যিনি সরকারী চাকুরীতে নিযুক্ত বা বেতন ভোগী বা কোন সরকারী কর্তব্য সম্পাদন বাবদ পারিশ্রমিক গ্রহণ করে তাকেই সরকারী কর্মচারী বলে। দঃবিঃ ২১ ধারা।
ভুমির সহিত সংযুক্ত বা স্থায়ীভাবে আবদ্ধ বস্তুু ব্যতীত সকল সম্পত্তিকে অস্থাবর সম্পত্তি বলে।দঃবিঃ ২২ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি কোন সম্পত্তি অবৈধভাবে অর্জন করে বা নিজ দখলে রাখে উক্ত ব্যক্তি দখলকৃত সম্পত্তিকে অন্যায় লাভ বলে।দঃবিঃ ২৩ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তির অধিকারভ্ক্তু বা দখলকৃত সম্পত্তি হইতে বেদখলে রাখা হইলে বা অবৈধভাবে সম্পত্তিচ্যুত করা হয় তাহাকে অন্যায় ক্ষতি বলে।দঃবিঃ ২৩ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে ক্ষতি সংঘটনের উদ্দেশ্যে কিছু করলে তা অসাধুভাবে করেছে বলে গণ্য হবে।দঃবিঃ ২৪ ধারা
যদি কোন ব্যক্তি প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোন কিছু করে তাহাকেই প্রতারণামূলক ভাবে করেছে বলে গণ্য হবে।দঃ বিঃ ২৫ ধারা।
কোন দলিল বলে আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্টিত বা খারিজ বা হস্তান্তর করার জন্য অঙ্কিত বস্তুকে মূল্যবান জামানত বলে।দঃবিঃ ৩০ ধারা।
যে সমস্ত কাজ আইনে নিষেধ আছে সেই সমস্ত কাজ করলে এবং যে সমস্ত কাজ আইনে বলা আছে তা অমান্য করলে তাকে অপরাধ বলে। দঃবিঃ ৪০ ধারা , ফৌঃ কাঃ ৪(ণ) ধারা।
কোন বিচারলয়ে প্রমানের উদ্দেশ্যে আইনবলে প্রতিষ্টিত অনুমোদিত পবিত্র পতিজ্ঞা বা ঘোষনাকে হলফ বলে। দঃবিঃ ৫১ ধারা।
যথাযথ মনোযোগ বা সর্তকর্তার সহিত যা করা হয় তাকে সদ বিশ্বাস বা সরল বিশ্বাসে করেছে বলে গণ্য হবে।দঃ বিঃ ৫২ ধারা।
পাচঁ বা ততোধিক ব্যক্তি জনসাধারণের কোন স্থানে অসৎ উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়ে রাষ্ট্র বিরোধী কোন কাজ বা শান্তি ভংগের উদ্দেশ্যে কোন কাজ করলে তাকে বেআইনী সমাবেশ বলে। বেআইনী সমাবেশ নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে এক বা একাদিক হতে পারে। ১. সরকার বা সরকারী কর্মচারী বৈধ্য কাজে বাধা দেয়া বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করা। ২. আদালতের পরোয়ানা কার্যকরী কাজে বাধাদান করা । ৩. অনধিকার প্রবেশ করা বা অপরাধজনক কাজ করা। ৪. অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে সম্পত্তি দখল করা বা আইনগত অধিকার হইতে বঞ্চিত করা। ৫. অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে কোন ব্যক্তিকে আইনত বাধ্য নয় এমন কাজ করতে বাধ্য করা এবং যে কাজ টি আইনত বাধ্য সেই কাজ হইতে বিরত রাখা । দণ্ডবিধি আইন ১৪১ ধারা দণ্ডবিধি আইন ১৪৩ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি কারো দখল হতে তার সম্মতি ব্যতীত অস্থাবর সম্পত্তি অসৎ উদ্দেশ্যে স্থানান্তর করে বা নিয়ে