক্ষতি, বিপদবা বিরক্তি সৃষ্টি করে তাহলে সে ব্যক্তি গণউপদ্রব করেছে বলে গণ্য হবে।

২৭২

বিক্রির জন্য তৈরীকৃত খাদ্যে বা পানীয়ে ভেজাল মিশ্রন করা- ৬মাস/অর্থ/ উভয়।

২৭৩

ক্ষতিকর খাদ্য বা পানীয় বিক্রয় করা- ৬মাস/ ১০০০ টাকা/উভয়।

২৭৯

রাজপথে বেপরোয়া গাড়ি চালান বা আশ্বারোহন-৩বছর/১০০০-৫০০০টাকা/উভয়

২৮২

ভাড়ার জন্য জাহাজযোগে জলপথে অতিরিক্ত লোকবহন করা-৬মাস/১০০০টাকা/উভয়

২৯০

অন্যকোনভাবে কার্যক্রম বিহীত হয়নি, এমন ক্ষেত্র সমূহেগণ-উপদ্রবের শাস্তি- ২০০টাকা

২৯২

অশ্লীল পুস্তক ইত্যাদি বিক্রয় করা-৩মাস/জরিমান/উভয়

২৯৩

অল্পবয়স্ক ব্যক্তির নিকট অশ্লীল বস্তু বিক্রয়-৬মাস/জরিমান/উভয়

 

পঞ্চদশ অধ্যায়

ধর্ম সম্পর্কিত অপরাধসমূহ(২৯৫-২৯৮)

২৯৫

কোন সম্প্রদায়ের ধর্মের প্রতি অবমাননা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেউপাসনালয়ের ক্ষতিসাধন, অপবিত্র করা

২৯৬

ধর্মীয় সমাবেশে গোলমাল সৃষ্টি করা।

২৯৭

সমাধিস্থান/ গোরস্থান ইত্যাদিতে অনধিকার প্রবেশ- ১বছর/ অর্থ/উভয়

 

ষোড়শ অধ্যায়

মানবদেহ/ জীবন ক্ষুন্নকারী সম্পর্কিত অপরাধসমহ(২৯৯-৩১১)

২৯৯

অপরাধজনক নরহত্যাঃ যে ব্যক্তি কোন কাজের সাহায্যে মৃত্যু ঘটানোরউদ্দেশ্যে বা মৃত্যু ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে এরূপ দৈহিক জখম ঘটানোর উদ্দেশ্যে অথবা উক্তকাজের সাহায্যে সে মৃত্যু ঘটাতে পারে এমন সম্ভাবনা রয়েছে বলে জেনেও অনুরূপ কাজের সাহায্যেমৃত্যু ঘটায় সে ব্যক্তি অপরাধজনক নরহত্যা অনুষ্ঠান করে বলে গণ্য হবে।

৩০০

খুনঃ যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে,ব্যক্তিগত আক্রোশবশতঃ কিংবা কোন হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যাকরে তবে তাকে খুন বলে।বিঃ দ্রঃ পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও উদ্দেশ্য থাকলেই খুনহবে।

৩০১

যার মৃত্যু ঘটানোর উদ্দেশ্য ছিল তাকে ব্যতিত অন্য ব্যক্তিরমৃত্যু সংঘটন দ্বারা অপরাধজনক প্রাণহানি

৩০২

খুনের শাস্তি- মৃত্যুদন্ড/ যাবজ্জীবন/অর্থদন্ড।

৩০৩

যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত ব্যক্তিকর্তৃক খুনের শাস্তি-মৃত্যুদন্ড

৩০৪

খুন নয় এরূপ অপরাধজনক নরহত্যার শাস্তি- যাবজ্জীবন/ ১০বছর/অর্থ

৩০৪(ক)

অবহেলার ফলে ঘটিত মৃত্যু- ৫বছর/অর্থ/উভয়

৩০৪(খ)

সর্বসাধারণের ব্যবহৃত রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ী চালিয়ে মৃত্যু ঘটান-৩বছর/অর্থ/উভয়

৩০৫

শিশু (১৮বছরের কম) বা উন্মাদ ব্যক্তির আত্নহত্যায় সহায়তাকরণ-মৃত্যুদন্ড/যাজ্জীবন/অনধিক১০বছর/অর্থ

৩০৬

আত্নহত্যায় সহায়তাকরণ- ১০বছর/ অর্থ

৩০৭ 

খুনের উদ্যোগঃ-ঊখুনের চেষ্টা করলে -১০বছর/অর্থ

                  খুনের চেষ্টাকালে আঘাত জন্মিলে-যাবজ্জীবন

                  যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত ব্যক্তি কর্তৃক আঘাত করলে -মৃত্যুদন্ড

৩০৮

অপরাধজনক নরহত্যা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ-৩বছর/জরিমান/উভয়  আঘাত করলে -৭বছর/জরিমান/উভয়

৩০৯

আত্নহত্যা করার চেষ্টা- ১বছর বিঃ/ অর্থ/উভয়

৩১০

ঠগঃ যে ব্যক্তি এই আইন প্রচলনের পর যেকোন সময় খুন করে বাখুনসহকারে দস্যুতা অনুষ্ঠান বা শিশু অপহরনের উদ্দেশ্যে অভ্যাসগতভাবে অপর এক বা একাধিকব্যক্তির সাথে মেলামেশা করে থাকে, সে ব্যক্তি ঠগ।

