Law Guide Of Bangladesh Police

১,০০০ হাজারের বেশি প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাজানো

প্রশ্ন- ৩৫। কোন হত্যা মামলা প্রমাণের জন্য লাশের আবশ্যকতা কতটুকু ?

উত্তরঃ

কোন একটি হত্যা মামলা প্রমাণের জন্য লাশ প্রাপ্তি আবশ্যক। একটি হত্যা মামলা প্রমাণের জন্য নিম্নোক্ত  সাক্ষ্য প্রমাণ সমূহ বিজ্ঞ আদালতে প্রাসঙ্গিক। নিম্নোক্ত  সাক্ষ্য প্রমাণের প্রধান ভিত্তি হলো লাশ তা নিম্নেব্যাখ্যা করা হলোঃ 
১। সুরতহাল রিপোর্ট একটি হত্যা মামলা প্রমাণের জন্য আদালতে উপস্থাপনযোগ্য সাক্ষ্য প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। আর লাশ না পেলে সুরতহাল রিপোর্ট প্রনয়ন করা সম্ভব নয়। তাই সুরতহাল প্রস্তুতের জন্য লাশের আবশ্যকতা রয়েছে। ফৌজদারীকার্যবিধির ১৭৪, ১৭৫, পিআরবি বিধি ২৯৯। 
২। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হত্যা মামলা প্রমাণের জন্য আদালতে উপস্থাপনযোগ্য সাক্ষ্য প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। আর লাশ না পেলে ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করা সম্ভব নয়। ফলে মামলা প্রমাণে লাশের আবশ্যকতা রয়েছে। পিআরবি বিধি ৩০৬, সাক্ষ্য আইনের ৪৫ ধারা। 
৩। ক্রাইমসিন অর্থাৎ ঘটনাস্থলের ও মৃতদেহের দৃশ্যাবলীর ছবি হত্যা মামলা প্রমাণে আদালতে উপস্থাপনযোগ্য সাক্ষ্য। ক্রাইমসিন সংগ্রহের জন্য লাশের আবশ্যকতা রয়েছে। পিআরবি বিধি ৬৩৫, ৬৩৮। 
৪। বায়োলজিক্যাল বা ডিএনএ সম্বলিত যে কোন বস্তুগত সাক্ষ্য, লাশের রক্তমাখা জামা কাপড়, রক্তমাখা ছুরি বা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অন্য যে কোন অস্ত্র বা উপকরণ ইত্যাদি বিষয় মামলা প্রমাণের জন্য আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে প্রাসঙ্গিক। আর বর্ণিত আলামত সমূহ সংগ্রহের সাথে লাশের আবশ্যকতার সম্পর্ক রয়েছে। কার্যবিধি’র ধারা ১০৩(২), পিআরবি বিধি ২৮০, ৬৩৫। 
৫। মৃত্যুকালীন জবানবন্দী হত্যা মামলা প্রমাণে আদালতে প্রাসঙ্গিক। আর তাই মৃত্যুকালীন জবানবন্দী প্রদানের পর মৃত ব্যক্তির লাশ পাওয়া স্বাভাবিক। সাক্ষ্য আইনের ৩২(১) ধারা ও পিআরবি বিধি ২৬৬। 
৬। হত্যাকান্ড সংঘটন সংক্রান্তে কোন ক্যামেরায় গৃহীত ভিডিও ফুটেজ, ছবি, কথাবার্তার টেপ রেকর্ড বা ডি¯. হত্যা মামলা প্রমাণে আদালতে প্রাসঙ্গিক। ভিডিও ফুটেজে হত্যাকান্ড দেখা গেলে পরবর্তী সময়ের লাশ প্রাপ্তি স্বাভাবিক বিষয়। আইন শৃঙ্খলা বিঘড়বকারী অপরাধ দ্রুত বিচার (সংশোধন) আইন, ২০১০ এর ১৪ ধারা। 
৭। হত্যা মামলা প্রমাণে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ভিকটিম বা ক্ষতিগ্রস্থ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের জবানবন্দী বিজ্ঞ আদালতে প্রাসঙ্গিক। ফলে ঘটনা পরবর্তী সময়ে লাশ প্রাপ্তি স্বাভাবিক বিষয়। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬১ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৬৫ 
৮। অপর কোন ব্যক্তি কর্তৃক গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মারা গেলে এরূপ হত্যা মামলার ক্ষেত্রে মেডিকেল অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত “ডেথ সার্টিফিকেট বা মৃত্যু সনদ” আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে প্রাসঙ্গিক। মৃত্যু সনদের প্রধান ভিত্তিই হচ্ছে লাশ। পিআরবি বিধি ৩১২, সাক্ষ্য আইনের ৪৫ ধারা। 
৯। এজাহার মামলার প্রধান ভিত্তি ও বাদীর বক্তব্য। হত্যা মামলার এজাহারের প্রধান অংশ হলো ভিকটিম এর লাশ। ভিকটিমের লাশ না পাওয়া গেলে বা ভিকটিম অপহৃত হলে বা ভিকটিম নিখোজ হলে উহা হত্যা মামলা না হয়ে অপহরণ মামলা বা অন্য কোন বিষয়ে ধাবিত হবে। ফলে হত্যা মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে লাশের আবশ্যকতা রয়েছে। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৪, পিআরবি বিধি ২৪৩।

              প্রশ্ন- ৩৫। কোন হত্যা মামলা প্রমাণের জন্য লাশের আবশ্যকতা কতটুকু ?
প্রশ্ন- ৩৫। কোন হত্যা মামলা প্রমাণের জন্য লাশের আবশ্যকতা কতটুকু ?
              প্রশ্ন- ৩৫। কোন হত্যা মামলা প্রমাণের জন্য লাশের আবশ্যকতা কতটুকু ?

প্রশ্ন- ৩৫। কোন হত্যা মামলা প্রমাণের জন্য লাশের আবশ্যকতা কতটুকু ?

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post