Law Guide Of Bangladesh Police

১,০০০ হাজারের বেশি প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাজানো

প্রশ্ন- ১১। পুলিশ অধঃস্তন সদস্যকে গুরুদন্ড প্রদানের (আপীলসহ) পদ্ধতি বর্ণনা করুন। কি পরিস্থিতিতে একজন এএসআই কে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যায় ?

প্রশ্ন- ১১। পুলিশ অধঃস্তন সদস্যকে গুরুদন্ড প্রদানের (আপীলসহ) পদ্ধতি বর্ণনা করুন। কি পরিস্থিতিতে একজন এএসআই কে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যায় ?

উত্তর:-

পুলিশ অধঃস্তন সদস্যকে গুরুদন্ড প্রদানের (আপীলসহ) পদ্ধতি নিম্নেবর্ণনা করা হলোঃ 
১। কোন অধঃস্তন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অন্য কোন পুলিশ সদস্য বা অন্য কোন ব্যক্তি বা জনসাধারণ কোন অভিযোগ দাখিল করলে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধান উহার প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য একজন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন এবং অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য নির্দিষ্ট সময় দিবেন। 
২। প্রাথমিক অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা অনুসন্ধান শেষে একটি প্রতিবেদন ইউনিট প্রধান/কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করবেন। 
৩। দফা নং ১ এর ক্ষেত্রে বা উক্ত ক্ষেত্র ব্যতীত কোন অধঃস্তন পুলিশ সদস্য কর্তৃক কোন অপরাধ সংঘটিত হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যকে ইউনিট প্রধান কর্তৃক ক্সকফিয়ত তলব করবেন। ক্সকফিয়তের জবাব দাখিলের জন্য ৭ (সাত) কার্যদিবস সময় দিবেন। 
৪। অভিযুক্ত বা অপরাধী কর্তৃক দাখিলকৃত .কফিয়তের জবাব সন্তোষজনক না হলে অভিযোগনামা গঠন করে অভিযুক্তের প্রতি জারী করতে হবে। অভিযোগনামার জবাব দাখিলের জন্য ১০ (দশ) কার্যদিবস সময় দিতে হবে। 
৫। অভিযোগনামার জবাব সন্তোষজনক না হলে বিভাগীয় মামলা রুজু করতঃ তদন্তের জন্য একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে এবং বিভাগীয় মামলার নথি উক্ত কর্মকর্তা কাছে হস্তান্তর করে ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবস বা প্রযোজ্য সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বা ফাইন্ডিংস দাখিলের জন্য নির্দেশ দিবেন। 
৬। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন বা ফাইন্ডিংস দাখিল করলে ইউনিট প্রধান/কর্তৃপক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবেন।  
৭। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ শাস্তি উল্লেখ করে “অস্থায়ী আদেশ” জারী করবেন এবং অস্থায়ী আদেশের আলোকে অভিযুক্তকে জবাব দাখিলের জন্য ১০ (দশ) কার্যদিবস সময় দিবেন। 
৮। অস্থায়ী আদেশের আলোকে অভিযুক্ত কর্তৃক দাখিলকৃত জবাব সন্তোষজনক না “স্থায়ী আদেশ” জারী করবেন এবং ইহার মাধ্যমে গুরুদন্ড প্রদানের জন্য বিভাগীয় মামলা কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটবে। 
৯। বিভাগীয় মামলার সকল ক্ষেত্রেই অভিযুক্তকে জবাব দাখিলের জন্য বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় সময় প্রদান, ব্যক্তিগত শুনানী, সাক্ষীকে জেরার সুযোগ, আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক বক্তব্য পেশ, সাফাই সাক্ষী হাজিরকরণের সুযোগ, চাকুরীর রেকর্ড পর্যালোচনা, অতীত কর্মকান্ড, মূল সাক্ষীগণকে পুনরায় জেরার সুযোগ ইত্যাদি সুযোগ সমূহ যথাযথভাবে দিতে হবে। 
১০। পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নি¤েড়বর কোন কর্মকর্তা কোন অধঃস্তন পুলিশ সদস্যকে গুরুদন্ড প্রদান করতে পারবেন না। কোন ইউনিটে পুলিশ সুপার কর্মরত না থাকলে বা অনুপস্থিত থাকলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশ মতে পার্শ্ববর্তী কোন ইউনিটের পুলিশ সুপার বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি করবেন। 
     আপীল পর্বঃ 
১। গুরুদন্ড প্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপীল কর্তৃপক্ষের কাছে (জেলা হলে রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন হলে পুলিশ কমিশনার) আপীল আবেদন দাখিল করতে হবে। 
২। আপীল কর্তৃপক্ষ আপীল আবেদন পাওয়ার ০১ মাস বা প্রযোজ্য সময়ের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করবেন।
