উত্তর:- গ্রেফতারী পরোয়ানা:- কোন আসামী বা সাক্ষীকে গ্রেফতারের জন্য প্রিজাইডিং অফিসার বা ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক লিখিতভাবে সীলমোহরকৃত আদেশনামাকে গ্রেফতারী পরোয়ানা বলে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৭৫ ধারা। পিআরবি বিধি ৪৬৮।
গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলের পদ্ধতি নিম্নেবর্ণনা করা হলো-
১। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৭৭ ধারা মতে গ্রেফতারী পরোয়না পুলিশ অফিসারের উপর নির্দেশিত হয়। তাৎক্ষনিকভাবে পরোয়ানা কার্যকরী করার প্রয়োজনে পুলিশ অফিসার পাওয়া না গেলে আদালত অন্য এক বা একাধিক ব্যক্তির উপর নির্দেশিত করে গ্রেফতারী পরোয়ানা কার্যকরী করতে পারেন।
২। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৭৮ ধারা মতে কোন জমির মালিক বা জমির ম্যানেজারের উপর পরোয়ানা প্রেরণ করে উহা তামিল করা যেতে পারে।
৩। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৭৯ ধারা মতে কোন পুলিশ অফিসারের উপর নির্দেশিত পরোয়ানা অপর কোন পুলিশ অফিসারের দ্বারা কার্যকরী হতে পারে যদি নির্দেশ বা অনুমোদন প্রাপ্ত অফিসার পরোয়ানার উপর তার নাম লিখিতভাবে উল্লেখ করেন।
৪। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৮০ ধারা মতে যাকে গ্রেফতার করা হবে তাকে গ্রেফতারী পরোয়ানার সারমর্ম জানাতে হবে। প্রয়োজন হলে আসামী বা সাক্ষীকে পরোয়ানাটি দেখাতে হবে।
৫। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৬১, ৮১ ধারা মতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে অবিলম্বে আদালতে হাজির করতে হবে।
৬। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৮২ ধারা মতে গ্রেফতারী পরোয়ানা বাংলাদেশের যে কোন স্থানে কার্যকরী করা যাবে। পিআরবি বিধি ৩১৫।
৭। ফৌজদারী কার্যবিধির ৮৩ ধারা মতে এখতিয়ারের বাহিরে গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করা যাবে।
৮। ফৌজদারী কার্যবিধির ৯৩-খ ধারা মতে বাংলাদেশের বাহিরে গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করা যাবে।
৯। ফৌজদারী কার্যবিধির ৯৩-গ ধারা মতে বিদেশ হতে প্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা বাংলাদেশে তামিল বা কার্যকর করা যাবে।
গ্রেফতারী পরোয়ানা কার্যকরের সকল ক্ষেত্রে পিআরবি বিধি ৩১৫, ৩১৬, ৩১৭, ৪৬৮ অনুসরণ করতে হবে।