যায় তাকে চুরি বলে । চুরির সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলে নিম্নে ৫টি উপাদান পাওয়া যায়। ১. মালিকের দখলভুক্ত সম্পত্তি হতে হবে। ২. মালিকের অনুমতি ব্যতীত হতে হবে। ৩. অস্থাবর সম্পত্তি হতে হবে। ৪. বস্তুটি নেওয়ার পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য হতে হবে। ৫. বস্তুটি অপসারণ করতে হবে। চুরির সংজ্ঞা দণ্ডবিধি আইন ৩৭৮ ধারা,চুরির শাস্তি দণ্ডবিধি আইন ৩৭৯,৩৮০,৩৮১ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি তার কাজের দ্বারা তার প্রতিবেশী বা জনসাধারনের বিরক্তিকর, ক্ষতি, বিপদ সৃষ্টি করে তাকে গণ-উপদ্রব বলে।দঃবিঃ ২৬৮ ধারা।
যে ব্যক্তি মৃত্যু ঘটাবার অভিপ্রায়ে অন্য কোন কার্যদ্বারা কাউকে মৃত্যু ঘটায় তাকে অপরাধজনক প্রাণহানি বলে।দঃবিঃ ২৯৯,৩০৪ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে কোন কার্য দ্বারা দৈহিক যন্ত্রনা ব্যধি, অপরাগতা বা বৈকল্য ঘটায় তবে তাকে আঘাত বলা হয়।দঃবিঃ- ৩১৯ ধারা।
দঃবিঃ আইনের ৩২০ ধারা বর্ণনানুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে আঘাত করে নিম্নলিখিত ক্ষতিসাধন বা বিনষ্ট করে তাকে গুরুতর আঘাত বলে। ১। যে আঘাত কোন ব্যক্তির পুরুষত্বহানী করে। ২। যে আঘাতের কারনে কোন ব্যক্তির যে কোন একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি চিরতরে নষ্ট করে। ৩। যে আঘাতের মাধ্যমে যে কোন কানের শ্রবন শক্তি স্থায়ীভাবে বিনষ্ট করা । ৪। কোন ব্যক্তির শরীরের গ্রন্থি বা অঙ্গ স্থায়ীভাবে ক্ষতি সাধন করে। ৫। শরীরে কোন অঙ্গ বা গ্রন্থির কর্মশক্তি স্থায়ীভাবে নষ্ট করা। ৬। মস্তক বা মুখমন্ডল স্থায়ীভাবে বিকৃতিকরন করা। ৭। শরীরের হাতভাঙ্গা বা গ্রন্থিচ্যুত করা। ৮। এমন আঘাত জীবন বিপন্ন করে আঘাতের কারনে ২০ দিন পর্যন্ত দৈহিক যন্ত্রনা ভোগ করে এবং সাধারন কাজ কর্ম করতে অসমর্থ হয়।দঃবিঃ ৩২০ ধারা, শাস্তি- ৩২৫ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি আক্রমনের উদ্দেশ্যে এমন কোন অঙ্গভঙ্গি করে বা প্রস্তুতি লয় বা উপস্থিত কোন ব্যক্তির ভয় হয় তাকে আক্রমন বলে।দঃবিঃ ৩৫১ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তিকে কেউ এমন ভাবে অন্যায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে যে সে ব্যক্তি নিদির্ষ্ট সীমা অতিক্রম করতে পারে না। তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে অন্যায় আটক বা অন্যায় অবরোধ করেছে বলে গণ্য হবে।দঃবিঃ ৩৪০ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েকে তাদের অভিভাবক এর অনুমতি না নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় তাকে লোক অপহরণ বলে।দঃবিঃ ৩৬১ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি প্রকৃতির নিয়মের বাহিরে কোন পুরুষ বা নারী বা পশুর সহিত যৌন সঙ্গম করে তাকে অস্বাভাবিক অপরাধ বলে।দঃবিঃ ৩৭৭ ধারা।
