Law Guide Of Bangladesh Police

১,০০০ হাজারের বেশি প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাজানো

ফৌজদারি কার্যবিধি আইন, Index of Laws, আইনের সূচী, Law Guide Of Bangladesh Police

ফৌজদারি কার্যবিধি আইন, Index of Laws, আইনের সূচী, Law Guide Of Bangladesh Police

ফৌজদারি কার্যবিধি আইন

 

ধারা

বিবরণ

৪২

জনসাধারণ যখন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে সাহায্য করবেন:

যে কোন নির্বাহী বা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশ অফিসার যুক্তিসঙ্গতভাবে সাহায্য দাবি করলে, প্রত্যেক ব্যক্তি-

১. আসামী গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অথবা পলায়নের প্রতিরোধের ক্ষেত্রে জনসাধারণের নিকট সাহায্যের দাবি করলে জনসাধারণ সাহায্য করতে বাধ্য।

২. কোথাও কোন শান্তি ভঙ্গের আশষ্কা দেখা দিলে বা দাঙ্গা হাঙ্গামা দেখা দিলে তা প্রতিরোধের জন্য জনসাধারণের নিকট সাহায্যের দাবি করলে জনসাধারণ সাহায্য করতে বাধ্য।

৩. সরকারি রেলপথ, খাল, টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার অথবা ম্যাজিস্ট্রেট জনসাধারণের নিকট সাহায্যের দাবি করলে জনসাধারণ সাহায্য করতে বাধ্য।

৪৩

পুলিশ অফিসার ব্যতীত অন্য যেই ব্যক্তি পরোয়ানা কার্যকরী করতেছে, তাকে সাহায্য দান।

৪৪

জনসাধারণ কতিপয় অপরাধ সম্পর্কে সংবাদ দিবেন।

৪৬

গ্রেফতারের পদ্ধতি এবং গ্রেফতারের বাধা প্রদানঃ

১. কথা বা কার্যের দ্বারা কোন ব্যক্তি আত্নসমর্থন না করলে গ্রেফতারকারী পুলিশ অফিসার আসামীকে দেহ স্পর্শ অথবা আটককরবেন।

২. বলপূর্বক গ্রেফতারের বাধা প্রদান করলে অথবা পলায়ন করার চেষ্টা করলে, আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ অফিসার প্রয়োজনে সকল পদক্ষেপ বা কৌশল গ্রহণ করবেন।

৩. আসামী যদি মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় কোন অপরাধে অপরাধী হয়, তবে তাকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটানো যাবে।

৪৭

যাকে গ্রেফতার করা হবে, তিনি যে স্থানে বা মহলে প্রবেশ করেছে উক্ত স্থানে বা মহলের মালিক অথবা ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি পুলিশ অফিসারের দাবি অনুসারে তাকে উক্ত স্থানে অবাধে প্রবেশ করতে দিবেন এবং উক্ত স্থানে বা মহলে তল্লাশীর জন্য সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিলে পুলিশ অফিসার গ্রেফতার কার্যকর করবেন।     

৪৮

ফৌঃ কাঃ বিঃ ৪৭ ধারা মোতাবেক উক্ত স্থানে বা বাড়ির মালিককে পুলিশ অফিসার অনুরোধ করার পরও যদি উক্ত স্থানে বা মহলে প্রবেশের অনুমতি না দেয় তখন উক্ত পুলিশ অফিসার স্থানের বা মহলের দরজা জানালা ভেঙ্গে মহলে প্রবেশ করে গ্রেফতার কার্যকর করবেন।

৪৯

ক্ষমতা প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার গ্রেফতার কার্যকর করতে গিয়ে যদি উক্ত স্থানে বা মহলে আটকে পড়েন তাহলে দরজা জানালা ভেঙ্গে বের হতে পারবেন।

৫০

আসামী পলায়নে প্রতিরোধের জন্য যতটুকু ক্ষমতা ব্যবহারের প্রয়োজন ঠিক ততটুকু ব্যবহার করা যাবে। কোনক্রমেই তার অধিক ব্যবহার করা যাবে না।

৫১

পরোয়ানামূলে অথবা পরোয়ানা ব্যতীত গ্রেফতারকৃত আসামীর দেহ তল্লাশি করে পরিদেহ বস্তু ব্যতীত যা কিছু পাওয়া যাবে তার একটি তালিকা করে মালামাল নিজ হেফাজতে নিতে হবে এবং তালিকার ০১ (এক) কপি আসামীকে দিতে হবে। পরবর্তীতে আসামীকে উক্ত তালিকাসহ সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রেরণ করতে হবে।

৫২

আটককৃত বা গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি যদি মহিলা হয় তাহলে অবশ্যই শালীনতার প্রতি দৃষ্টি রেখে অপর একজন মহিলা দ্বারা তার দেহ তল্লাশি করতে হবে। তবে উক্ত মহিলার নিকট হতে আয়না, চুড়ি, শঙ্ক, বালা জব্দ করা যাবে না।

৫৩

আটককৃত বা গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি কাছে কোন আপত্তিকর অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গেলে হেফাজতে নিতে হবে এবং অস্ত্রশস্ত্রসহ আসামীকে সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রেরণ করতে হবে।

৫৪

যখন পুলিশ পরোয়ানা ব্যতীত গ্রেফতার করতে পারেঃ

১। আমলযোগ অপরাধের সহিত জড়িত বা জড়িত কোন ব্যক্তিকে সন্দেহ করা হলে।

২। যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত যার নিকট ঘর ভাংগার সরঞ্জাম রয়েছে।

৩। সরকারি আদেশ দ্বারা যাকে অপরাধী বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

৪। যার নিকট চোরাই মালামাল পাওয়া গিয়েছে।

৫। পুলিশ অফিসারের কাজে বাধা দানকারী করলে অথবা কোন ব্যক্তি আইনসঙ্গত হতে পলায়ন করলে অথবা পলায়নের চেষ্টা করলে।

৬। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী হতে পলায়নকারী বলে যাকে যুক্তসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা হয়েছে।

৭। বাংলাদেশে করা হলে অপরাধ হত এরুপ অপরাধ বাংলাদেশের বাহিরে করে আসলে।

৮। কোন মুক্তিপ্রাপ্ত আসামী যে ৫৬৫ (৩) ধারার বিধান লংঘন করলে।

৯। যাকে গ্রেফতার করার জন্য অপর কোন পুলিশ অফিসারের অনুরোধপত্র পাওয়া গিয়েছে।

৫৫

ভবঘুরে পুরাতন ডাকাত প্রভৃতি গ্রেফতার:

থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণকে গ্রেফতার করতে পারেনঃ-      

(ক) থানা এলাকার মধ্যে যে ব্যক্তি নিজের উপস্থিতি গোপন রাখে সেই ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে। 

(খ) থানা এলাকার মধ্যে যার কোন প্রকাশ্য জীবিকা নেই বা সে ব্যক্তি নিজের সম্পর্কে কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে   পারেনা তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে। 