৩। আপীল কর্তৃপক্ষ আপীল আবেদন পাওয়ার পর বিভাগীয় মামলার নথি, অভিযুক্তের চাকুরীর খতিয়ান বহি তার মাতৃ ইউনিটে চিঠি দিয়ে সংগ্রহ করবেন। যাবতীয় বিষয় পর্যালোচনার জন্য একজন রিভিউ কর্মকর্তা নিয়োগ দিবেন বা আপীল মঞ্জুরকারী অফিসার নিজেই পর্যালোচনা করবেন। 
৪। পর্যালোচনার স্বার্থে আপীল কর্তৃপক্ষ অপরাধীর আপীল আবেদনের অনুচ্ছেদওয়ারী জবাব সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নিকট চাইবেন। যাবতীয় পর্যালোচনা শেষে রিভিউ কর্মকর্তা আলোচ্য আপীলের বিষয়ে সুপারিশসহ প্রতিবেদন আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করবেন। 
৫। রিভিউ কর্মকর্তার সুপারিশ ও অন্যান্য সকল বিষয়াদি বিবেচনা করে আপীল কর্তৃপক্ষ আপীলের সিদ্ধান্ত দিবেন। এ সময় আপীল কর্তৃপক্ষ নিম্নদপ্তরের সিদ্ধান্ত (স্থায়ী আদেশ) বাতিল/শাস্তি কমানো/বহাল বা আপীল আবেদন খারিজ ইত্যাদি যে কোন প্রকার সিদ্ধান্ত প্রদানের ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন। 
* পুলিশ আইনের ৭ ও ২৯ ধারা এবং পিআরবি বিধি ৪৩৪, ৮৫৬, ৮৫৭, ৮৫৮, ৮৫৯, ৮৬১, ৮৮২, ৮৮৩, ৮৮৪ (ইহা সকল ইউনিটের কনস্টেবল হতে এসআই এর জন্য প্রযোজ্য, তবে যে সকল ইউনিটের জন্য বিশেষ বিধিমালা রয়েছে সে সকল ইউনিটের জন্য নয়। যেমন- ডিএমপি, এপিবিএন, এসপিবিএন ও র্যাজব-এ কর্মরতদের গুরুদন্ড প্রদানের ক্ষেত্রে পুলিশ আইন ও পিআরবি প্রযোজ্য নয়) 
* ডিএমপি (অধঃস্তন কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা), ২০০৬ এর বিধি ৪, ৬ ও ৭ (ডিএমপি- তে কর্মরত কনস্টেবল হতে ইন্সপেক্টর পদের জন্য) 
* এপিবিএন অধ্যাদেশ, ১৯৭৯ এর ১০ ধারা (এপিবিএন, এসপিবিএন ও র্যাুব-এ কর্মরতদের জন্য) 
* পুলিশ অফিসার্স (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এর ৪, ৫, ৬ ও ৭ ধারা (সকল ইউনিটের কনস্টেবল হতে ইন্সপেক্টর পদের জন্য) 
* সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ১৯৮৫ এর বিধি ৩, ৪, ৫ ও ৭ (সকল ইউনিটের ইন্সপেক্টর হতে তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাদের জন্য, শুধুমাত্র ডিএমপি’র ইন্সপেক্টর ব্যতীত) 
    নিম্নবর্ণিত পরিস্থিতিতে একজন এএসআই কে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যায়ঃ 
১। কর্তব্যচ্যুতি কোন নিয়ম স্বেচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করলে। 
২। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অবৈধ  আদেশ অমান্য করলে। 
৩। পুলিশ আইনের ৯ ধারার বিধান লংঘন করে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে চাকরী ত্যাগ করলে। 
৪। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত পুলিশের কর্ম ব্যতীত অন্য কোন কর্মে নিজেকে নিয়োজিত করলে। 
৫। ভীরুতার অপরাধে অপরাধী হলে। 
৬। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন কোন আসামীকে অন্যায়ভাবে শারীরিক নির্যাতন বা আঘাত করলে। পুলিশ আইনের ৭, ২৯ ধারা এবং পিআরবি বিধি ৪৩৪। 
৭। দন্ডবিধির ১৬১ ধারা মতে অপর কোন ব্যক্তির নিকট হতে প্রতিদান বা পারিতোষিক হিসেবে অবৈধ  পারিশ্রমিক ব্যতীত কোন বকশিশ বা পুরষ্কার গ্রহণ করলে। 
৮। দন্ডবিধির ১৬৫ ধারা মতে মামলা বা বিষয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট হতে কোন বস্তু বা সুবিধা গ্রহণ করলে। 
৯। পিআরবি বিধি ৮৭ মতে মসজিদ, মন্দির বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা আদায় করলে। 
১০। পিআরবি বিধি ১০৮ মতে সরকারী নীতির বিরুদ্ধে সমালোচনা করলে। 
১১। পিআরবি বিধি ১১০ মতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত নিলামে অংশগ্রহণ করলে। পিআরবি বিধি ৮৮০, ৮৮১।

প্রশ্ন- ১১। পুলিশ অধঃস্তন সদস্যকে গুরুদন্ড প্রদানের (আপীলসহ) পদ্ধতি বর্ণনা করুন। কি পরিস্থিতিতে একজন এএসআই কে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যায় ?
প্রশ্ন- ১১। পুলিশ অধঃস্তন সদস্যকে গুরুদন্ড প্রদানের (আপীলসহ) পদ্ধতি বর্ণনা করুন। কি পরিস্থিতিতে একজন এএসআই কে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যায় ?

প্রশ্ন- ১১। পুলিশ অধঃস্তন সদস্যকে গুরুদন্ড প্রদানের (আপীলসহ) পদ্ধতি বর্ণনা করুন। কি পরিস্থিতিতে একজন এএসআই কে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যায় ?

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post