পাঁচ এর কম সংখ্যক লোক মিলে যদি তাৎক্ষনিক ভাবে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের ভয় দেখিয়ে কোন অস্থাবর সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাকে দস্যুতা বলে।দঃবিঃ ৩৯০,৩৯২ ধারা।
পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্রসহ সজ্জিত হয়ে কাউকে মৃত্যু বা জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে অসাধুভাবে কোন অস্থাবর সম্পত্তি নিয়ে যায় তাকে ডাকাতি বলে।দঃবিঃ ৩৯১, ৩৯৫ ধারা।
পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি সম্মিলীত হয়ে ডাকাতি করা কালে যদি ডাকাত দলের কোন এক সদস্য কর্র্তৃক কাউকে খুন করে তাকে খুনসহ ডাকাতি বলে।দঃবিঃ ৩৯৬ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির সম্পত্তির আধিপত্যের ভারপ্রাপ্ত হয়ে উক্ত সম্পত্তি অসাধুভাবে আতœসাৎ করে বা নিজে ব্যবহারে পরিণত করে তাহলে সে ব্যক্তি অপরাধমুলক বিশ্বাসভঙ্গ করেছে বলে গন্য হবে। দঃবিঃ ৪০৫ ধারা,শাস্তি ৪০৬ ধারা।
যে সম্পত্তি চুরি, জোরপূর্বক আদায় বা দস্যুতার ফলে হস্তান্তরিত হয়েছে সে সম্পত্তিকে চোরাইমাল বলে । দঃবিঃ ৪১০ ধারা, শাস্তি দঃবিঃ ৪১১ ধারা।
কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার জন্য উক্ত ব্যক্তির নাম,ঠিকানা, মামলা, নাম্বার, অপরাধের ধারা ও তামিলকারী অফিসারের নাম,পদবী উল্লেখ করে ০১(এক)কপি নির্ধারীত ফরমে ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক স্বাক্ষরীত সীলমোহরযুক্ত আদেশ নামাকে গ্রেফতারী পরোয়ানা বলে।ফৌঃ কাঃ ৭৫ ধারা,পিআরবিঃ ৩১৫,৪৬৮নিয়ম।
কোন ব্যক্তি আকস্মিকভাবে মৃত্যু বরন করলে বা আতœহত্যা করলে বা অন্য কোন কারনে মৃত্যু হলে ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা পুলিশ অফিসার হাজির হয়ে মৃত দেহের যে বর্ণনা লিপিবদ্ধ করে থাকেন তাকে সুরতহাল রিপোর্ট বলে।ফৌঃ কাঃ ১৭৪ ধারা , পিআরবিঃ ২৯৯ নিয়ম।
কোন পলাতক বা ফেরারী আসামীকে একটি নিদিষ্ট তারিখ ও সময়ে নিদিষ্ট স্থানে হাজির হওয়ার জন্য ৩০ (ত্রিশ) দিনের সময় দিয়ে নির্ধারীত ফরমে ২ কপি ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক স্বাক্ষরীত সীলমোহরযুক্ত ঘোষনা পত্রকে হুলিয়া বলে।ফৌঃ কাঃ ৮৭ ধারা, পিআরবিঃ ৪৭২ নিয়ম।
ফেরারী বা পলাতক আসামীকে আদালতে হাজির করার জন্য তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারী হেফাজতে নেওয়ার জন্য নির্ধারীত ফরমে ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক ১ কপিতে সীলমোহরযুক্ত স্বাক্ষরীত আদেশ নামাকে ক্রোক বলে।ফৌঃ কাঃ ৮৮ ধারা,পিআরবিঃ ৪৭৪ নিয়ম।