(গ) যে ব্যক্তি অভ্যাসগত ভাবে ডাকাত, গৃহভঙ্গকারী অথবা চোর বলে পরিচিত অথবা যে ব্যক্তির চোরাই বলে অভ্যাসগত ভাবে চোরাইমাল গ্রহন করার দুর্নাম আছে।

৫৬

পুলিশ অফিসার যখন অধস্তন কর্মচারীকে বিনাপরোয়ানায় গ্রেফতারের দায়িত্ব দেন তখনকার কার্যধিবিঃ

৫৭

নাম ও ঠিকানা জানাতে অস্বীকৃতিঃ

(ক) থানা এলাকার মধ্যে যে ব্যক্তি নিজের উপস্থিতি গোপন রাখে সেই ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে। 

(খ) থানা এলাকার মধ্যে যার কোন প্রকাশ্য জীবিকা নেই বা সে ব্যক্তি নিজের সম্পর্কে কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে   পারেনা তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে। 

(গ) যে ব্যক্তি অভ্যাসগত ভাবে ডাকাত, গৃহভঙ্গকারী অথবা চোর বলে পরিচিত অথবা যে ব্যক্তির চোরাই বলে অভ্যাসগত ভাবে চোরাইমাল গ্রহন করার দুর্নাম আছে।

৫৮

বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের ক্ষমতা প্রাপ্ত কোন পুলিশ অফিসার বাংলাদেশের যেকোন স্থানে অনুসরণ করতে পারেন।

৫৯

বেসরকারি লোক কর্তৃক গ্রেফতার ও এরুপ ক্ষেত্রে পদ্ধতিঃ

(১) যেকোন সাধারণ নাগরিক তার দৃষ্টিতে জামিনের অযোগ্য ও আমলযোগ্য অপরাধকারী ব্যক্তিকে অথবা অপরাধী বলে ঘোষিত কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ অফিসারের নিকট অর্পণ করবেন অথবা পুলিশ অফিসার পাওয়া না গেলে নিকটতম থানার হেফাজতে নিয়ে যাইতে হবে।

(২) পুলিশ ৫৪ ধারার আওতাভুক্ত মনে করলে পুনরায় গ্রেফতার করবেন।

(৩) সে আমলের আমলযোগ্য অপরাধ করছে বলে বিশ্বাস করবার কারণ থাকলে এবং পুলিশ অফিসারের দাবির পর সে নাম ঠিকানা দিতে অস্বীকার করলে অথবা মিথ্যা বলিলে পুলিশ অফিসার তাকে ৫৭ ধারা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সে যদি কোন অপরাধ করেছে বলে বিশ্বাস করবার কারণ না থাকলে তৎক্ষনাত তাকে ছেড়ে দিতে হবে।

৬০

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেট অথবা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট নিয়ে যেতে হবেঃ বিনা পরোয়ানা গ্রেফতারী পুলিশ অফিসার অনাবশ্যক বিলম্ব করে ম্যাজিস্ট্রট অথবা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন।

৬১

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে চব্বিশ ঘন্টার অধিক আটক রাখা যাবে নাঃ ১৬৭ ধারা অনুসারে ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ আদেশ না থাকলে এরুপ আটকের সময় গ্রেফতারের স্থান হতে আদালতে যাবার সময় বাদ দিয়ে ২৪ অধিক হবে না।

৬২

পুলিশ গ্রেফতার সম্পর্কে খবর দিবেঃ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারগণ মেট্রোপলিটন এলাকায় চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট/জেলা ম্যাজিস্টেটের নিকট বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি এবং তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে সংবাদ দিবেন।

৬৩

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি খালাসঃ যে ব্যক্তি পুলিশ অফিসার কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে তার নিজের মুচলেকা/জামিন/ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ আদেশ ব্যতীত ছেড়ে দেওয়া যাবে না।

৬৪

ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধঃ কোন ব্যক্তি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ করলে তিনি নিজে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারেন।

৬৫

ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধঃ যখন কোন ব্যক্তি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কোন অপরাধ করে , তখন তিনি নিজে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারেন।

৬৬

আসামী পলায়ন করলে তাকে অনুসরণ ও পুনরায় গেফতারের ক্ষমতাঃ কোন ব্যক্তি যদি আইনসঙ্গত হেফাজত হতে পলায়ন করে সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার জন্য বাংলাদেশের যে কোন স্থানে তাকে অনুসরণ করে গ্রেফতার করা যাবে।

৬৭

৬৬ ধারা অনুসারে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে ৪৭, ৪৮, ৪৯ ধারার ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবেঃ ৪৭, ৪৮, ৪৯ ধারার  বিধান অনুসারে ৬৬ ধারা অনুসারে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, যদিও এইরুপ গ্রেফতারকারী ব্যক্তি পরোয়ানা অনুসারে কাজ করতেছে না এবং গ্রেফতারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার নহেন।

৬৮

সমনের ফরমঃ

(১) কোন আসামী বা সাক্ষীকে নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আদালতের বিচারক কর্তৃক বিস্তারিত বিবরণ সম্বলিত দুই কপিতে লিখিত, স্বাক্ষরিত এবং সীলমোহরযুক্ত আদেশনামা তাকেই সমন (Summon) বলে।

সমন কে জারি করবেঃ

(২) সমন পুলিশ দ্বারা বা সমন প্রদানকারী আদালতের কোন অফিসার অথবা অন্য কোন সরকারি কর্মচারী দ্বারা জারি করতে পারেন।

৬৯

 সমন কেমন করে জারি হবেঃ

(১) যার নামে সমন জারি করা হবে সম্ভব হলে সমনের ২ কপির ১টি তার নিকট প্রদান করে ব্যক্তিগতভাবে সমন জারি করতে হবে।

(২) সমন জারিকারক অফিসার দাবি করলে যাদের নামে সমন জারি করা হল, তাদের প্রত্যেককে দ্বিতীয় কপি সমনের অপর পূষ্টায় স্বাক্ষর করে প্রাপ্তি স্বীকার করতে হবে।

(৩) বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির উপর সমন জারি করতে হলে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির ম্যানেজারের নিকট পৌঁছে দিলে বা ডাক যোগে দিলেও সমন জারি হবে।

৭০

যার উপর সমন জারি করা হবে তাকে পাওয়া না গেলে তার পরিবারের কোন সাবালক পুরুষের নিকট সমনের এক কপি প্রদান করে অপর কপিতে তার স্বাক্ষর নিতে হবে।

৭১

যার উপর সমন জারি করা হবে তাকে পাওয়া না গেলে বা তার পরিবারের কোন সাবালক পুরুষ সদস্য ও পাওয়া না গেলে সে ক্ষেত্রে ঘরের দরজা বা প্রকাশ্য স্থানে দুইজন স্বাক্ষীর মোকাবেলায় দুই কপির এক কপি লটকিয়ে জারি করে অপর কপিতে স্বাক্ষীদের স্বাক্ষর নিয়ে সমন জারি করতে হবে।

