উত্তরঃ
ওসি সাহেবের নেয়া ব্যবস্থা আইনগতভাবে অবৈধ । নিম্নেতার নেয়া ব্যবস্থার যেক্সক্তিকতা ব্যাখ্যা করা হলোঃ
১। ওসি যে কোন সময় থানা এলাকার জুয়ার আডডা বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারেন।
২। জুয়ার আড্ডায় ক্রীড়ারত ব্যক্তিদের বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারেন।
৩। জুয়ার আড্ডায় প্রাপ্ত জুয়া খেলার সরঞ্জাম জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নিতে পারেন।
৪। তিনি জুয়া খেলার অপরাধে ধৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করতে পারেন।
৫। প্রয়োজনে তিনি জুয়া খেলার অপরাধে ধৃত ব্যক্তিদের মোবাইল কোর্টে হাজির করে তাদের বিচারের ব্যবস্থা করতে পারেন।
৬। জুয়া খেলা ও আড্ডা প্রতিরোধে তিনি সমাজের লোকজনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচারনা চালাতে পারেন।
৭। জুয়া খেলা প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান চালাতে পারেন।
৮। জুয়া খেলা প্রতিরোধে নিয়মিত পুলিশ টহল আরো জোরদার করতে পারেন। পিআরবি ১১৮, ১৪১, ১৪২, ১৪৩, ৩৫৬, ৩৫৮, ৩৫৯, ২০১, ২৮০, কার্যবিধি ৯৬, ১০৩ ধারা। প্রকাশ্য জুয়া আইনের ৫ ধারা মতে যে কোন পদের পুলিশ অফিসার প্রয়োজনীয় সাহায্যকারীসহ ঘর, তাঁবু, কক্ষ, প্রাঙ্গণ বা প্রাচীরবেষ্টিত স্থান যেখানে জুয়া খেলা হচ্ছে সেখানে দিনে বা রাতে যে কোন সময় প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে প্রবেশ করে ক্রীড়ারত ব্যক্তিদের বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার, জুয়া খেলার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, অর্থ ও অন্যান্য সামগ্রী আটক করতে পারবেন। এই সময় উক্ত স্থানের যে কোন অংশ ও আটক ব্যক্তির দেহ বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারবেন। উপরে বর্ণিত আলোচনার আলোকে ওসি সাহেব কর্তৃক প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ জুয়া খেলার আসরে প্রবেশ করে এবং জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও ক্রীড়ারত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা আইনত অবৈধ । প্রকাশ্য জুয়া আইনের ৫ ধারা।