উত্তরঃ
যৌতুক:- কোন বিবাহের বর পক্ষ বিবাহের সময় বা ক্সববাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে বিবাহ স্থির রাখার শর্তে কনে পক্ষের নিকট হতে কোন অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ দাবী করে বা কনে পক্ষ বিবাহ স্থির রাখার শর্তে বিবাহের পণ হিসেবে কোন অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ প্রদান করে বা প্রদানে সম্মত হয় তবে তাকে যৌতুক বলে। যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২(ঞ) ধারা।
যৌতুকের জন্য কোন নারীকে মৃত্যু, গুরুতর আঘাত বা সামান্য আঘাত করার শাস্তি নিম্নেবর্ণনা করা হলোঃ
১। যদি কোন নারীর স্বামী অথবা স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক আত্মীয় বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি যৌতুকের জন্য উক্ত নারীর মৃত্যু ঘটান বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করেন, সেক্ষেত্রে “মৃত্যু ঘটানোর জন্য মৃত্যুদন্ডে বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ডে এবং উভয় ক্ষেত্রে উক্ত দন্ডের অতিরিক্ত অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হবেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(ক) ধারা।
২। যদি কোন নারীর স্বামী অথবা স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক আত্মীয় বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি যৌতুকের জন্য উক্ত নারীকে মারাত্মক জখম করেন তাহলে মারাত্মক জখম করার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ডে বা অনধিক ১২ বছর কিন্তু অন্যূন ৫ বছর কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং উক্ত দন্ডের অতিরিক্ত অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হবেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(খ) ধারা।
৩। যদি কোন নারীর স্বামী অথবা স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক আত্মীয় বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি যৌতুকের জন্য উক্ত নারীকে সাধারণ জখম করেন তাহলে অনধিক ৩ বছর কারাদন্ড কিন্তু অন্যূন ১ বছর কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং উক্ত দন্ডের অতিরিক্ত অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হবেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারা। যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ও ৪ ধারা।