৭২

যে ব্যক্তির উপর সমন জারি করা হবে উক্ত ব্যক্তি যদি সরকারী কমচারী হয় সে ক্ষেত্রে সে যে অফিসে কমরত রয়েছে তার প্রধান কমকর্তার বরাবর দুই কপি প্রেরন করতে হবে। উক্ত প্রধান কমকর্তা সমনের দুই কপি প্রাপ্তির পর যার নামে সমন ইস্যু করা হয়েছে তার নিকট জারি করে এক কপিতে  প্রাপ্তি স্বীকারের স্বাক্ষর নিয়ে সংশ্লিষ্ট কোর্টে ফেরৎ ‍দিতে হবে।

৭৩

আদালত কর্তৃক প্রদত্ত সমন উক্ত আদালতের এখতিয়ারের সীমা রেখার বাহিরে কোন স্থানে জারি করতে হলে তখন সমন কৃত ব্যক্তি যে ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারের সীমা রেখার মধ্যে আছে বা বাস করেন উক্ত আদালত দুই কপি সমন সেই ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরন করবেন। এবং তথা তা জারি করবেন।

৭৫

গ্রেফতারী পরোয়ানা ফরমঃ

কোন আসামী বা স্বাক্ষীকে আদালতে হাজির করার জন্য আদালত কর্তৃক লিখিত, স্বাক্ষরিত, সীলমোহর কৃত আদেশ নামাকেই গ্রেফতারী পরোয়ানা (warrant of Arrest) বলে।

গ্রেফতারী পরোয়ানা বলবৎ থাকাঃ

গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল না হওয়া পর্যন্ত অথবা ইস্যুকারী আদালত কর্তৃক বাতিল না করা পর্যন্ত ইহা বলবৎ থাকবে।

৭৬

আদালত জামানত গ্রহনের নির্দেশ দিতে পারেনঃ

(১) যে ব্যক্তিকে গ্রেফতারের জন্য পরোয়ানা প্রদান করা হল উক্ত ব্যক্তি আদালতে হাজির হবে বলে পর্যাপ্ত জামিনদারসহ একটি মুচলেকা দিলে পরোয়ানা প্রয়োগকারী অফিসার জামিনসহ হেফাজত হতে মুক্তি দিবেন।

(২) পরোয়ানায় লিখিত নির্দেশে নিম্নলিখিত বিষয় উল্লেখ থাকবেঃ

(ক) জামিনদারের সংখ্যা

(খ) যে পরিমান অর্থের জন্য জামিনদারগণ এবং সেই ব্যক্তির গ্রেফতারের জন্য পরোয়ানা প্রদান করা হয়েছে সে ব্যক্তি যথাক্রমে দায়ী থাকবে এবং

(গ) তার আদালতে হাজির হওয়ার সময় মুচলেকাপত্র আদালতে প্রেরণ করতে হবে।

(৩) এই ধারা অনুযায়ী যখন জামিন গ্রহণ করা হবে তখন যে অফিসারের উপর পরোয়ানা নির্দেশিত হয়েছে সে অফিসার মুচলেকাটি আদালতে প্রেরণ করবে।

৭৭

১। গ্রেফতারী পরোয়ানা এক বা একাধিক পুলিশ অফিসার তামিল করতে পারেন। কোন পুলিশ অফিসার পাওয়া না আদালত অন্য কোন ব্যক্তি দ্বারা গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করাতে পারেন।

২। যখন কোন পরোয়ানা একাধিক অফিসার বা ব্যক্তির উপর নির্দেশিত হয় তখন এক বা একাধিক ব্যক্তি তা কার্যকর করতে পারেন।

৭৮

জমির মালিক প্রমুখ ব্যক্তির নিকট পরোয়ানা প্রেরণ করা যেতে পারেঃ

(১) কোন পলাতক আসামী, ঘোষিত অপরাধী, জামিনের অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত এবং গ্রেফতার হতে পলাতক তাকে গ্রেফতার করার জন্য জমির মালিক, কৃষক বা জমির ম্যানেজারের উপর পরোয়ানা নির্দেশিত করতে পারেন।

(২) জমির মালিক পরোয়ানা প্রাপ্তি স্বীকার করবেন এবং তার জমিতে থাকলে বা প্রবেশ করলে এ পরোয়ানা কার্যকর করবেন।

(৩) যার বিরুদ্ধে পরোয়ানা দেয়া হয়েছে সে গ্রেফতার হলে পরোয়ানাসহ নিকটতম পুলিশ অফিসারের নিকট সমর্পন করতে হবে। ফৌজদারি কার্যবিধি ৭৬ ধারা মোতাবেক জামিন গ্রহণ করা না হলে পুলিশ অফিসার এখতিয়ার সম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করাবেন।

৭৯

পুলিশ অফিসারের উপর নির্দেশিত গ্রেফতারী পরোয়ানা অপর কোন পুলিশ অফিসার দ্বারা তামিল করা যাবে। উল্লেখ যে, এক্ষেত্রে পরোয়ানায় উপর লিখিতভাবে আদেশ প্রদান করতে হবে।

৮০

গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করার পূর্বে পরোয়ানার সারমর্ম জানাতে হবে এবং প্রয়োজন হলে পরোয়ানাটি আসামীকে দেখাতে হবে।

৮১

গ্রেফতারকারী পরোয়ানা তামিলকারী পুলিশ অফিসার গ্রেফতারকৃত আসামীকে অত্র আইনের ৭৬ ধারা ব্যবস্থার সাপেক্ষে পরোয়ানা প্রদানকৃত আদালতে হাজির করবেন এবং গ্রেফতারী পরোয়ানা ফেরত দিবেন।

৮২

গ্রেফতারী পরোয়ানা বাংলাদেশের যেকোন স্থানে কার্যকর করা যেতে পারে।

৮৩

 এখতিয়ারের বাহিরে গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করতে হলে উক্ত সীমরেখার ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারের (মেট্রোপলিটন এলাকা হলে) নিকট ডাক যোগে অথবা অন্য কোন উপায়ে উহা প্রেরণ করতে হবে।

৮৪

এখতিয়ারের বাহিরে কার্যকর করার জন্য পুলিশ অফিসারের নিকট পরোয়ানা প্রেরণ

(২) নিজ এলাকার বাইরে পরোয়ানা তামিল করতে হলে উক্ত এলাকাধীন পুলিশ অফিসারের নিকট হতে পরোয়ানা উপর স্বাক্ষরসহ লিখিত নির্দেশ দিবেন এবং তথায় পরোয়ানা তামিল করবেন।

(৩) এরুপ নির্দেশ বিলম্বে গৃহীত হলে বা বিলম্বে গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে নির্দেশ ছাড়াই তা করতে পারেন।

৮৫

এরুপ গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করার জন্য অত্র আইনের ৭৬ ধারা সাপেক্ষে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসারের নিকট হাজির করত হবে। 

