উত্তরঃ ওয়ারেন্টঃ কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার জন্য উক্ত ব্যক্তির নাম, ঠিকানা সহ মামলার নম্বর ও অপরাধের ধারা ও তামিলকারী অফিসারের নাম, পদবী উল্লেখ করে নির্ধারিত ফরমের এক কপিতে বিচারক কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও সীলমোহরযুক্ত আদেশনামাকে গ্রেফতারী পরোয়ানা বা ওয়ারেন্ট বলে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৭৫ ধারা, পিআরবি বিধি ৩১৫, ৪৬৮।
ওয়ারেন্ট মূলত কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার, আটক বা তল্লাশির জন্য আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশনামা। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৭৫ ধারা, পিআরবি বিধি ৩১৫।
ওয়ারেন্টের প্রকারভেদঃ ওয়ারেন্ট সাধারণত ০৯ প্রকার হতে পারে। যথাঃ-
১) গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট, ২) তল্লাশি ওয়ারেন্ট, ৩) জরিমানা আদায়ের ওয়ারেন্ট, ৪) ক্রোকী ওয়ারেন্ট, ৫) জেল ওয়ারেন্ট, ৬) মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট, ৭) রেলওয়ে ভ্রমণ ওয়ারেন্ট, ৮) সংযুক্তকরণ ওয়ারেন্ট, ৯) পরিচয়পত্র ওয়ারেন্ট।
মামলা অনুসারে ওয়ারেন্ট দুই প্রকার। যথা- জিআর মামলার ওয়ারেন্ট এবং সিআর মামলার ওয়ারেন্ট।
গ্রেফতারী পরোয়ানার মেয়াদঃ আসামী যতদিন পর্যন্ত গ্রেফতার না হয় বা আদালতে আত্মসমর্পণ না করে অথবা ইস্যুকারী আদালত যতদিন পর্যন্ত পরোয়ানার মেয়াদ বাতিল না করে ততো দিন পর্যন্ত গ্রেফতারী পরোয়ানার মেয়াদ বলবৎ থাকবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৭৫(২) ধারা, পিআরবি বিধি ৩২৩(ক)।