প্রশ্ন- ৩৭। চোরাচালান পণ্য উদ্ধারের একটি মামলা তদন্তকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানতে পারলেন যে, যে সকল আসামীর ঘর হতে চোরাচালানী পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে জব্দ তালিকায় সাক্ষীগণ তাদের প্রকৃত নাম না বলে ভিনড়ব নাম বলেছে। এক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা কি করবেন ?
উত্তরঃ
চোরাচালান পণ্য উদ্ধারের একটি মামলা তদন্তকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানতে পারলেন যে, যে সকল আসামীর ঘর হতে চোরাচালানী পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে জব্দ তালিকায় সাক্ষীগণ তাদের প্রকৃত নাম না বলে ভিনড়ব নাম বলেছে। এক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তার করনীয় সম্পর্কে নিম্নেআলোচনা করা হলোঃ
১। আসামীর স্থায়ী ঠিকানা একই থানায় হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তার নাম-ঠিকানা যাচাই করবেন।
২। আসামীর স্থায়ী ঠিকানা অন্য থানায় হলে উহা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় অনুসন্ধান স্লিপ প্রেরণ করবেন।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামীদের ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪, ৩৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণের মাধ্যমে সঠিক নাম ঠিকানা নিরূপণের চেষ্টা করবেন।
৪। অনুসন্ধান স্লিপের উত্তর আসার আসামীর প্রকৃত নাম ঠিকানা কেস ডায়রীতে এন্ট্রি করবেন।
৫। পরবর্তী সকল বর্ণনা/প্রতিবেদনে আসামীর প্রকৃত নাম ঠিকানা উল্লেখ করবেন এবং পাশাপাশি জব্দ তালিকা ও এজাহার ফরমে ব্যবহৃত নাম ঠিকানা উভয়ই উল্লেখ করবেন।
৬। পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের সময় জব্দ তালিকা ও এজাহারে বর্ণিত নাম ঠিকানা এবং তদন্তেপ্রাপ্ত সঠিক নাম ঠিকানা উভয়ই প্রকাশ করবেন এবং তদন্তেপ্রাপ্ত সঠিক নাম ঠিকানা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করবেন।
ফৌজদারী কার্যবিধি’র ধারা ১০৩(২), পিআরবি বিধি ২৮০। ফৌজদারী কার্যবিধি’র ধারা ১৭২, পিআরবি বিধি ২৬৩, ২৬৪, ফৌজদারী কার্যবিধি’র ধারা ১৭৩, পিআরবি বিধি ২৭২। পিআরবি বিধি ৩৮৯।