৮৭

পলাতক ব্যক্তি সম্পর্কে ঘোষণাঃ হুলিয়া (Proclamation):  

ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৬৮ ধারা অনুযায়ী সমন, ৭৫ ধারা অনুযায়ী গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করার পরও আদালত যদি এরুপ বিশ্বাস করে যে, যার বিরুদ্ধে পরোয়ানা প্রদান করা হয়েছে, পরোয়ানা যাতে কার্যকর না হয় সেজন্য আত্নগোপন করে তাহলে আদালত উক্ত আসামীকে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য যে ঘোষণা প্রকাশ করেন তাকে হুলিয়া (Proclamation) বলে।

 

হুলিয়া জারির পদ্ধতিঃ-  

৮৭ (২) নিম্নলিখিতভাবে হুলিয়া জারি করতে হবে। যেমন- 

(ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি যেখানে বাস করে সে স্থানে প্রকাশ্য ভাবে পাঠ করতে হবে। 

(খ) অভিযুক্ত ব্যক্তি সাধারণত সেখানে বাস করে সেই বাড়িতে অথবা প্রকাশ্য স্থানে প্রকাশ্য ভাবে লটকে দিতে হবে।

(গ)তার এক কপি আদালত ভবনের প্রকাশ্য স্থানে লটকে দিতে হবে।

৮৭ (৩) ঘোষণা ঘোষণা প্রদানকারী আদালত যদি এই মর্মে একটি লিখিত বিবৃতি দেন যে, ঘোষণাটি একটি নির্দিষ্ট দিনে যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে তবে বিবৃতিটি চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

৮৮

পলাতক ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোকঃ  ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৮৭ ধারা অনুযায়ী হুলিয়া জারির পরও যদি কোন ব্যক্তি ঘোষিত সময়ে মধ্যে আদালতে হাজির না হয় তাহলে ঘোষণা প্রদানকারী আদালত যে কোন সময় উক্ত ব্যক্তির স্থাবর ও অবস্থাবর সম্পত্তি হস্তগত করার যে আদেশ প্রদান করেন তাকেই সম্পত্তি ক্রোক বলে।

৮৮(১) হুলিয়া ঘোষণাকারী আদালত যে কোন সময় পলাতক আসামীর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দিতে পারেন। 

৮৮(২) পলাতক আসামী সম্পতি যদি স্থানীয় এলাকার বাহিরে হয় সেক্ষেত্রে যে জেলায় সম্পত্তি থাকবে সেই  জেলার চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর অনুমতিক্রমে উক্ত সম্পত্তি ক্রোক করা যাবে। 

৮৮(৩) পলাতক ব্যক্তির অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হলে ‍উক্ত সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ জব্দ তালিকা মতে জব্দ করে মালামাল সরকারি হেফাজতে নিবেন। 

       ক) আটক করে।

       খ) রিসিভার নিয়োগ করে।

       গ) লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তরে নিষেধ করে।

       ঘ) আদালতের ইচ্ছা অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। 

৮৮ (৪) পলাতক ব্যক্তির স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেয়া হলেঃ- 

       ক) দখল গ্রহণ করে।

       খ) রিসিভার নিয়োগ করে।

       গ) লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তরে নিষেধ করে।

       ঘ) আদালতের ইচ্ছা অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। 

৮৮(৫) যে যে সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে তা যদি জীবন্ত প্রাণী হয় অথবা পচনশীল প্রকৃতির হয় তাহলে আদালত প্রয়োজন মনে করলে বিক্রয়ের আদেশ দিতে পারবেন। 

৮৮ (৬-ক) যে সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে তার কোন দাবীদার ৬ মাসের মধ্যে ক্রোককৃত সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে সেক্ষেত্রে আদালত প্রমান সাপেক্ষে উক্ত ব্যক্তির প্রাপ্ত সম্পত্তি ফেরৎ পাবে। 

৮৮ (৬-ঙ) ক্রোককৃত সম্পত্তির মালিক যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতে হাজির হয় সেক্ষেত্রে আদালত উক্ত ক্রোককৃত সম্পত্তি মুক্ত করে দিবেন। 

৮৮(৭) ক্রোককৃত সম্পত্তির মালিক যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতে হাজির না হয় তাহলে উক্ত সম্পত্তি সরকারেরে এখতিয়ারভূক্ত হবে। ক্রোকের তারিখ হতে ৬ (ছয়) মাস অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ক্রোককৃত সম্পত্তি বিক্রয় করা যাবে না।

       প্রকাশ থাকে যে, উক্ত সম্পত্তি যদি দ্রুত পচনশীল হলে আদালতের নির্দেশে উক্ত সম্পত্তি বিক্রয় করা যাবে।

৮৯

যে সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হবে উক্ত সম্পত্তি যদি কোন জীবন্ত প্রাণী বা পচনশীল প্রকৃতির হয় তাহলে আদালত উক্ত সম্পত্তি বিক্রয় করার আদেশ দিবেন এবং বিক্রয়লদ্ধ অর্থ যাবতীয় খরচাবলি বাদ দিয়ে এবং সম্পত্তি বিক্রয় করা না হলে ক্রোক সংক্রান্ত খরচাবলি আদায় সাপেক্ষে ক্রোকী সম্পত্তির বাকী অর্থ মালিককে ফেরৎ দেওয়া হবে। ‍কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রোকী সম্পত্তির মালিক হাজির না হয় তাহলে ক্রোককৃত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

93(L)

বাংলাদেশের বাহিরে কার্যকর করবার জন্য পরোয়ানা প্রেরণ:

বাংলাদেশের কোন আদালত কর্তৃক কোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের জন্য কোন পরোয়ানা বাংলাদেশের বাহিরে কোন সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এখতিয়ার বলে কার্যকর করতে চাইলে আদালত উক্ত পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য ডাকযোগে বা অন্য কোন উপায়ে বৈদেশে উক্ত আদালতের বিচারকের নিকট প্রেরণ করতে হবে।

93(গ)

বিদেশ হতে প্রাপ্ত পরোয়ানা বাংলাদেশে জারি ও কার্যকরীকরণঃ

বিদেশে অপরাধ করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসলে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশেও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করে আসামীকে বিদেশে প্রেরন করা যাবে।

৯৪

দলিলাদি অথবা অন্য জিনিস দাখি করবার সমন:

আদালত কিংবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন তদন্ত, বিচার বা অন্য কোন কার্যপরিচালনার জন্য কোন দলিল বা জিনিস যদি প্রয়োজনীয় মনে করেন তখন উক্ত আদালত বা পুলিশ অফিসার যে ব্যক্তির নিকট দলিল/জিনিস রয়েছে তাকে তা দাখিল করার জন্য সমন দিতে পারেন।