যখন কোন আদালত মনে করেন যে সাধারণ তল্লাশী বা পরিদর্শন দ্বারা কোন তদন্ত বা বিচারের কোন কার্যক্রমের উদ্দেশ্য সাধিত হবে। যেমন সন্ধিগ্ধ সম্পত্তি ,জাল দলিল চোরাইমাল, অশ্লীল বই পস্তুক বা কাউকে আটক রাখা হলে তা উদ্ধার করার জন্য আদালত হইতে ম্যাজিষ্টেট কর্তৃক নির্ধারীত ফরমে সীলমোহরযুক্ত স্বাক্ষরীত আদেশ নামাকে তল্লাশী পরোয়ানা বলে।ফৌঃ কাঃ ৯৬, ৯৮,৯৯(ক),১০০ ধারা, পিআরবি ঃ ২৮০ নিয়ম।
সাব-ইন্সপেক্টর পদের নিম্ন পদস্ত যে কোন পুলিশ কর্মচারীকে ডিউটিতে নিয়োজিত করার পূর্বে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ১০ নং বিপি ফরমে উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরীত সীলমোহরযুক্ত আদেশ নামাকে কমান্ড সার্টিফিকেট বলে।পিআরবিঃ ১৬৩,৯০৯ নিয়ম।
কোন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার মামলা তদন্তকালে মামলার তদন্তের ধারা বিবরণী যে ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে থাকেন তাকে কেস ডায়েরী বলে। ফৌঃ কাঃ ১৭২ ধারা, পিআরবি- ২৬৩,২৬৪ নিয়ম।
থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার মামলা তদন্ত শেষে যখন জানতে পারে মামলার উল্লেখিত বিষয়টি সত্য তখন তিনি বিপিনং ৩৯ এ অভিযুক্ত আসামীদের প্রকাশ্যে আদালতে বিচারের জন্য এবং অভিযুক্ত নয় এমন আসামীদের অব্যাহতির বিবরণ দিয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট যে রিপোর্ট পেশ করেন তাকে চার্জশীট বলে।ফৌঃ কাঃ ১৭৩ ধারা , পিআরবিঃ ২৭২ নিয়ম।
যখন কোন পুলিশ অফিসার কোন ম্যাজিষ্ট্রেট হইতে নির্দেশিত পরোয়ানা নিয়ে বা পরোয়ানা ব্যতীত ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০২,১০৩, ১৫৩,১৬৫,১৬৬ ধারা অনুযায়ী বা অন্য কোন আইনের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে চোরাইমাল, অপরাধজনক মালামাল, বা দলিল পত্রাদি উদ্ধার বা অন্য কোন অপরাধ সংঘটনের রহস্য বা তথ্য উদঘাটনের জন্য যে তল্লাশী বা পরিদর্শন করা হয় তাকে অনুসন্ধান বলে। ফৌঃ কাঃ ৪(ট) ধারা ,পিআরবিঃ ২৮০ নিয়ম ।
যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে ফাঁকি, ছলনা, প্রবঞ্চনা, অসাধুভাবে, দূর্নীতিমূলক ভাবে কোন সম্পত্তি প্রদানে প্ররোচিত করে তাকে প্রতারনা বলে। দঃবিঃ ৪১৫ ধারা, শাস্তি দঃবিঃ ৪১৭ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির স্ত্রীর সহিত তাহার স্বামীর সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করে যা ধর্ষনের শামিল নয় তাকে ব্যভিচার বলে।দঃবিঃ ৪৯৭ ধারা।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২য় তফসিল অনুসারে বা বাংলাদেশে বলবৎ অন্য কোন আইন অনুসারে জামিনের যোগ্য হিসাবে দেখনো হয়েছে সে সকল অপরাধকে জামিনযোগ্য অপরাধ বলে।ফৌঃকাঃ ৪(খ) ধারা।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২য় তফসিল অনুসারে এবং বাংলাদেশে বলবৎ অন্য কোন আইন অনুসারে জামিনেরযোগ্য অপরাধ ব্যতীত অন্য সকল অপরাধকে জামিনের অযোগ্য অপরাধ বলে।ফৌঃকাঃ ৪(খ) ধারা।