৩১১

ঠগ এর শাস্তি-যাবজ্জীবন/ অর্থ

 

আঘাত সম্পর্কিত(৩১৯-৩৩৮)

৩১৯

আঘাতঃ যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির দৈহিক যন্ত্রণা, পীড়াবা বৈকল্য ঘটায় তাকে আঘাত বলে।

৩২০

গুরুতর আঘাতঃ যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে নিম্ন বর্ণিত কোন আঘাত করে তাহলে তাকে গুরুতর আঘাত বলাহবে-

১.     পুরুষত্বহীন করণ;

২.     স্থায়ীভাবে যেকোন চোখের দৃষ্টি শক্তি রহিতকরণ;

৩.     স্থায়ীভাবে যেকোন কানের শ্রবণ শক্তি রহিতকরণ;

৪.     যেকোন অঙ্গ বা গ্রন্থি অনিষ্ট সাধন;

৫.     যেকোন অঙ্গ বা গ্রন্থির কর্মশক্তি সমূহ বিনাশ বা স্থায়ীক্ষতিসাধন;

৬.     মস্ক বা মুখমন্ডল স্থায়ী বিকৃতি করণ;

৭.     হাঁড় বা দন্তভঙ্গ বা গ্রন্থিচ্যুতকরণ;

৮.     যে আঘাত জীবন বিপন্ন করে বা আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ২০দিনমেয়াদের জন্য তীব্র দৈহিক যন্ত্রণাদান করে বা তাকে তার সাধারণ পেশা অনুসরণ করতে অসমর্থহয়।

৩২৩

ইচ্ছাপূর্বক আঘাত করার শাস্তি-১বছর/ ১০০০টাকা/ উভয়।

৩২৪

ইচ্ছাপূর্বক বিপদজনক অস্ত্রদ্বারা বা বিপজ্জনক উপায়ে আঘাত করা-৩বছর/অর্থ/উভয়।

৩২৫

ইচ্ছাপূর্বক গুরুতর আঘাত করার শাস্তি-৭বছর/অর্থ/উভয়।

৩২৬

ইচ্ছাপূর্বক মারাত্নক অস্ত্রদ্বারা গুরুতর আঘাত- ১০ ,, / ,, /,,

৩২৬(ক)

স্বেচ্ছাকৃতভাবে দুটি চোখ উপড়ায়ে বা এসিড জাতীয় পদার্থ দ্বারাচোখ দুটির দৃষ্টি নষ্ট করা বা মুখমন্ডল বা মস্তিস্ক এসিড দ্বারা বিকৃতকরা।

৩২৭

বলপূর্বক সম্পত্তি ছিনিয়ে নেওয়া বা অবৈধ কাজ করতে বাধ্য করারজন্য স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাতদান করার শাস্তিঃ যেকোন বর্ননার কারাদন্ড যার মেয়াদ ১০ বছরপর্যন্ত  হতে পারে এবঙ জরিমানা দন্ডে দন্ডিতহবেন।

৩২৮

অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে বিষ ইত্যাদি দ্বারা আঘাতদান করা-১০বছর/অর্থ/উভয়

৩৩০

বলপূর্বক অপরাধ স্বীকারোক্তি আদায় বা সম্পত্তিপ্রত্যার্পণেবাধ্য করার জন্য স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা

৩৩১

বলপূর্বক অপরাধ স্বীকারোক্তি আদায় বা সম্পত্তিপ্রত্যার্পণেবাধ্য করার জন্য স্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত।

৩৩২

সরকারী কর্মচারীকে তার কর্তব্য পালনে বাধাদান করার জন্যস্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা

৩৩৩

সরকারী কর্মচারীকে তার কর্তব্য পালনে বাধাদান করার জন্যস্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত করা

৩৩৪

উত্তেজনাবশত: স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাতদান করা-১মাস/৫০০টাকা/উভয়

৩৩৫

উত্তেজনাবশত: স্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর দান করা- ৪বছর/২০০০টাকা/,,

৩৩৮(ক)

জনপথে বেপরোয়া যান বা অশ্ব চালনা করে গুরুতর আঘাত-২বছর/অর্থ/উভয়

 

অবৈধ বাধা/ অবরোধ(৩৩৯-৩৪৮)

৩৩৯

অবৈধ বাধাদান/ নিয়ন্ত্রন ঃ যে ব্যক্তি কোন ব্যক্তিকে তার যেদিকেগমনের অধিকার রয়েছে, সেদিকে গমনে নিরস্ত্র করার জন্য স্বেচ্ছামূলকভাবে বাধাদান করে, সেব্যক্তি উক্ত ব্যক্তিকে অবৈধভাবে বাধাদান করে বলে গণ্য হবে।

৩৪০

অবৈধ অবরোধ/ অন্যায় আটক ঃ যে ব্যক্তি অন্যকোন ব্যক্তিকে কোননির্দিষ্ট সীমাবদ্ধ এলাকার বাইরে গমনে নিরস্ত্র করার জন্য অবৈধ বাধাদান করে, সে ব্যক্তিউক্ত ব্যক্তিকে অবৈধভাবে অবরোধ করে বলে গণ্য হবে।