৯৫

 চিঠিপত্র ও টেলিগ্রাম- সম্পর্কিত কার্যবিধিঃ

৯৬

কখন তল্লাশি পরোয়ানা দেয়া যেতে পারেঃ

ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৯৪ ধারা অনুযায়ী মূল্যবান দলিল, ৯৫ ধারা অনুযায়ী চিঠিপত্র অথবা টেলিগ্রাফ, ৯৮ ধারা অনুযায়ী চোরাইমাল কিংবা জাল দলিল, ৯৯-ক ধারা অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত ঘোষিত প্রকাশনা, ১০০ ধারা অনুযায়ী অবৈধভাবে আটক ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য আদালত কর্তৃক যে আদেশনামা বা পরোয়ানা ইস্যু করা হয় তাকেই তল্লাশি পরোয়ানা (Search Warrent) বলে।

৯৭

পরোয়ানা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাঃ আদালত মনে করলে পরোয়ানায় এমন কোন স্থান বা ইহার অংশ বিশেষ স্থানে নির্দিষ্ট করে দিবেন এবং যে ব্যক্তির উপর পরোয়ানা কার্যকর

৯৮

যে বাড়িতে চোরাইমাল, জাল দলিল প্রভৃতি আছে বলে সন্দেহ করা হয়,  তথায় তল্লাশিঃ

৯৯ক

কতিপয় প্রকাশনা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা ও উহার জন্য তল্লাশি ওয়ারেন্ট দেওয়ার ক্ষমতাঃ

১০০

বেআইনীভাবে আটক ব্যক্তির জন্য তল্লাশিঃ কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট এরুপ বিশ্বাস করার কারণ ঘটে যে, কোন ব্যক্তিকে এমন পরিস্থিতিতে আটক রাখা হয়েছে যা অপরাধে পরিণত হয় তখন তিনি তল্লাশি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

১০২

আবদ্ধ স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি তল্লাশি করতে দিবেনঃ

(১) তল্লাশিকৃত স্থানের মালিকের অনুমতি নিতে হবে (তল্লাশি স্থান যদি বন্ধ থাকে তথায় বসবাসকারী  বা উক্ত স্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পরোয়ানা কার্যকরকারী অফিসার দাবি করলে তাকে অবাধে প্রবেশ করতে দিবেন ও তল্লাশির সকল প্রকার যুক্তিসঙ্গত সুবিধা দিবেন)।

(২) যদি উক্ত স্থানে প্রবেশ করা না যায় তবে ৪৮ ধারা অনুসারে অগ্রসর হতে পারেন।

(৩) তল্লাশিকৃত স্থানে কোন মালামাল পাওয়া গেলে উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় উদ্ধারকৃত মালামালের ০৩ (তিন) কপি জব্দ তালিকা করতে হবে এবং সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিতে হবে।

১০৩

সাক্ষীর উপস্থিতিতে তল্লাশি চালাতে হবে;

(১) তল্লাশি করার পূর্বে যেস্থানে তল্লাশি করা হবে সে স্থানের ২/৩ জন সম্মানিত অধিবাসীকে হাজির থাকতে ও তার সাক্ষী হতে আহবান জানাবেন অথবা লিখিতভাবে অনুরোধ জানাবেন

(২) স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি করতে হবে এবং তল্লাশির সময় আটক সকল জিনিস ও যে যে স্থানে সেগুলো পাওয়া গেছে তার একটি তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং সাক্ষীগন তালিকায় স্বাক্ষর

করবেন।

(৩) তল্লাশিকৃত স্থানের দখলকারী ব্যক্তি বা তার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে তল্লাশির সময় হাজির থাকার অনুমতি দিতে হবে এবং সাক্ষীগণের স্বাক্ষরিত তালিকার একটি নকল দিতে হবে।

(৪) ফৌঃ কাঃ বিঃ ১০২(৩) উপধারা অনুসারে কোন ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে কোন জিনিস পাওয়া গেলে তার একটি তালিকা তৈরি করতে  হবে এবং উক্ত ব্যক্তি অনুরোধ করলে তাকে একটি নকল দিতে হবে।

(৫) লিখিত আদেশ দ্বারা আহবান জানানো সত্বেও যে ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিত তল্লাশিতে হাজির হতে অথবা সাক্ষী হতে অস্বীকার করলে দন্ডবিধির ১৮৭ ধারায় অপরাধ করেছে বলে গন্য হবে।

১০৬

দন্ডিত হওয়ার পর শান্তিরক্ষার মুচলেকাঃ

১০৭

অন্যান্য ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষার মুচলেকাঃ

১০৮

রাষ্ট্রদ্রোহমূলক বিষয় প্রচারকের নিকট হতে সদাচরণের মুচলেকাঃ

১০৯

ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির সদাচরণের মুচলেকাঃ

১১০

অভ্যাসগত অপরাধীদের সদাচরণের মুচলেকাঃ

১২৪

মুচলেকা দিতে অপারগতার জন্য যে ব্যক্তি কারারুদ্ধ হয়েছে তাকে মুক্তিদানের ক্ষমতাঃ

(৫) চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোন ব্যক্তিকে যে শর্তে অব্যাহতি দিয়েছে তার কোনটি পালন করা হয়নি তবে অব্যাহতির আদেশ বাতিল করতে পারেন

(৬) যখন (৫) উপধারা অনুসারে শর্তাধীন অব্যাহতির আদেশ বাতিল করলে যেকোন পুলিশ অফিসার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারেন

১২৭

ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশ অফিসারের আদেশে জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গ হবেঃ

(১) কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অথবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বে-আইনী বা জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট হওয়ার কারণ হতে পারে এরূপ ৫ বা ততোধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ হবার জন্য আদেশ দিতে পারেন।

১২৮

জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেসামরিক শক্তি প্রয়োগঃ

বে-আইনী সমাবেশ এরূপ আদেশ প্রাপ্ত হওয়ার পর যদি ছত্রভঙ্গ না হওয়ার আচরণ করে তাহলে তাদেরকে গ্রেফতার করার জন্য ফৌঃ কাঃ বিঃ ৪২ ধারা মোতাবেক জনসাধারণের সাহায্য নিয়ে অগ্রসর হতে পারে এবং তাদেরকে গ্রেফতার/ আটক করা যাবে।

১২৯

সামরিক শক্তি প্রয়োগ

বে-আইনী সমাবেশ যদি অন্যকোনভাবে ছত্রভঙ্গ করা না যায় তাহলে মেট্রোপলিটন এলাকার পুলিশ কমিশনার সামরিক শক্তি তলব করে ছত্রভঙ্গ করতে পারেন।

১৪৪

উপদ্রব অথবা বিপদাশংকর জরুরী ক্ষেত্রে তৎক্ষনাৎ বলবত আদেশ জারির ক্ষমতা

১৪৯

পুলিশ আমলযোগ্য অপরাধ প্রতিরোধ করবেঃ

প্রত্যেক পুলিশ অফিসার আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ পেলে তা নিবারনের জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

১৫০

পুলিশ আমলযোগ্য অপরাধের সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন অফিসারকে জানাবেঃ

