উত্তরঃ
ধর্ষণ:- যদি কোন ব্যক্তি কোন নারীর সাথে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা সম্মতি ব্যতিরেকে বা মৃত্যু বা আঘাতের ভয় দেখিয়ে সম্মতিক্রমে বা ভুল বুঝাইয়া বা ভুল ধারণা দিয়ে সম্মতিক্রমে বা ১৪ বছরের কমবয়স নারীর সম্মতিক্রমে বা সম্মতি ব্যতীত যৌনসঙ্গম করে তবে তাকে ধর্ষণ বলে। দন্ডবিধির ৩৭৫ ধারা, ধর্ষণের শাস্তি দন্ডবিধির ৩৭৬ ধারা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ ধারা।
ধর্ষিতা নারীর ছবি প্রকাশে আইনে বিধিনিষেধ আছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) অনুসারে কোন নারী বা শিশু ধর্ষিতা হলে বা অপরাধের শিকার হলে সংবাদপত্রে এমনভাবে প্রকাশ করতে হবে যাতে উক্ত নারী বা শিশুর পূর্নাঙ্গ পরিচয় প্রকাশ না পায়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪(১) ধারা।
ধর্ষিতা নারীর ছবি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। যেমন- যদি কোন সাংবাদিক বা সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান উক্ত নিয়ম লংঘন করে ধর্ষণ বা অপরাধের শিকার কোন নারী বা শিশুর পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করে তাহলে দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের প্রত্যেকে ২ বছর কারাদন্ড বা অনুর্ধ্ব ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হবেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪(২) ধারা।