৩৪১

অবৈধ বাধাদান/ নিয়ন্ত্রন শাস্তি- ১মাস/ ৫০০টাকা/উভয়।

৩৪২

অবৈধ অবরোধ/অন্যায় আটক শাস্তি- ১বছর/ ১০০০টাকা/উভয়।

৩৪৩

০৩ (তিন) বা ততোদিক দিবসের জন্য অন্যায় আটক -২বছর/অর্থ/উভয়।

৩৪৪

১০ (দশ) বা ততোদিক দিবসের জন্য অন্যায় আটক - ৩ ,, / ,, /,,

৩৪৭

বলপূর্বক সম্পত্তিছিনিয়ে নেয়ার বা অবৈধ কাজ করতে বাধ্য করারজন্য অবৈধ অবরোধ - ৩বছর/জরিমানা

৩৪৮

স্বীকারোক্তি আদায় করা বা সম্পত্তিপ্রত্যার্পন করতে বাধ্য করারজন্য অবৈধ অবরোধ- ৩ ,,  /  ,,

 

অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ ওআক্রমণ(৩৪৯-৩৫৪)

৩৪৯

বল প্রয়োগঃ কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে গতিশীল করায় বা তারগতির পরিবর্তন করায় বা তার গতিরোধ করায় তখন উক্ত ব্যক্তি অপর ব্যক্তির প্রতি বল প্রয়োগ করেবলে গণ্য হবে।

৩৫০

অপরাধমূলক বল প্রয়োগঃ যে ব্যক্তি কোন অপরাধ করার জন্য কোনব্যক্তির প্রতি বল প্রয়োগ করে যা দ্বারা উক্ত ব্যক্তির জখম, ক্ষতি বা ভীতির সৃষ্টি করে তবেতা অপরধমূলক বল প্রয়োগ বলে গর্ন্য হবে।

৩৫১

আক্রমণঃ যে ব্যক্তি এরূপ অভিপ্রায়ে অঙ্গভঙ্গি বা প্রস্তুতি নেয়যাতে উক্ত আঙ্গভঙ্গি বা প্রস্তুতি উপস্থিত কোন ব্যক্তির মনে এমন আশঙ্খা জাগবে যেঅঙ্গভঙ্গকারী বা প্রস্তুতি গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত ব্যক্তির প্রতি বল প্রয়োগের উদ্যোগ করেছেসে ব্যক্তি আক্রমণ করে বলে গণ্য হবে।

৩৫২

গুরুতর আকস্মিক উত্তেজনার ফল ব্যতীত প্রকারান্তরে আক্রমন ওঅপরাধমলক বল প্রয়োগ-৩মাস/৫০০টাকা/উভয়

৩৫৩

সরকারি কর্মচারীকে তার কর্তব্য পালনে বাধাদানের নিমিত্তে আক্রমণও অপরাধমলক বল প্রয়োগ-৩বছর/অর্থ/উভয়

৩৫৪

কোন নারীর শালীনতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আক্রমন ওঅপরাধমলক বল প্রয়োগ(শীলতাহানী)-২বছর/অর্থ/উভয়

৩৫৬

কোন ব্যক্তি কর্তৃক বাহিত সম্পত্তি চুরি করার উদ্যোগে আক্রমনবা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করার শাস্তি।

 

মনুষ্যহরণ, অপহরণ, দাসত্ব ও জবরদস্তিমূলকশ্রম(৩৫৯-৩৭৪)

৩৫৯

মনুষ্য অপহরণ ২ প্রকার (১) বাংলাদেশ হতে মনুষ্য অপহরণ, (২)আইনানুগ অভিভাবকত্ব হতে মনুষ্য অপহরন

৩৬০

বাংলাদেশ হতে লোক অপহরণঃ যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে তারসম্মতি ব্যতীত কিংবা তার স্বপক্ষে সম্মতি দানের ক্ষমতা সম্পন্ন অন্য কারো সম্মতি ব্যতীতবাংলাদেশ সীমার বাইরে পাঠিয়ে দেয় তাহলে সেই ব্যক্তি উক্ত ব্যক্তিকে বাংলাদেশ হতে অপহরণকরেছে বলে গণ্য হবে।

৩৬১

আইনানুগ অভিভাবকত্ব হতে লোক অপহরণঃ ১৬ বছরের কম বয়স্ক নাবালিকাএবং ১৪ বছরের কম বয়স্ক নাবালক বা বিকৃত মস্তিষ্ক কোন ব্যক্তিকে যদি কোন ব্যক্তি তাদেরঅভিভাবকের অনুমতি ছাড়া অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যায় তাকে আইনানুগ অভিভাবকত্ব হতে লোক অপহরণবলে।

৩৬২

অপহরণঃ যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে জোর পূর্বক এক স্থানহতে অন্যস্থানে যেতে বাধ্য করে বা প্রতারণামলক উপায়ে প্রলুব্ধ করে তাহলে সে ব্যক্তি উক্ত ব্যক্তিকে অপহরণকরেছে বলে গণ্য হবে।