কোন পুলিশ অফিসার কোন আমলযোগ্য অপরাধের সংঘটনের যড়যন্ত্র সম্পর্কে সংবাদ পেলে তা উপরস্থ পুলিশ অফিসারকে অপরাধ নিবারন করা বা আমলে আনা অফিসারের কর্তৃব্য, সেই অফিসারকে জানাবে।

১৫১

পুলিশ আমলযোগ্য অপরাধের বিনা পরোয়ানা গ্রেফতার করবেঃ

কোন পুলিশ অফিসার যদি কোন আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটনের যড়যন্ত্রের কথা জানতে পারেন এবং তার নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, অপরাধ সংঘঠন কোনভাবে নিবারন করা যাবে না তাহলে তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ও পরোয়ানা ব্যতীত যড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করতে পারেন।

১৫২

পুলিশ সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন প্রতিরোধ করবেঃ

কোন পুলিশ অফিসার তার নিজের কর্তৃত্ববলে তার উপস্থিতিতে স্থাবর/অস্থাবর কোন সরকারি সম্পত্তি ক্ষতির চেষ্টা অথবা কোন সরকারি চিহ্ন বা বয়া বা নৌ-চলাচলের জন্য ব্যবহৃত অন্য কোন চিহ্ন অপসারণের বা ক্ষতির চেষ্টা নিবৃত্ত করার জন্য হস্তপেক্ষ করা। পিআরবি-১১৮ বিধি

১৫৩

ওজন সরঞ্জাম পরীক্ষাঃ

কোন থানার অফিসার ইনচার্জ যখন যুক্তিসঙ্গতভাবে মনে করেন যে, তার থানা এলাকার মধ্যে অবস্থিত কোন স্থানে এমন ওজন, পরিমান বা ওজনের যন্ত্রপাতি রয়েছে যা খাঁটি নয় তখন তিনি বিনা পরোয়ানা উক্ত স্থানে প্রবেশ করে তল্লাশি করতে পারেন। উক্ত স্থানে ওজন, পরিমান বা ওজনের যন্ত্রপাতি যদি খাঁটি না হয় সেক্ষেত্রে আটক করতে পারবেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রটের নিকট আটনের সংবাদ দিবেন।

১৫৪

থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ মৌখিকভাবে দেয়া হয়, তবে তিনি তা লিপিবদ্ধ করবেন এবং সংবাদদাতাকে তা পড়ে শুনাতে হবে। লিখিতভাবে দেয়া সংবাদে সংবাদদাতা স্বাক্ষর করবেন এবং তা সারমর্ম সরকারের নির্ধারিত ফরম অনুসারে রক্ষিত একটি বইতে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

১৫৫

আমলের অযোগ্য মামলার খবরঃ

(১) থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট যখন আমলের অযোগ্য অপরাধ সংঘটনের সংবাদ দেয়া হয় তখন তিনি সংবাদের সারমর্ম জেনারেল ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করবেন এবং সংবাদদাতাকে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট যেতে বলবেন।

আমলের অযোগ্য মামলার তদন্ত

(২) ১ম শ্রেনীর বা ২য় শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত আমলের অযোগ্য মামলার তদন্ত করবেন না

(৩) এরূপ আদেশপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার তদন্তের ব্যাপারে আমলযোগ্য ঘটনার মত তদন্ত করবেন এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন কিন্তু কাউকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবেন না।

১৫৬

(১) থানার অফিসার ইনচার্জ ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত আমলযোগ্য মামলা তদন্ত করতে পারবেন।

(২) পুলিশ অফিসারের এরুপ কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি সংশ্লিষ্ট ঘটনার ব্যাপারে এই ধারা অনুসারে ক্ষমতা সম্পন্ন নয় এই বলে কোন পর্যায়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবেন না।

১৫৭

আমলযোগ্য অপরাধী সম্পর্কে সন্দেহের ক্ষেত্রে কার্যবিধিঃ

থানার অফিসার ইনচার্জ যদি কোন আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটনের সংবাদ সম্পর্কে যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ প্রসূন করেন তাহলে অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাবেন এবং ঘটনা ও পরিস্থিতি সম্পর্কে তদন্ত, অপরাধীকে খুঁজে বাহির করা ও গ্রেফতার করার জন্য তিনি ঘটনাস্থলে নিজে রওনা হবেন অথবা অন্য কোন অফিসারকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিবেন। পিআরবি-২৫৮ বিধি

থানার অফিসার ইনচার্জ যদি মনে করেন যে;

ক) অপরাধটি যদি তদন্ত করার মত পর্যাপ্ত কোন কারণ না থাকে;

খ) অপরাধটি যদি সামান্য ক্ষতিকারক কাজ হয়

গ) সংবাদদাতা তদন্ত না করার জন্য যদি আবেদন করেন।

ঘ) জনস্বার্থে যদি তদন্ত করার প্রয়োজন না হয়।

ঙ) অপরাধটি যদি দেওয়ানী প্রকৃতির হয়।

তাহলে পুলিশ অফিসার উক্ত অপরাধটি তদন্ত করা থেকে ‍বিরত থাকতে পারেন।পিআরবি-২৫৭ বিধি

১৫৮

কিভাবে ১৫৭ ধারা অনুসারে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে

১৫৯

তদন্ত ও প্রাথমিক অনুসন্ধান করার ক্ষমতা

১৬০

থানার অফিসার ইনচার্জ বা মামলা তদন্তকারী অফিসার মামলা তদন্তের স্বার্থে হাজির হওয়ার জন্য লিখিত আদেশ দিতে পারেন।

১৬১

থানার অফিসার ইনচার্জ বা মামলা তদন্তকারী অফিসার মামলা তদন্তের স্বার্থে মামলার ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন এমন ব্যক্তির মৌখিক জবানবন্দি রেকর্ড করতে পারেন অর্থাৎ পুলিশ অফিসার কর্তৃক জবানবন্দি রেকর্ড করবেন। পিআরবি- ২৬৫ বিধি

১৬২

পুলিশের নিকট প্রদত্ত বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করলেও তা সাক্ষ্যরুপে ব্যবহার করা যাবে।

১৬৩

পুলিশ অফিসার কর্তৃক কোন ব্যক্তির মৌখিক সাক্ষ্য গ্রহণ করার সময় কোন প্রকার ভয়-ভীতি, প্রতিশ্রুতি ব্যতীত সাক্ষ্য করতে হবে।

১৬৪

ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক যে কোন ব্যক্তির বা আসামীর জবানবন্দি রেকর্ডকরণ। ফৌঃ কাঃ বিঃ ৩৬৪ ধারা, পিআরবি ৪৬৭ বিধি

১৬৫

পুলিশ অফিসার কর্তৃক তল্লাশিঃ

(১) থানার অফিসার ইনচার্জ বা মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা তদন্ত কালে তার থানা এলাকার যে কোন স্থানে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারবেন।

