উত্তরঃ
মৃত্যুকালীন জবানবন্দীঃ আসনড়ব মৃত্যুর সম্মুখীন কোন ব্যক্তি তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বা যে ঘটনার ফলে তার মৃত্যু ঘটছে সে সম্পর্কে কিংবা আদালতে বিচার্য কোন ঘটনায় তার অবগতি সম্পর্কে তিনি যে বিবৃতি দিয়ে থাকেন তাকে মৃত্যুকালীন জবানবন্দী বলে। সাক্ষ্য আইনের ৩২(১) ধারা, পিআরবি বিধি ২৬৬।
কোন ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ অফিসার, ডাক্তার, পুলিশ কনস্টেবল এমনকি যে কোন ব্যক্তি মৃত্যুকালীন জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করতে বা রেকর্ড করতে পারেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা।
মৃত্যুকালীন জবানবন্দী রেকর্ড করার সময় নিম্নবর্ণিত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবেঃ-
১। বিবৃতি গ্রহণ করার সময় দুইজন সাক্ষীর সামনে গ্রহণ করতে হবে এবং বিবৃতিতে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিতে হবে।
২। বিবৃতি দাতা যেরূপ ভাষায় বিবৃতি প্রদান করবেন ঠিক সেরূপ ভাষায় উহা রেকর্ড করতে হবে।
৩। বিবৃতি দাতা যে তারিখ, যে সময় ও যে স্থানে বিবৃতি প্রদান করবেন রেকর্ড করার সময় তা পরিস্কারভাবে উল্লেখ করতে হবে।
৪। বিবৃতিতে বিবৃতি দাতার স্বাক্ষর নিতে হবে। সম্ভব না হলে আঙ্গুলের ছাপ নিতে হবে।
মৃত্যুকালীন জবানবন্দী দেয়ার পর সাক্ষী যদি প্রাণে বেঁচে যায় তবে তার মৃত্যুকালীন বিবৃতি আর মৃত্যুকালীন বিবৃতি বলে বিবেচিত হবে না। তখন মৃত্যুকালীন জবানবন্দী অপ্রাসঙ্গিক। সাক্ষ্য আইনের ৩২(১) ধারা, পিআরবি বিধি ২৬৬।