৩৬৩

লোক/মনুষ্য অপহরণের শাস্তি- ৭বছর/অর্থ

৩৬৪

খুন করার উদ্দেশ্যে মনুষ্য/ব্যক্তি অপহরণ- যাবজ্জীবন.....১০বছরসঃ/ অর্থ

৩৬৪(ক)

১০ বছরের কম বয়ষ্ক কোন ব্যক্তি অপহরণ-মৃত্যুদন্ড/যাবজ্জীবন/১৪বছর সঃ/ অর্থ

৩৬৫

কোন ব্যক্তিকে গোপনভাবে ও অবৈধভাবে অবরোধ করার উদ্দেশ্যে অপহরণ-৭বছর/অর্থ

৩৬৬

কোন নারীকে বিবাহ ইত্যাদিতে বাধ্য করার নিমিত্তে অপহরণ-১০বছর/অর্থ

৩৬৯

দেহাবরণ চুরি করার অভিপ্রায়ে ১০ বছরের কম বয়স্ক শিশু অপহরণ-৭বছর/জরিমান

৩৭২

বেশ্যাবৃত্তি ইত্যাদির উদ্দেশ্যে অপ্রাপ্ত (১৮বছরের কম)বয়স্কাদের বিক্রয়- ১০বছর/অর্থ

 

নারী ধর্ষণ সংক্রান্ত অপরাধ সমহ(৩৭৫-৩৭৭)

৩৭৫

নারী ধর্ষণঃ যে ব্যক্তি অতঃপর ব্যতিক্রান্ত ক্ষেত্র ব্যতিরেকেনিম্নোক্ত ৫(পাঁচ) প্রকার বর্ণনাধীন যেকোন অবস্থায় কোন নারীর সাথে যৌন সহবাস করে সে ব্যক্তি নারী ধর্ষন করে বলে গণ্য হবে-

প্রথমতঃ  তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে

দ্বিতীয়তঃ তার সম্মতি ব্যতিরেকে

তৃতীয়তঃ তার সম্মতি ক্রমে, যে ক্ষেত্রে তাকে মৃত্যু বা আঘাতেরভয় দেখিয়ে তার সম্মতি আদায় করা হয়

চতুর্থতঃ তার সম্মতিক্রমে যে ক্ষেত্রে লোকটি জানে যে, সে তারস্বামী নহে এবং সে (নারিটি) এই বিশ্বাসে সম্মতি দান করে যে, সি (পুরুষটি) এমন কোন লোক যারসাথে সে আইনানুগভাবে বিবাহিত অথবা সে নিজেকে তার সাথে আইনানুগভাবে বিবাহিত বলে বিশ্বাসকরে;

পঞ্চমতঃ তার সম্মতি সহকারে বা ব্যতিরেকে, যেক্ষেত্রে সে ১৪বৎসরের কম বয়স্কা হয়

ব্যতিক্রম- স্বামী কর্তৃক স্ত্রী যৌন সহবাস, স্ত্রীর বয়স১৩বছরের কম না হলে নারী ধর্ষন বলে গণ্য হবে না

৩৭৬

নারী ধর্ষনের শাস্তি-যাবজ্জীবন/১০বছর/অর্থ

৩৭৭

অস্বাভাবিক অপরাধ সমূহ/ প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সহবাসকরার শাস্তি- যাবজ্জীবন/১০বছর/অর্থ

 

সপ্তদশ অধ্যায়

সম্পত্তিসংক্রান্ত অপরাধ সমূহ(৩৭৮-৩৮২)

৩৭৮

চুরিঃ যদি কোন ব্যক্তি কারো দখল হতে তার সম্মতি ব্যতিরেকে কোনঅস্থাবর সম্পত্তিঅসাধুভাবে গ্রহণের উদ্দেশ্যে একস্থান হতে অন্যস্থানে স্থানান্তর করে বাঅপসারণ করে তাকেই চুরি বলে।

চুরির বৈশিষ্ট ৫ টি

১। কারো দখলভুক্ত হতে হবে ;

২। মালিকের সম্মতি ব্যতিরেকে;

৩। দ্রব্যটি অস্থাবর হতে হবে;

৪। অসাধু উদ্দেশ্যে গহণ হতে হবে;

৫। দ্রব্যটি অপসারণ হতে হবে।

৩৭৯

চুরির শাস্তি- ৩বছর/অর্থ/উভয়

৩৮০

বাসগৃহ ইত্যাদিতে চুরি- ৭বছর/অর্থ/উভয়

৩৮১

কেরানী/ চাকর কর্তৃক মনিবের অধিকারভক্ত সম্পত্তিচুরি- ৭বছর/অর্থ/উভয়

৩৮২

চুরি করার উদ্দেশ্যে মৃত্যু ঘটান, আঘাত দান বা আটকানোরপ্রস্তুতি নেয়ার পর চুরি সংঘটন- ১০বছর/অর্থ/উভয়

 

বলপূর্বক গ্রহণ সম্পর্কিত(৩৮৩-৩৮৯)

৩৮৩

বলপূর্বক আদায়/ সম্পত্তিআদায়ঃ কোনা ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক কাউকেজখম বা ক্ষতি করার ভয় দেখিয়ে অসাধূভাবে কোন সম্পত্তিবা মূল্যবান বস্তু অর্পনে বাধ্য করলেতাকে বল পূর্বক সম্পত্তিআদায় বলে।