(২) ব্যক্তিগতভাবে তল্লাশি পরিচালনা করতে হবে।

(৩) অত্র আইনের ১৬৫ (১) অনুসারে থানার অফিসার ইনচার্জ বা মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি নিজে তল্লাশি পরিচালনা করতে অসমর্থন হন তাহলে কারণ লিপিবদ্ধ করে একটি লিখিত আদেশের মাধ্যমে তার অধ:স্থন কোন পুলিশ অফিসার দ্বারা তল্লাশি করাতে পারবেন।

(৪) তল্লাশি পরোয়ানা সমপর্কে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১০২, ১০৩ ধারা বিধি বিধান অনুসরণ করে তল্লাশি করতে হবে।

(৫) তল্লাশ করে যা কিছু পাওয়া যাবে তা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করতে হবে এবং উক্ত স্থানে মালিক বা দখলদার আবেদন করলে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট তাকে নকল দিবেন।

১৬৬

থানার অফিসার ইনচার্জ কখন অপরের দ্বারা তল্লাশি পরোয়ানা প্রদান করতে পারেনঃ

(১) থানার অফিসার ইনচার্জ বা মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা তদন্তকালে অন্য জেলা বা থানার অফিসার ইনচার্জ দ্বারা একটি লিখিত আদেশের মাধ্যমে কোন স্থান তল্লাশি করতে পারেন।

(২) অনুরোধ প্রাপ্ত কর্মকর্তা ১৬৫ ধারার বিধার অনসরণ করে কোন কিছু পাওয়া না গেলে

(৩) থানার অফিসার ইনচার্জ বা মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা তদন্তকালে স্বার্থে অন্য থানা এলাকার কোন স্থানে নিজে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারবেন এবং ঐ থানার অফিসার দ্বারা তল্লাশি চালাতে পারবেন।

১৬৭

চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ততদন্ত সম্পন্ন করা না গেলে তখনকার পদ্ধতিঃ

গ্রেফতারকৃত আসামীকে ২৪ ঘন্টার বেশি সময় থানা হাজতে রাখা যাবে না। যদি আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার বা সহযোগী আসামীকে গ্রেফতারের জন্য বা কোন আলামত উদ্ধারের জন্য উক্ত আসামীকে পুনরায় পুলিষ হেফাজতে আনার প্রয়োজন হয় তখন পুলিশ অফিসার কর্তৃক আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত উক্ত আসামীকে ১৫ দিনের বেশি নয়, পুলিশ হেফাজতে রাখার আদেশ দিতে পারেন। পিআরবি ৩২৪ বিধি

১৬৮

মামলা তদন্তের ফলাফল থানার অফিসার ইনচার্জকে জানানো।

১৬৯

থানার অফিসার ইনচার্জ যদি মনে করেন যে, কোন আসামীকে আদালতে প্রেরণ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া না  তখন আসামীর নিকট থেকে মুচলেকা নিয়ে বা আসামীর পক্ষে কোন নিকট থেকে একটি মুচলেকা নিয়ে আসামীকে জামিন দিতে পারবেন। পিআরবি ৩১৭ বিধি

১৭০

সাক্ষ্য পর্যাপ্ত হলে মামলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরন করতে হবেঃ

থানার অফিসার ইনচার্জ যদি মনে করেন যে, কোন আসামীকে আদালতে প্রেরণ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে উক্ত আসামীকে ক্ষমতা সমপন্ন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করবেন অথবা অপরাধটি যদি জামিনযোগ্য হয় উক্ত আসামীর নিকট থেকে মুচলেকা নিয়ে বা আসামীর পক্ষের কোন ব্যক্তির নিকট থেকে একটি মুচলেকা নিয়ে আসামীকে জামিন দিতে পারবেন। পিআরবি ৩১৭ বিধি

১৭১

কোন স্বাক্ষী বা ফরিয়াদী যদি আদালতে হাজির হতে বা মুচলেকা সম্পাদনে অস্বীকার করে তাহলে পুলিশ অফিসার উক্ত স্বাক্ষীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করবেন।

(১) ফরিয়াদী ও সাক্ষীদিগকে পুলিশ অফিসারের সাথে যেতে বলা যাবেনা।

(২) ফরিয়াদী ও সাক্ষীদের উপর বাধা নিষেধ আরোপ করা যাবেনা।

(৩) অবাধ্য ফরিয়াদী বা সাক্ষীকে আটক করে চালান দেয়া যেতে পারে।

১৭২

মামলার তদন্তকারী অফিসার মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিদিন একটি ডাইরীতে লিপিবদ্ধ করবেন। কখন তার নিকট খবর আসল, কখন তদন্ত আরম্ভ ও শেষ করলেন, কোন কোন স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং তদন্তের ফলে যে যে পরিস্থিতি নির্ণয় হলো উহার বিবরণ উক্ত ডাইরীতে লিপিবদ্ধ করবেন, কেস ডায়েরী বলে। পিআরবি ২৬৩, ২৬৪ বিধি

১৭৩

পুলিশ অফিসারের  রিপোর্ট প্রদান (চার্জশীট) পিআরবি নিয়ম-২৭২

১৭৪

পুলিশ আত্নহত্যা/ অস্বাভাবিক মৃত্যুর সম্পর্কে অনুসন্ধান করবে এবং রিপোর্ট দিবেঃ

(১) থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার বা এ সম্পর্কে সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাবান অপর কোন পুলিশ অফিসার যদি সংবাদ পান যে, কোন ব্যক্তি (পিআরবি-৩০০)

(ক)আত্নহত্যাকরেছে অথবা

(খ) অপর কোন ব্যক্তি বা প্রানী বা কোন অস্ত্র দ্বারা বা কোন দুর্ঘটনার ফলে নিহত হয়েছে

(গ) এরূপ পরিস্থিতিতে মারা গেছে, যার ফলে যুক্তি সঙ্গতভাবে সন্দেহ হতে পারে যে, অপর কোন ব্যক্তি কোন অপরাধ করেছে তাহলে অবিলম্বে সুরতহাল তদন্তের জন্য সে স্থানের দুই বা ততোধিক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির উপস্থিতিতে সুরতহাল রিপোর্ট প্রণয়ন করবে

(২) পুলিশ অফিসার ও উপস্থিত ব্যক্তি সুরতহাল রিপোর্টে স্বাক্ষর করবেন এবং চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করতে হবে

(৩) মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে লাশটি সিভিল সার্জন/মেডেক্যাল অফিসারের নিকট প্রেরণ করতে হবে যদি লাশটি আবহাওয়ার অবস্থা ও দূরত্বের জন্য পচিয়া যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তালে প্রেরণ করার প্রয়োজন নেই

১৭৫

অস্বাভাবিক মৃত্যু বা আত্নহত্যার মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে লোকজনকে সমন দেওয়ার ক্ষমতা

