উত্তরঃ চোরাইমাল দখলে রাখার অপরাধ প্রমাণের নিম্নোক্ত তিনটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবেঃ
১। চোরাইমাল আসামীর দখলে ছিল কি না ?
২। চোরাইমাল দখলকারীর দখলে আসার পূর্বে অন্য অপরাধী বা আসামীর দখলে ছিল কি না ?
৩। আসামী জেনে শুনে চোরাইমাল নিজ দখলে রেখেছেন কি না ?
চোরাইমাল দখল প্রমাণের জন্য চোরাইমালের সনাক্তকরণ মহড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সনাক্তকরণ মহড়ার আয়োজন না করতে পারলে আসামী সুবিধাপ্রাপ্ত হবে। তাই প্রধান লক্ষনীয় বিষয় হলো এজাহার গ্রহণের সময় চোরাইমালের বিস্তারিত বর্ণনা এজাহারে উল্লেখ থাকলে আসামী এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। তদন্ত চলাকালে মূল এজাহারের বাইরে চোরাইমালের তালিকা বাদীপক্ষ পুলিশ অফিসারের কাছে দিলে তা সাক্ষ্য হিসেবে আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়া অভ্যাসগতভাবে কোন ব্যক্তি চোরাইমাল বেচাকেনা করলে এবং তার দখলে চোরাইমাল পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪১১, ৪১৩ ধারায় নিয়মিত মামল রুজু করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। দন্ডবিধির ৩৭৯, ৩৮০ ধারা।