৩৮৪

বলপূর্বক কিছু (সম্পত্তি) আদায়- ৩বছর/অর্থ

৩৮৫

বলপূর্বক সম্পত্তিআদায়ের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে কোন ক্ষতির ভয়দেখানো- ১৪বছর/৫বছরের কম হবে না

৩৮৬

কোন ব্যক্তিকে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের ভয় দেখিয়ে বলপূর্বক কিছুগ্রহণ- ১০বছর/অর্থ/উভয়

৩৮৭

বলপূর্বক কিছু আদায়ের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে মৃত্যু বামারাত্নক জখমের ভয় দেখানো -যাবজ্জীবন. তবে ৭বছরের কম হবে না/ জরিমান

৩৮৮

মৃত্যুদন্ড/ যাবজ্জীবন কারাদন্ড ইত্যাদিতে দন্ডনীয় অপরাধেরঅভিযোগের ভয় দেখিয়ে বলপূর্বক গ্রহণ-১০বছর/জমিমানা অপরাধটি ৩৭৭ ধারার অধীনে দন্ডনীয় হলেযাবজ্জীবন

৩৮৯

অপরাধে অভিযুক্ত করার ভয় দেখিয়ে বলপূর্বক কিছু গ্রহণ-১০বছর/জরিমানা

অপরাধটি ৩৭৭ ধারার অধীনে দন্ডনীয় হলেযাবজ্জীবন

 

দস্যুতা ও ডাকাতিসম্পর্কিত(৩৯০-৪০২)          

৩৯০

দস্যুতাঃ- যদি ০৫ জনের কম সংখ্যক ব্যক্তি সম্মিলিতভাবে কাউকেমৃত্যু বা গুরুতর জখমের ভয় দেখিয়ে তার কোন অস্থাবর সম্পত্তিঅসাধুভাবে ছিনিয়ে নেয় তবে তাকেদস্যুতা বলে।

৩৯১

ডাকাতিঃ ০৫ বা ততোধিক ব্যক্তি মারাত্নক অস্ত্রে সজ্জিত হয়েসম্মিলিতভাবে কাউকে মৃত্যু বা গুরুতর জখমের ভয় দেখিয়ে তার কোন অস্থাবর সম্মত্তি অসাধুভাবেছিনতাই করে তাকে ডাকাতি বলে, এরূপভাবে যোগদানকারী প্রত্যেকেই সমান অপরাধে অপরাধীহবে।

৩৯২

দস্যুতার শাস্তি- ১০বছর সঃ/অর্থ,    ঊরাজপথে সূর্যা-সূর্যোদয়ের মধ্যবর্তী হলে১৪বছর

৩৯৩

দস্যুতা সংঘটনের উদ্যোগ- ৭বছর সঃ/অর্থ

৩৯৪

দস্যুতা সংঘটনকালে ইচ্ছার্পর্বক আঘাত দেয়া-যাবজ্জীবন/১০বছরসঃ/অর্থ

৩৯৫

ডাকাতির শাস্তি- যাবজ্জীবন/১০বছর সঃ/অর্থ

৩৯৬

খুনসহ ডাকাতিঃ ৫ বা ততোধিক ব্যক্তি মারাত্নক অস্ত্রে সজ্জিত হয়েসম্মিলিতভাবে কাউকে মৃত্যু বা গুরুতর জখমের ভয় দেখিয়ে তার কোন অস্থাবর সম্পত্তিঅসাধুভাবেছিনতাই করাকালীন বা প্রদান করতে বাধ্য করাকালীন যেকোন একজন ডাকাত কর্তৃক অপর কোন ব্যক্তিকেখুন করে তাকে খুনসহ ডাকাতি বলে।

৩৯৭

মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত সংঘটনের উদ্যেগ সহকারে দস্যুতা বাডাকাতি- ৭বছরের কম হবে না

৩৯৮

মারাত্সক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দস্যুতা বা ডাকাতি করার উদ্যোগ-৭বছরের কম হবে না

৩৯৯

ডাকাতি সংঘটনের প্রস্তুতি গ্রহণ- ১০বছরসঃ/অর্থ

৪০০

ডাকাত দলভূক্ত হবার শাস্তি- যাবজ্জীবন/১০বছরসঃ/অর্থ

৪০১

চোরদের দলভূক্ত হবার শাস্তি- ৭বছর সঃ/অর্থ

৪০২

ডাকাতির উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়া- ৭ ,,   / ,,

 

অপরাধমূলক সম্পত্তি আত্নসাৎকরণ

৪০৩

অসাধুভাবে সম্পত্তিআত্সসাৎকরণ/ তসরুপ ঃ- যে ব্যক্তি অসাধুভাবেকোন অস্থাবর সম্পত্তিআত্সসাৎ করে বা তার নিজস্ব ব্যবহারে পরিনত বা অপরকে ইচ্ছাকৃতভাবেব্যবহার করতে দেয় তাকেই অসাধুভাবে সম্পত্তিআত্সসাৎকরণ/ তসরুপ বলে- ২বছর/ জরিমান/উভয়।