১৭৬

ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ইনকোয়ারীঃ

(১) কোন ব্যক্তি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে মারা গেলে সুরতহাল করার ক্ষমতাসম্পন্ন নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেট অবশ্যই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পুলিশ অফিসার কর্তৃক অনুষ্টিত তদ ব্যতীত বা এরূপ তদন্তের পরিবর্তে ইনকোয়ারী করবেন।

 

কবর হতে লাশ তোলার ক্ষমতা-

(২) যে লাশ ইতিমধ্যে কবরস্থ করা হয়েছে, উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট যদি মৃত্যুর কারণ আবিস্কারের জন্য তা পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন মনে করে, তাহলে তিনি লাশটি কবর হতে তুলতে এবং পরীক্ষা করাতে পারবেন।

১৯৯

ব্যভিচার ও বিবাহিত স্ত্রী লোককে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়ে মামলা

২৪১-ক

আসামীকে যখন অব্যাহতি দেয়া হবে

৩৩৭

অপরাধীর সহযোগীকে ক্ষমার প্রস্তাব (রাজসাক্ষী)

৩৩৮

ক্ষমার প্রস্তাব দিবার নির্দেশ দানের ক্ষমতা

৩৩৯

যাহাকে ক্ষমার প্রস্তাব করা হইয়াছে তাহার বিচার

৩৩৯-খ

আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচার

৩৩৯-গ

মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমা

(১) ম্যাজিস্ট্র্রেট বিচারের জন্য মোকদ্দমা প্রাপ্ত তারিখ হইতে ১৮০ দিনের মধ্যে অবশ্যই বিচার সমাপ্ত কিরবেন

(২) দায়রা জজ, অতি: দায়রা জজ, সহকারী দায়রা জজ হলে ২৬০ দিনের 

৩৪২

আসামীর জবানবন্দি গ্রহণ করিবার ক্ষমতা

৩৪৩

তথ্য প্রকাশের জন্য কোন প্রভাব ব্যবহার করা যাবেনা

৪০১

দন্ড স্থগিত বা মওকুফ করিবার ক্ষমতা

(৩) যে সকল শর্তে দন্ড স্থগিত করা হয়েছে তার কোনটি পালন করা হয়নি বলে মনে করলে সরকার দন্ড স্থগিত বা মওকুফের আদেশ বাতিল করলে যেকোন পুলিশ অফিসার তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারেন

৪০৩

একবার দন্ডিত হলে বা খালাস পেলে পূণরায় কাউকে বিচার করা যাবে না।

আপীল, রেফারেন্স, রিভিশন(৪১২-৪১৪)

৪১২

আসামী দোষ স্বীকার করলে কতিপয় ক্ষেত্রে আপীল চলবেনা

৪৯৬

যে সকল ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করা যাবে

৪৯৭

যখন জামিনের অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে  জামিন মঞ্জুর করা যাবে।

৫২৩

৫১ ধারা অনুসারে গৃহিত বা চোরাই মাল আটকের পর পুলিশ যে পদ্ধতি অনুসরন করবে। আটক মালের মালিক অজ্ঞাত হলে যে কার্যপদ্ধতি অনুসরন করা যাবে।

(১) ৫১ ধারা অণুসারে গৃহীত বা চোরাই বলে কথিত বা সন্দেহযুক্ত বা অপরাধ সংঘটনের সন্দেহ সৃষ্টিকারী পরিস্থিতিতে প্রাপ্ত স¤ক্সত্তি কোন পুলিশ অফিসার আটক করলে সঙ্গে সঙ্গে তা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেরূপ আদেশ দিবেন

(২) সম্পত্তি দখলের অধিকারী ব্যক্তি যদি জ্ঞাত হয় তাহা হলে ম্যজিস্ট্রেট যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেরূপ শর্তে সম্পত্তি অর্পণের আদেশ দিতে পারবেন কিন্তু উক্ত ব্যক্তি যদি অজ্ঞাত হয় ম্যাজিস্ট্রেট স¤ক্সত্তি আটক রাখতে পারবেন এবং সম্পত্তি বিস্তারিত বিবরণসহ এই মর্মে একটি ঘোষনা প্রকাশ করবেন যে উক্ত সম্পত্তিতে কারো কোন দাবি থাকলে ঘোষনা প্রকাশের ৬ মাসের মধ্যে হাজির হয়ে দাবি প্রতিষ্টিত করতে হবে।

৫২৪

৬ মাসের মধ্যে দাবিদার হাজির না হলে যে পদ্ধতি অনুসনে করতে হবে

(১) যদি উক্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ তার দাবি পেশ না করেণ তা হলে উক্ত সম্পত্তি সরকারের হেফাজতে চলে যাবে এবং উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে বিক্রয় করা যাবে

৫২৫

ক্ষয়শীল/ পচনশীল দ্রব্য বিক্রয়ের ক্ষমতা

উক্ত সম্পত্তি দখলের অধিকারী ব্যক্তি যদি অজ্ঞাত হয় বা স্বাভাবিকভাবে পচনশীল হয় বা তা মূল্য ১০ টাকার কম হয় তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট যেকোন সময় তা বিক্রয়ের নির্দেশ দিতে পারেন এবং ৫২৩ ও ৫২৪ ধারার বিধানসমূহ যথাসম্ভব উক্ত বিক্রয়লব্দ অর্থের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে

৫৫০

চোরাই বলে সন্দেহ জনক মাল আটক করার ব্যাপারে পুলিশের ক্ষমতা।

৫৫১

উর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারের ক্ষমতাঃ

থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার তার থানার  এলাকার মধ্যে যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে উর্ধ্বতন পদের অফিসারগনও সেসকল ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।

৫৬১

স্বামী কর্তৃক ধর্ষণের অপরাধ সম্পর্কে বিধান।

(১) চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতীত অন্যকোন ম্যাজিস্ট্রেটঃ-

(ক) স্বামী কর্তৃক স্ত্রী ধর্ষনের অপরাধ আমলে গ্রহণ করবেনা

(খ) লোকটিকে উক্ত অপরাধের বিচারের জন্য প্রেরণ করবেন না

(২) ম্যাজিস্ট্রেট যখন (১) উপধারায় উল্লেখিত অপরাধ সম্পর্কে কোন পুলিশ অফিসার কর্তৃক তদন্তের নির্দেশ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তখন পুলিশ ইন্সপেক্টর পদের নিম্নপদস্থ কোন অফিসারকে নিয়োগ করা যাবে না

৫৬৫

পূর্বে দন্ডিত অপরাধীগনের ঠিকানা অবগত করার আদেশ।

(৩) দণ্ড ভোগের পর মুক্ত অপরাধীদের বাসস্থান পরিবর্তন বা বাসস্থান হতে অণুপস্থিতি বিজ্ঞপ্তিকরণ সম্পর্কে এ ধারার বিধান প্রয়োগের জন্য সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারেন।

 

 ফৌজদারি কার্যবিধি আইন, Index of Laws, আইনের সূচী, Law Guide Of Bangladesh Police
My Ping in TotalPing.com

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post