উত্তরঃ বাংলাদেশ সংবিধান অনুসারে একজন নাগরিকের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার সমূহ নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ
১। সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ ও ৩১।
২। সরকারী চাকরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৯।
৩। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে তার মনোনীত আইনজীবির সাথে পরামর্শ এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৩(১)।
৩। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করতে হবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৩(২)
৪। সকল প্রকার জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধ। শ্রমের ক্ষেত্রে কাউকে বাধ্য করা যাবে না। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৪
৫। জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধ চলাফেরা, ইহার যে কোন স্থানে বসবাস ও বসতিস্থাপন এবং বাংলাদেশ ত্যাগ ও বাংলাদেশে পুনঃপ্রবেশের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৬।
৬। জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭।
৭। জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৮।
৮। জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে কোন পেশা বা বৃত্তি গ্রহণ বা যে কোন আইনসঙ্গত কারবার বা ব্যবসা পরিচালনার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪০।
৯। প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর বা অন্যভাবে বিলি ব্যবস্থার অধিকার রয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪২। ১০। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের প্রবেশ, তল্লাশী বা আটক হতে স্বীয় গৃহে নিরাপত্তালাভের অধিকার রয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৩.