৪০৪

মৃত ব্যক্তির মৃত্যুকালে তার দখলভুক্ত সম্পত্তিঅসাধুভাবেআত্সসাৎকরণ- ৩বছর/অর্থ/উভয়

অপরাধী যদি মৃতব্যক্তির কেরানী বা চাকর হয় তবে ৭বছরসম্প্রসারিত

 

অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ(৪০৫-৪০৯)

৪০৫

অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গঃ যে ব্যক্তি কোন স¤ক্সত্তির উপর আধিপত্যের ভারপ্রাপ্ত হয়ে উক্ত সম্পত্তিঅসাধুভাবেআত্সসাৎ করে বা তার নিজের ব্যবহারে পরিণত করে বা অপরকে ব্যবহার করতে দেয় তাকেই অপরাধজনকবিশ্বাসভঙ্গ বলে।

৪০৬

অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের শাস্তি-৩বছর/অর্থ/উভয়

৪০৭

বাহক কর্তৃক অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ-৭বছর/অর্থ

৪০৮

কেরানী/কর্মচারী/চাকর কর্তৃক অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ-৭বছর/অর্থ

৪০৯

সরকারী কর্মচারী বা ব্যাংকার, বণিক প্রভৃতি কর্তৃক অপরাধমূলকবিশ্বাস ভঙ্গকরণ- যাবজ্জীবন/১০বছর/অর্থ

 

চোরাইমাল গ্রহণ সম্পর্কিত(৪১০-৪১৪)

৪১০

চোরাইমাল/ অপহৃত সম্পত্তিঃ চুরি বা জোরপূর্বক আদায় বা দস্যুতাদ্বারা যেসম্পত্তিদখল, হস্তান্তরিত হয়েছে এবং সে সম্পত্তি অপরাধজনকভাবে তসরুপ হয়েছে বাঅপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ হয়েছে তাকেই চোরাইমাল বলে।

৪১১

চোরাইমাল/ অপহৃত সম্পত্তিঅসাধূভাবে গ্রহণ-৩বছর/অর্থ/উভয়

৪১২

ডাকাতির মাধ্যমে অপহৃত সম্পত্তি/চোরাইমাল অসাধুভাবে গ্রহণ-যাবজ্জীবন/১০ বছর/অর্থ

৪১৩

অভ্যাসগতভাবে চোরাইমাল বেচা-কেনা করা-,,     /  ,,   /  ,,

৪১৪

চোরাইমাল গোপন করার সহায়তাকরণ-৩ বছর/ অর্থ/উভয়

 

প্রতারনা (৪১৫-৪২০)

৪১৫

প্রতারণাঃ যদি কেউ কোন ব্যক্তিকে ছলনা করে,প্রবঞ্চনামূলকভাবে/দুর্ণীতিমূলকভাবে বা অসাধুভাবে যে ব্যক্তিকে বা অপর কাউকে কোনসম্পত্তিপ্রদানে প্ররোচিত করে কিংবা কোন ব্যক্তির কোন সম্পত্তিরেখে দেয়ার সম্মতি প্রদানেপ্ররোচিত করে তাকে প্রতারণা বলে।

৪১৬

মিথ্যা পরিচয়দানপূর্বক/রূপধারণ পূর্বকপ্রতারণাঃ

৪১৭

প্রতারণার শাস্তি- ১বছর/অর্থ/উভয়

৪১৯

মিথ্যা পরিচয়দনপূর্বক প্রতারণার শাস্তি-৩বছর/অর্থ/উভয়

৪২০

প্রতারণা ও অসাধূভাবে সম্পত্তিঅর্পণ করতে প্রভৃত্তি করার অপরাধ-৭বছর/অর্থ

যে ব্যক্তি প্রতারণা করে এবং তদ্বারা প্রতারিত ব্যক্তিকে কোনব্যক্তির নিকট কোন সম্পত্তিসমর্পনে করতে অথবা কোন মূল্যবান জামানতে রূপান্তরিত হওয়ার যোগ্যকোন স্বাক্ষরিত বা সীলমোহরকৃত বস্তু প্রস্তুত, পরিবর্তন বা বিনষ্ট করার জন্য অসাধুভাবেপ্রবৃত্ত করে।

 

অনিষ্ট(৪২৫-৪৪০)

৪২৫

অনিষ্টঃ যে ব্যক্তি জনসাধারণ বা কোন বিশেষ ব্যক্তির অবৈধ লোকসানবা ক্ষতি সাধন করার অভিপ্রায়ে কোন সম্পত্তিনষ্ট করে বা পরিবর্তন করে যাতে তারমল্য বা উপযোগিতা বিনষ্ট হয় বা হ্রাস পায়সে ব্যক্তি অনিষ্ট সাধন করে বলেয় গণ্য হবে।

৪২৬

অনিষ্ট করার শাস্তি- ৩মাস/জরিমান/উভয়

৪২৭

৫০টাকা/তদুর্ধ্ব পর্যন্ত পরিমাণ ক্ষতিকরে অনিষ্ট সাধন-২বছর/অর্থ/উভয়

৪৩১

সরকারী রাস্তা, পুল, নদী, খালের ক্ষতি করে অনিষ্টসাধন- ৫,,  / ,,  / ,,

৪৩৬

গৃহ ইত্যাদি ধ্বংস করার অভিপ্রায়ে অগ্নি বা বিস্ফোরক দ্রব্যেরসাহায্যে অনিষ্ট সাধন- যাবজ্জীবন/১০বছর/অর্থ

