Law Guide Of Bangladesh Police

১,০০০ হাজারের বেশি প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাজানো

প্রশ্ন- ২১। থানার আর্থিক ব্যবস্থাপনা বলতে কি বুঝায় ? তদন্ত ব্যয় ও ক্যাশ রেজিষ্টারের সংরক্ষণ ও ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করুন।

প্রশ্ন- ২১। থানার আর্থিক ব্যবস্থাপনা বলতে কি বুঝায় ? তদন্ত ব্যয় ও ক্যাশ রেজিষ্টারের সংরক্ষণ ও ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করুন।
প্রশ্ন- ২১। থানার আর্থিক ব্যবস্থাপনা বলতে কি বুঝায় ? তদন্ত ব্যয় ও ক্যাশ রেজিষ্টারের সংরক্ষণ ও ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করুন।

প্রশ্ন- ২১। থানার আর্থিক ব্যবস্থাপনা বলতে কি বুঝায় ? তদন্ত ব্যয় ও ক্যাশ রেজিষ্টারের সংরক্ষণ ও ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করুন।

উত্তরঃ

থানার আর্থিক ব্যবস্থা বা ব্যবস্থাপনাঃ থানার অফিসার ইনচার্জ এর অনুকূলে বরাদ্দকৃত সরকারী অর্থ যেমন- অর্থ.নতিক কোড নং-৪৮৯৯ অন্যান্য ব্যয়, কোড নং-৬৮২১ আসবাবপত্র খাত ও কোড নং-৪৮৯৮ বিশেষ ব্যয় (তদন্ত ব্যয়) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ দ্বারা ÒThe Public Procurement Act-2006” & ÔÔThe Public Procurement Regulations2008” এর বিধি মোতাবেক থানার জন্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, স্টেশনারী মালামাল ও তদন্ত কাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ক্রয় ও মামলার নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তার অনুকূলে তদন্ত ব্যয় নির্বাহ সংক্রান্তে যে ব্যবস্থাপনা নির্বাহ করা হয় তাকে থানার আর্থিক ব্যবস্থাপনা বলে।     
     অফিসার ইনচার্জ থানার প্রধান হিসেবে বর্ণিত তিনটি অর্থ.নতিক কোডে বরাদ্দকৃত অর্থের আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই প্রসংগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ অধিশাখা-৪ এর স্মারক নং-স্বঃমঃ(পুঃ-৪)-৬২/ ২০০৭/৮৭৮ তারিখ- ১১/১২/২০০৭ খ্রিঃ এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স স্মারক নং-বাজেট/১৮-২০০৪(অংশ-২)/ ১৩১৮ তারিখ- ২২/০৮/২০০৪ খ্রিঃ মূলে থানার অফিসার ইনচার্জ কে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। 
নিম্নে তদন্ত ব্যয় ও ক্যাশ রেজিষ্টারের সংরক্ষণ ও ব্যবহার পদ্ধতির পার্থক্য নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ 
তদন্ত ব্যয়:- অর্থ.নতিক কোড নং-৪৮৯৮ বিশেষ ব্যয় (তদন্ত ব্যয়) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত ব্যয় রেজিষ্টার ব্যবস্থাপনাঃ 
১। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ অধিশাখা-৪ এর স্মারক নং-স্বঃমঃ(পুঃ-৪)-৬২/ ২০০৭/৮৭৮ তারিখ- ১১/১২/২০০৭ খ্রিঃ মূলে থানায় রুজুকৃত মামলার নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তদন্তকালীন সময়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ব্যয় নির্বাহের জন্য মামলার প্রকৃতি অনুযায়ী নিম্নরূপ তদন্ত ব্যয় প্রদান করা যাবেঃ 
    ডাকাতি, খুন মামলা ৩০০০/- (তিন হাজার টাকা) মাত্র 
    অপহরণ মামলা ২৫০০/- (দুই হাজার পাঁচশত টাকা) মাত্র 
    দস্যুতা, অপমৃত্যু মামলা ২০০০/- (দুই হাজার টাকা) মাত্র 
    নারী ও শিশু নির্যাতন, আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধ সংক্রান্ত মামলা ১০০০/- (এক হাজার টাকা) মাত্র 
২। তদন্ত ব্যয় সংক্রান্ত অর্থ, অর্থ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত কোডে বরাদ্দ প্রদান করা হবে। এই অর্থ অন্য কোন খাতে পুনঃউপযোজন করা যাবে না। 
৩। পুলিশের সকল তদন্তকারী ইউনিট প্রধানগণ থানাওয়ারী সম্ভাব্য চাহিদা প্রেরণ করবেন। 
৪। চাহিদার প্রেক্ষিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স হতে সরাসরি বিভিন্ন থানায় বরাদ্দ প্রদান করা হবে। 
