Law Guide Of Bangladesh Police

১,০০০ হাজারের বেশি প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাজানো

প্রশ্ন- ৩১। কাস্টডি পরোয়ানা কাকে বলে ? কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর আবেদনের পদ্ধতি আলোচনা করুন। কোন কোন ক্ষেত্রে কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর জন্য আবেদন করা যায় ? কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর জন্য একটি নমুনা আবেদন লিখুন।

প্রশ্ন- ৩১। কাস্টডি পরোয়ানা কাকে বলে ? কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর আবেদনের পদ্ধতি আলোচনা করুন। কোন কোন ক্ষেত্রে কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর জন্য আবেদন করা যায় ? কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর জন্য একটি নমুনা আবেদন লিখুন।

প্রশ্ন- ৩১। কাস্টডি পরোয়ানা কাকে বলে ? কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর আবেদনের পদ্ধতি আলোচনা করুন। কোন কোন ক্ষেত্রে কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর জন্য আবেদন করা যায় ? কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর জন্য একটি নমুনা আবেদন লিখুন।

উত্তরঃ কাস্টডি পরোয়ানা:- 
ফৌজদারীআদালত যে অপরাধ আমলে নিতে পারেন সেই অপরাধে আদালতে হাজিরকৃত যে কোন অপরাধী বা ব্যক্তিকে আদালত জেলহাজতে বা অন্য কোন স্থানে আটক রাখার জন্য যে পরোয়ানা ইস্যু করেন তাকে কাস্টডি পরোয়ানা বলে। আদালত জেল হাজতে আটক বা পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক বা পুলিশ পাহারায় সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আটক রাখার ক্ষেত্রে কাস্টডি পরোয়ানা জারী করতে পারেন। ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৩৫১, ১৬৭, পিআরবি বিধি ৩২৪, ৩২১। বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ৩/৪/৫ ধারা। 
    কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর আবেদনের পদ্ধতি নিম্নেআলোচনা করা হলোঃ 
১। আসামীকে গ্রেফতারের পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে প্রেরণ করা সম্ভব না হলে কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর জন্য আবেদন করতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৬০, ৬১, ৮১ ধারা।  
২। আবেদনে গ্রেফতারের সূত্র বা কোন মামলা বা ওয়ারেন্ট মূলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে। 
৩। কোন তারিখ ও সময়ে, কোন স্থান হতে আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে। 
৪। গ্রেফতারের পর আসামীকে কোথায় রাখা হয়েছে বা আসামীর বর্তমান অবস্থান, আসামীকে আদালতে না প্রেরণের সুস্পষ্ট কারণ ও ব্যাখ্যা আবেদনে উল্লেখ করতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৫১ ধারা। 
৫। আসামী চিকিৎসাধীন থাকলে কোন হাসপাতালে কত তারিখ হতে কি সমস্যা বা অসুস্থ্যতার কারণে, কোন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছে তা আবেদনে উল্লেখ করতে হবে। 
৬। আসামীর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র বা চিকিৎসা সংক্রান্তে কোন প্রত্যয়নপত্র আবেদনের সাথে সংযুক্ত করে আদালতে প্রেরণ করতে হবে। 
৭। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় বিশেষ পরিস্থিতিতে ভিকটিমকে সরকারী কোন নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার প্রয়োজন হলে হেফাজতে রাখার জন্য আবেদন করতে হবে। 
৮। উপরে বর্ণিত সকল ক্ষেত্রে বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে আটকাদেশ বা কাস্টডি পরোয়ানার বিষয়ে আদেশ জারী করতে পারেন। ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৩৫১। 
৯। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪, ৩৬৪ ধারা মতে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদানের পর আদালত উক্ত আসামীকে জেল হাজতে আটক রাখার জন্য কাস্টডি পরোয়ানা জারী করতে পারেন।  

 কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর জন্য একটি নমুনা আবেদন নিম্নেউল্লেখ করা হলোঃ 

বরাবর, 
চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, 
মেট্রোপলিটন আদালত 
ঢাকা। 

বিষয়ঃ কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর জন্য আবেদন। 

সূত্র:- ডিএমপি, উত্তরা থানার মামলা নং-১৪ তাং ১৪/০৫/১৬ ইং, ধারা-৩০২/৩৪ দন্ডবিধি।  

জনাব, 
যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, সূত্রে বর্নিত মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামী আনোয়ার হোসেন (৩০), পিতা- লিয়াকত হোসেন, বাড়ী নং-১০, রোড নং-১১, সেক্টর-১২, থানা-উত্তরা, ডিএমপি, ঢাকা কে গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে এই মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করছি যে, গ্রেফতারকৃত আসামী আনোয়ার হোসেন (৩০) সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় ১নং আসামী। আমি অদ্য সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাকে উত্তরাস্থ খালপাড় এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। সূত্রে বর্ণিত মামলায় তার জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পর আসামীর হার্টের ব্যাথার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়ে মোবাইল ফোনে অফিসার ইনচার্জ 
মহোদয়কে অবগত করি। অফিসার ইনচার্জের নির্দেশ মতে আসামীর চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের নিকট হাজির করি। কর্তব্যরত চিকিৎসক আসামী আনোয়ার হোসেনের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং আসামী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজেরে সিসিইউ এর বেড নং-৪ এ ডাঃ কবির হোসেনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছে। আসামী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে গ্রেফতারের ২৪ 
ঘন্টার মধ্যে আদালতে প্রেরণ করা সম্ভব হয়নি। ডাঃ কবির হোসেনের ভাষ্য ও মেডিকেল কাগজপত্র মতে আসামীর হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় তার সুচিকিৎসার জন্য কমপক্ষে ০৭ (সাত) দিন তাকে হাসপাতালে রাখা প্রয়োজন। উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকালে আসামী কোন প্রকার জখমপ্রাপ্ত হয় নাই। এমতাবস্থায়, আসামীর সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পুলিশী প্রহরায় চিকিৎসার স্বার্থে কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যু করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য যে, চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল হতে ছাড়পত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে আসামীকে অবিলেম্ব বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হবে।  

অতএব, মহোদয় সমীপে বিনীত নিবেদন এই যে, বর্ণিত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যু করতে আপনার সদয় মর্জি হয়।

সংযুক্ত:- 
১। কেস ডায়রী- ০২ পাতা। 
২। হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্তে কাগজপত্র- ০৫ পাতা। 

বিনীত

              প্রশ্ন- ৩১। কাস্টডি পরোয়ানা কাকে বলে ? কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর আবেদনের পদ্ধতি আলোচনা করুন। কোন কোন ক্ষেত্রে কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর জন্য আবেদন করা যায় ? কাস্টডি পরোয়ানা ইস্যুর জন্য একটি নমুনা আবেদন লিখুন।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post