৪৪০

মৃত্যু বা আঘাত ঘটাইবার প্রস্তুতি গ্রহণের পর অনিষ্ট সাধন-৫বছর/জরিমান

 

অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ(৪৪১-৪৬২)

৪৪১

অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশঃ যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিরদখলী কোন স¤ক্সত্তিতে বাস¤ক্সত্তির উপর কোন অপরাধ অনুষ্টানেরঅভিপ্রায়ে প্রবেশ করে তাকে অপরাধজনক অনধিকার প্রবেশ বলে।

৪৪২

অপরাধমূলক গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশঃ যে ব্যক্তি মনুষ্য বসবাসস্থানরূপে ব্যবহৃত যেকোন দালান, তাবু, জাহাজ, উপাসনা বা সম্পত্তিসংরক্ষনের স্থানরূপেব্যবহৃত যেকোন দালানে অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ করে, সে ব্যক্তি অনধিকার গৃহে প্রবেশ করে বলে গণ্য হবে।

৪৪৩

সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহে প্রবেশ

৪৪৪

রাত্রিবেলায় সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহে প্রবেশ

৪৪৫

সিঁদকেটে/দরজা ভেঙ্গে গৃহেপ্রবেশ/বারগুলারি

৪৪৬

রাত্রিকালে সিঁধ কাটিয়া/দরজা-জানালা ভাঙ্গিয়া গৃহেপ্রবেশ

৪৪৭

অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশের শাস্তি-৩মাস/৫০০টাকা/উভয়

৪৪৮

অনধিকার গৃহে প্রবেশের শাস্তি-১বছর/১০০০টাকা/উভয়

৪৪৯

মৃত্যুদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ করার উদ্দেশ্যে অনধিকার গৃহে প্রবেশ-যাবজ্জীবন/১০বছর সঃ/অর্থ

৪৫০

যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ করার উদ্দেশ্যে অনধিকার গৃহেপ্রবেশ - ১০বছর/অর্থ

৪৫১

কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে অনধিকার গৃহেপ্রবেশ- ঊ৭ বছর বর্ধিত করা যাইতে পারে।

৪৫২

আঘাত, আক্রমন কিংবা অন্যায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রস্তুতিগ্রহনান্তে গৃহে অনধিকার প্রবেশ- ৭বছর/ অর্থ

৪৫৩

সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহে প্রবেশ/ সিধকেটে-২বছর/অর্থ

৪৫৪ 

কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে সঙ্গোপনের অনধিকারগৃহে প্রবেশ ৩বছর/অর্থ অপরাধটি চুরি হলে-১০বছর

৪৫৫

আঘাত, আক্রমন, অন্যায় নিয়ন্ত্রন আরোপের প্রস্তুতি গ্রহনান্তেসঙ্গোপনে সিধকেটে অনধিকার গৃহে প্রবেশ- ১০বছর/অর্থ

৪৫৬

রাত্রে সঙ্গোপনে সিঁদকেটে অনধিকার গৃহে প্রবেশ-৩বছর/অর্থ

৪৫৭

কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে সঙ্গোপনেরাত্রিবেলায় অনধিকার গৃহে প্রবেশ/সিঁধকেটে

৫ বছর যদি অভিপ্রেত অপরাধটি চুরি হয়- ১৪ বছর বছর বর্ধিত করাযেতে পারে

৪৫৮

আঘাত, আক্রমন বা অবৈধ আটকের প্রস্তুতি নেয়ার পর সঙ্গোপনে রাত্রিবেলায় অনধিকার গৃহে/সিঁদ কেটে প্রবেশ- ১৪বছর/অর্থ

৪৫৯

সঙ্গোপনে অনধিকার প্রবেশকালে/সিধঁ কেটে গৃহে প্রবেশকালেমারাত্সক আহত করা- যাবজ্জীবন/১০বছর/অর্থ

৪৬০

রাত্রে সঙ্গোপনে (সিঁধকেটে) গৃহে অনধিকার প্রবেশের সাথেসম্মিলিতভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে কোন একজন কাউকে মৃত্যু বা মারাত্সক আঘাত ঘটালেসকলেই দন্ডনীয় হবে- যাবজ্জীবন/১০বছর/অর্থ

৪৬১

সম্পত্তি ধারণকারী কোন বৃদ্ধ পাত্র অসাধু উদ্দেশ্যে ভেঙ্গেখোলা- ২বছর/অর্থ/উভয়

অষ্টাদশ অধ্যায়

দলিল,ট্রেডমার্ক বা সম্পত্তির প্রতীকচিহ্ন(৪৬৩-৪৭২)

৪৬৩

জালিয়াতিঃ- যদি কোন ব্যক্তি জনসাধারনের বা ব্যক্তিবিশেষের ক্ষতিসাধনের জন্য কিংবা দাবি বা স্বত্ত্ব প্রতিষ্টার উদ্দেশ্যে কিংবা কোন ব্যক্তিকে তারসম্পত্তিত্যাগে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে কিংবা প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে কোন মিথ্যা দলিল বাদলিলের অংশ বিশেষ প্রণয়ন করে তাহলে সে ব্যক্তি জালিয়াতি করেছে বলে বিবেচিতহবে।

