উত্তরঃ
সাক্ষ্য বলতে কোন বিতর্কিত বিষয় বা প্রাসঙ্গিক বিষয় কিংবা বিচার্য বিষয় প্রমাণের জন্য উপস্থাপিত কোন বিবৃতি বা দালিলিক বুঝায়। সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারা।
সাক্ষ্য দুই প্রকার। যথা- ১) মৌখিক সাক্ষ্য, ২) দলিলীক সাক্ষ্য।
মৌখিক সাক্ষ্য:- সাক্ষ্য আইনের ৫৯ ও ৬০ ধারা মতে কোন বিষয়বস্তু ব্যতীত অন্য যে কোন বিষয় মৌখিক সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণ করা যায়। মৌখিক সাক্ষ্য অবশ্যই প্রত্যক্ষ হতে হবে অর্থাৎ সাক্ষী যা দেখেছে, সাক্ষী যা শুনেছে, সাক্ষী যা উপলব্ধি করেছে, সে সংক্রান্ত মৌখিক ভাষ্য প্রদান করাই মৌখিক সাক্ষ্য।
দলিলীক সাক্ষ্যঃ প্রাসঙ্গিক বিষয় বা বিচার্য বিষয় মৌখিক সাক্ষী ব্যতিরেকে দলিলী বিষয়বস্তু দ্বারা প্রমাণ করা যায়। উহাই দলিলীক সাক্ষ্য। সাক্ষ্য আইনের ৬১ ধারা।
দলিলী সাক্ষ্য দুই প্রকার। যথা- ১) প্রাথমিক সাক্ষ্য, ২) মাধ্যমিক সাক্ষ্য।
প্রাথমিক সাক্ষ্যঃ সাক্ষ্য আইনের ৬২ ধারা মতে মূল দলিল সরাসরি আদালতে হাজির করাকে প্রাথমিক সাক্ষ্য বলে।
মাধ্যমিক সাক্ষ্যঃ সাক্ষ্য আইনের ৬৩ ধারা মতে মূল দলিল আদালতে হাজির না করে অন্য কোন ভাবে এর প্রতিলিপি বা অনুলিপি উপস্থাপন করাকেই মাধ্যমিক সাক্ষ্য বলে।