উত্তরঃ
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ ধারা অনুসারে পরোয়ানা ব্যতীত তল্লাশি ইত্যাদির ক্ষমতা ও পদ্ধতি নিম্নেআলোচনা করা হলোঃ
(১) মহাপরিচালক বা তার নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বা পুলিশের পরিদর্শক বা কাস্টমসের পরিদর্শক বা সমমানসম্পনড়ব বা তদুর্ধ্ব কোন কর্মকর্তা বা বাংলাদেশ রাইফেলস এর অধস্তন বা তদুর্ধ্ব কোন কর্মকর্তা বা কোস্ট গার্ড বাহিনীর কোন সদস্যের এরূপ বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, এই আইনের অধীন কোন অপরাধ কোন স্থানে সংঘটিত হয়েছে বা হচ্ছে বা হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাহলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করে তিনি যে কোন সময়--
(ক) উক্ত স্থানে প্রবেশ করে তল্লাশি করতে পারবেন এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হলে, বাধা অপসারণেল জন্য দরজা-জানালা ভাঙ্গাসহ যে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন,
(খ) উক্ত স্থানে তল্লাশিকালে প্রাপ্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য মাদকদ্রব্য বা বস্তু এই আইনের অধীন আটক বা বাজেয়াপ্তযোগ্য বস্তু এবং এই আইনের অধীন কোন অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোন দলিল দস্তাবেজ বা জিনিসপত্র আটক করতে পারবেন,
(গ) উক্ত স্থানে উপস্থিত যে কোন ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করতে পারবেন,
(ঘ) উক্ত স্থানে উপস্থিত যে কোন ব্যক্তিকে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ করেছেন বা করতেছেন বলে সন্দেহে গ্রেফতার করতে পারবেন।
(২) উপধারা: উক্ত আইনের ৩৩ ধারার অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোন বস্তু আটক করা হয় কিন্তু উহার সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে পাওয়া না যায় তাহলে মহাপরিচালক বা তার নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা, যিনি বস্তুটি আটককারী কর্মকর্তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হবেন, লিখিত আদেশ দ্বারা উহা বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন।
(৩) উপ ধারা (১) এ যা কিছুই থাকুক না কেন, সূর্যাস্ত হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোন স্থানে প্রবেশ করে তল্লাশি পরিচালনা না করলে অপরাধ সম্পর্কীয় কোন বস্তু নষ্ট বা লুপ্ত হওয়ার বা অপরাধী পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে উক্ত ধারায় উল্লিখিত কোন কর্মকর্তার বিশ্বাস করার সঙ্গত কারণ তাকলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করে তিনি উক্ত সময়ের মধ্যে উক্ত স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি করতে পারবেন।