৪৬৪

মিথ্যা দলিল প্রনয়ন, (কোন ব্যক্তির নিজের নাম, স্বাক্ষরওজালিয়াতি হতে পারে)

৪৬৫

জালিয়াতির শাস্তি- ২বছর/অর্থ উভয়

৪৬৬

আদালতের নথিপত্র/সরকারী রেজিষ্টার ইত্যাদি জালকরণ-৭বছর/জরিমানা

৪৬৭

মূল্যবান জামানত, উইল ইত্যাদি জালকরণ-যাবজ্জীবন/১০বছর/অর্থ

৪৬৮

প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি- ৭বছর/অর্থ

৪৬৯

সুনাম হানির উদ্দেশ্যে জালিয়াতি- ৩ ,, /,,

৪৭০

জাল দলিলঃ- সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে জালকৃত যেকোন মিথ্যা দলিল জালদলিল অবহিত হবে

৪৯৩

প্রতারণামূলকভাবে আইনানুগ বিবাহের বিশ্বাসে প্ররোচিত করে কোনব্যক্তি কর্তৃক স্বামী স্ত্রী রূপে সহবাস- ১০বছর/অর্থ

৪৯৪

স্বামী বা স্ত্রীর জীবদ্দশায় পুনরায় বিবাহকরণ (২য় বিবাহ)-৭বছর/অর্থ

৪৯৭

ব্যবিচারঃ যে ব্যক্তি অন্য কোন লোকের স্ত্রী অথবা যাকে সে অপরকোন লোকের স্ত্রী বলে জানে বা তার অনুরূপ বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে এমন কোন ব্যক্তির সাথেউক্ত অপর লোকের সম্মতি ব্যতিরেকে এরূপ যৌনসঙ্গম করে যা নারী ধর্ষণের শামিল নয় তাহলে উক্তযৌন সঙ্গম ব্যভিচার বলে। শাস্তি- ৫বছর/অর্থ/উভয় (পুরুষের ক্ষেত্রে) কাঃবিঃ১৯৯।

৪৯৮

বিবাহিত স্ত্রী লোককে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়া বা হরণ, আটক করা২বছর/অর্থ/উভয়

৪৯৯

মানহানিঃ যে ব্যক্তি এরূপ অভিপ্রায়ে বা এরূপ জেনে বা এরূপবিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও কথিত বা পাঠের জন্য অভিপ্রেত শব্দাবলী বা চিহ্নাদি বাদৃশ্যমান কল্পমূর্তির সাহায্যে অপর ব্যক্তির নিন্দাবাদ প্রণয়ন বা প্রকাশ করে সে ব্যক্তিউক্ত ব্যক্তির মানহানি করে বলে গণ্য হবে।

৫০০

মানহানির শাস্তি- ২ব্ছর বিঃ/অর্থ/উভয়

৫০৩

অপরাধজনক ভীতি প্রদর্শন ঃ যে ব্যক্তি অন্যকোন ব্যক্তিকে আতঙ্কিতকরার অভিপ্রায়ে তার দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করার ভীতি প্রদর্শন করে কিংবা সেআইনত যে কাজ করতে বাধ্য নয় তা করতে বাধ্য করায় বা যে কার্য করার আইনত অধিকার আছে তা হতেতাকে বিরত রাখবার উদ্দেশ্যে অনুরূপ ভীতি প্রদর্শন করে সে ব্যক্তি অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শনকরে।

৫০৬

অপরাধজনক ভীতি প্রদর্শনের শাস্তি-২বছর/অর্থ/উভয়

মৃত্যু, গুরুতর আঘাত, অগ্নিসংযোগ সম্পত্তিবিনষ্ট, মৃত্যুদন্ডে,যাবজ্জীবন কারাদন্ডে যার মেয়াদ ৭বছর পর্যন্ত হতে পারে এরূপ দন্ডনীয় অপরাধ করার বা কোন নারীরপ্রতি অসতীত্ত্বরোপ করার ভয় দেখানো হয়- ৭বছর/অর্থ/উভয়

৫০৭

বেনামী চিঠিপত্রের সাহায্যে অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন- ৫০৬ ধারায়বর্ণিত অপরাধের যে দন্ড ব্যবস্থা আছে তদারিক্ত

৫১০

প্রকাশ্যে মাতাল ব্যক্তির অশোভ আচরণ- ২৪ঘন্টাবিঃ/১০টাকা/উভয়

৫১১

যাবজ্জীবন করাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ সমূহ সংঘটনের উদ্যোগেরশাস্তি

উক্ত অপরাধের জন্য বিহীত দীর্ঘতম মেয়াদের বা কারাদন্ডের অর্ধেকমেয়াদ পর্যন্ত হতে পারে/অর্থ/উভয়

য-এর পকেটেহত ঢুকিয়ে পকেট মারার উদ্যোগ করে, য-এর পকেটে কিছু না থাকার দরুন অনুরূপ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। ৫১১ ধারার অধীনে দোষি

 দন্ডবিধি আইন, Index of Laws, আইনের সূচী, Law Guide Of Bangladesh Police
My Ping in TotalPing.com

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post