Law Guide Of Bangladesh Police

১,০০০ হাজারের বেশি প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাজানো

প্রশ্ন- ২৭। ক্রাইম সিন কাকে বলে? ক্রাইম সিন থেকে কি কি বস্তু সাক্ষ্য হিসেবে সংগ্রহ করা যায়?

উত্তরঃ

ক্রাইমসিন:- যে স্থানে অপরাধ সংঘটিত হয় সে স্থানের সার্বিক চিত্র এবং ঘটনার স্থানে অপরাধ সংঘটনের সময় অপরাধীরা সাধারণত যে সকল কর্মকান্ড করে, তার প্রত্যক্ত ও পরোক্ষ যে সকল বস্তুগত সাক্ষ্য সমূহ ফেলে যায় যার দ্বারা অপরাধ ও অপরাধীকে সনাক্ত করা সম্ভব হয় তাকে ক্রাইমসিন বলে। একজন সফল তদন্তকারী অফিসার ক্রাইমসিনে বিদ্যমান প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য, সম্ভাব্য বস্তুগত সাক্ষ্য, বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স ও ট্রেস এভিডেন্স সমূহের গুরুত্ব বিবেচনা করে তা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সংরক্ষণ ও উনড়বত পদ্ধতিতে উত্তোলন পূর্বক বিশেষজ্ঞের দ্বারা পরীক্ষা সন্দিগ্ধ ব্যক্তিকে সনাক্ত করে বিচারের সম্মুখীন করাই ইহার মূল লক্ষ্য।পিআরবি বিধি ৬৩৫, ৬৩৮। 
         ক্রাইম সিন হতে নিম্নবর্ণিত বস্তুগত সাক্ষ্য সমূহ সংগ্রহ করা যায়ঃ 
১। বিভিন্ন ধরণের ছাপ যেমন- সুপ্ত ছাপসহ আঙুলের ছাপ, মসৃণ, অমসৃণ তল যেমন- মোজাইককৃত মেঝে, টাইলস বা কার্পেটে পায়ের ছাপ, জুতার ছাপ ও টায়ার প্রিন্ট। 
২। বায়োলজিক্যাল তথা ডিএনএ সম্বলিত সাক্ষ্য যেমন- রক্ত, সিমেন বা বীর্য, বমি, মলমূত্র, থুথু, সিগারেটের শেষ অংশ, চুল, সুতা, আঁশ, টুপি বা হ্যাট, গ্লোভস, জুতা, মোজা, চুইংগাম, কোমল পানীয়ের ক্যান, পানির বোতল, ময়লা, খাদ্র দ্রব্যের অবশিষ্টাংশ, অর্ধেক বা আংশিক খাওয়া ফল, গাড়ীর চাকা খসা মাটি, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি। 
৩। আত্মহত্যার ক্ষেত্রে বিষের বোতল, ফাঁসের রশি, ওড়না, ঔষধ, ঔষধের খোসা, পরিধেয় কাপড়, নখে হাত ধরে রাখা বা নখে লেগে থাকা বস্তু, চুল, খাদ্যদ্রব্য, মানিব্যাগ, চিঠি বা চিরকুট, তছনছ করা দলিল বা কাগজপত্র ইত্যাদি। 
৪। গুলি বা বিস্ফোরণের ঘটনায়- বিস্ফোরক দ্রব্যাদি, স্পিøন্টার, আগ্নেয়াস্ত্র, ফায়ার কার্তুজ, বুলেট, বুলেটের খোসা, পিলেট, লাইভ কার্তুজ, গানশট রেসিডিও, ভাঙা কেক্সটা, ব্রিফকেস, ঘড়ির কাটা, ¯.চটেপ ইত্যাদি। 
৫। আগুন লাগার ঘটনায়- বাঁশ, কাঠের পোড়া অংশ, ছাই, বোতল, কন্টেইনার, নারিকেলের মালা, মাটির পাত্র, রঙের বোতল, ধাতব কেক্সটা, কার্পেট ইত্যাদি দগ্ধ বা অদগ্ধ অংশ। 
৬। খুনের ঘটনায়- রক্তমাখা দা, ছুরি, হাঁসুয়া, কাঁচি, অন্য যে কোন অস্ত্র, পরিধেয় পোশাক, ব্যবহৃত ঘুমের বা অন্য কোন ঔষধ, ঔষধের খোসা, ব্যাংকে জমা রশিদ, চেক বই, ব্যাংক হিসাব, অন্যান্য দলিলপত্র, ক্যান, বোতল, ব্যক্তিগত ডায়েরী, টেলিফোন ইনডেক্স, ভিজিটিং কার্ড, ফটো এলবাম, পাসপোর্ট, আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফেলে যাওয়া উচ্ছিষ্ট খাদ্যদ্রব্য, কাপ, গ্লাস, যে কোন পানীয় ইত্যাদি। 
৭। সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল ডিভাইস যেমন- ডে¯.টপ, ল্যাপটপ, হার্ডসিক্স, পেনড্রাইভ, সিডি, ডিভিডি, ফ্লপি ডিক্স, মেমোরী কার্ড, মোবাইল ফোন, সিম, রিম, হেডফোন, এমপিথ্রি প্লেয়ার, আইপড, স্টিল/ভিডিও/সার্কিট ক্যামেরা, নেটওয়ার্কিং ক্যাবল/সুইচ/হাব/রাউটার মেশিন, ক্রেডিট/ডেবিট/এটিম কার্ড, পাঞ্চ কার্ড ইত্যাদি। 
৮। চুরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে- সিঁদ কাঠি, চোরাইমাল, জাল টাকা বা জাল মুদ্রা, মাদকদ্রব্য ইত্যাদি।  এগুলো সাক্ষ্য আইনের ৯, ৪৫, ৫১ ধারা মতে আদালতে প্রাসঙ্গিক।

প্রশ্ন- ২৭। ক্রাইম সিন কাকে বলে? ক্রাইম সিন থেকে কি কি বস্তু সাক্ষ্য হিসেবে সংগ্রহ করা যায়?

প্রশ্ন- ২৭। ক্রাইম সিন কাকে বলে? ক্রাইম সিন থেকে কি কি বস্তু সাক্ষ্য হিসেবে সংগ্রহ করা যায়?

              প্রশ্ন- ২৭। ক্রাইম সিন কাকে বলে? ক্রাইম সিন থেকে কি কি বস্তু সাক্ষ্য হিসেবে সংগ্রহ করা যায়?

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post