৫। এই কোডের অর্থ ব্যয়ের জন্য নিম্নোক্ত  হারে থানার ওসি’র কাছে স্থায়ী অগ্রিম রাখা যাবেঃ 
     ক) ডিএমপি’র থানায় ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ টাকা) মাত্র 
     খ) অন্যান্য মেট্রো/জেলা সদরের থানায় ৮০,০০০/- (আশি হাজার টাকা) মাত্র 
     গ) সদর ছাড়া অন্যান্য থানায় ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার টাকা) মাত্র 
     ঘ) রেলওয়ে থানায় ২০,০০০/- (বিশ হাজার টাকা) মাত্র 
     ঙ) পার্বত্য থানায় ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা) মাত্র 
৬। স্থায়ী অগ্রিম অর্থ থানার ওসি যে কোন সরকারী ব্যাংকে বা তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখবেন। ওসি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মামলা তদন্তের জন্য হাওলা করার সাথে সাথে ৫০% তদন্ত ব্যয় অগ্রিম হিসেবে চেকের মাধ্যমে প্রদান করবেন। 
৭। অগ্রিম অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন আর্থিক ক্ষমতা অনুসারে ক্ষমতাবান কর্মকর্তা প্রদান করবেন। 
৮। মামলার চার্জশিট বা ফাইনাল রিপোর্ট দাখিলের পর অবশিষ্ট ৫০% তদন্ত ব্যয় বিল দাখিল করবেন। 
৯। সকল হিসাব থানার ক্যাশ বহিতে লিপিবদ্ধ করতে হবে। পিআরবি বিধি ৪০৯। 
১০। টাকা গ্রহণ ও বিতরণের জন্য “তদন্ত ব্যয়” নামে একটি রেজিষ্টার সংরক্ষণ করতে হবে। ওসি নিজে উহা সংরক্ষণ করবেন। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ পরিদর্শনকালে উহা পরিদর্শন করবেন। 
১১। ওসি দায়িত্ব হস্তান্তরকালে এই খাতে অর্থ ব্যয়ের হিসাব ও স্থিতি বুঝিয়ে দিবেন। 
১২। ওসি অর্থ ব্যয় ও বিতরণের কোন অনিয়ম করেছেন কিনা তা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ তদারক করবেন। 
১৩। ওসি অর্থ ব্যয়ের মাসিক ব্যয় বিবরণী ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ পুলিশ সুপারের নিকট প্রেরণ করবেন। 
১৪। কোর্টের আদেশে কোন মামলা পুনরুজ্জীবিত হলে উক্ত মামলাকে নতুন মামলা হিসেবে গণ্যকরত অর্থ ব্যয় করা যাবে। 
১৫। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে রুজুকৃত অপহরণ মামলা অন্যান্য অপহরণ মামলার ন্যায় গণ্য হবে। 
১৬। বাংলাদেশ পুলিশেল অধীনস্থ অন্যান্য সংস্থা যেমন- এসবি/সিআইডি/র্যা ব/রেলওয়ে কর্তৃক মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে একই নিয়মে অর্থ ব্যয় করা যাবে। 
    পিআরবি বিধি ৪০৯ মোতাবেক ক্যাশ রেজিষ্টারের সংরক্ষণ ও ব্যবহার পদ্ধতি নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ 
১। প্রত্যেক থানায় বিপি ফরম নং ৮৫ মোতাবেক মাসিক নগদ হিসাব বা ক্যাশ রেজিষ্টার দুই প্রস্থ রাখতে হবে। ছোটখাট বিচার বিভাগীয় জরিমানা হতে আদায়কৃত অর্থ, চুরি যাওয়া এবং উদ্ধারকৃত অর্থ বা অন্য কোন সূত্র হতে প্রাপ্ত অর্থ নগদ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 
২। যাদের নিকট অর্থ দেয়া হয়েছে তাদের নাম কলাম ৮-এ অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন নাই। রসিদ চেকের মাধ্যমে গৃহীত অর্থের প্রত্যেক দিনের খরচের পৃথক পৃথক ভাউচার রাখতে হবে। 
৩। থানায় যে ব্যক্তি বা অফিস হতে অর্থ এসেছে সেই ব্যক্তি বা অফিসকে ফরম নং ৩৯ মোতাবেক একটি রসিদ চেক দিতে হবে। 
৪। থানা হতে প্রেরিত সকল অর্থের জন্য নিয়মিত রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। 
৫। সকল রসিদ ভাউচার মাস হিসেবে নম্বর দিতে হবে। 
৬। সকল চেক এবং ক্যাশ রেজিষ্টারে থানার ওসি নিজে স্বাক্ষর করবেন। 
৭। মাসের শেষে ব্যবহৃত মূল ক্যাশ রেজিষ্টার পুলিশ সুপারের অফিসে পাঠাতে হবে। ডুপ্লিকেট কপি থানায় রাখতে হবে। 
৮। নগদ অর্থ অপ্রয়োজনীয়ভাবে হাতে রাখা যাবে না। দুই মাসের বেশি সময় নগদ অর্থ হাতে থাকলে মাসিক হিসাব পেশের সময় ওসি অর্থ জমা দিতে বিলম্বের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিবেন।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post