যে অপরাধের কারনে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২য় তফসিল অনুসারে বা অন্য কোন আইন অনুসারে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে তাকে আমলযোগ্য অপরাধ বলে।ফৌঃকাঃ ৪(চ) ধারা।
যে অপরাধের কারনে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২য় তফসিল অনুসারে বা অন্য কোন আইন অনুসারে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে না তাকে আমলের অযাগ্য অপরাধ বলে।ফৌঃকাঃ ৪(ঢ) ধারা।
কোন আমলযোগ্য বা আমলের অযোগ্য অপরাধের কারনে যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট উপস্থিত হয়ে লিখিত বা মৌখিক বিবৃতি প্রদান করে তাকে নালিশ বলে। ফৌঃ কাঃ ৪(জ)ধারা।
একটি থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ প্রধান কে অফিসার ইনচার্জ বলা হয়। থানায় যখন অফিসার ইনচার্জ অসুস্থ্য বা অন্য কোন কারনে অনুপস্থিত থাকেন তখন থানায় উপস্থিত অধস্তন অন্য কোন পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব অর্পন করলে তিনিও অফিসার ইনচার্জ হিসাবে অর্ন্তভুক্ত হবে। ফৌঃ কাঃ ৪(ত) ধারা ,পিআরবি ২০১ বিধি।
থানা বলতে বুঝি সরকার কর্তৃক সাধারনভাবে বা বিশেষভাবে ঘোষিত কোন ঘাঁটি বা স্থানকে থানা বলা হয়। তাছাড়াও সরকার কর্তৃক কোন এলাকাকে ও থানা বলে।ফৌঃ কাঃ ৪(থ)ধারা
কোন অপরাধীকে আদালতে বিচারের জন্য বা আদালতে হাজির করার জন্য তাহার ব্যক্তির স্বাধীনতাকে খর্ব করে পুলিশের হেফাজতে আনাকে গ্রেফতার বলে।ফৌঃ কাঃ ৪৬ ধারা, পিআরবি ৩১৬ বিধি।
এজাহার এর আবিধানিক অর্থ হল “প্রাথমিক তথ্য বিবরণী” থানায় কোন ধর্তব্য বা আমলযোগ্য আপরাধের সংবাদ মৌখিক বা লিখিত বিবরণ পৌছানোকে এজাহার বলে। ইহা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার বা দায়িত্ব প্রাপ্ত ডিউটি অফিসার বিপি নং ২৭,বাংলাদেশ ফরম নং ৫৩৫৬তে লিপিবদ্ধ করে থাকেন।ফৌঃ কাঃ ১৫৪ ধারা, পিআরবিঃ ২৪৩(গ)নিয়ম।
বাদী বা সাক্ষীকে আদালতে বা অন্য কোন স্থানে হাজির হওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ২ কপিতে সীল মোহরযুক্ত স্বাক্ষরীত আদেশ নামাকে সমন বলে।ফৌঃ কাঃ ৬৮ ধারা, পিআরবিঃ ৪৭১(ঘ) নিয়ম।
দণ্ডবিধি আইনের ৩৭৫ ধারা বর্ণনানুযায়ী নিম্নলিখিত পাঁচটির যে কোন অবস্থায় কোন স্ত্রী লোকের সহিত যৌন সহবাস করলে সে ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে বলে গণ্য হবে। ১.স্ত্রী লোকটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে। ২.স্ত্রী লোকটির অনুমতি ছাড়া । ৩.স্ত্রী লোকটির অনুমতিসহ যে ক্ষেত্রে তাকে মৃৃত্যু বা গুরুতর ভয় দেখানো হয়েছে। ৪.স্ত্রী লোকটির অনুমতিক্রমে, যে ক্ষেত্রে ধর্ষণকারী জানে যে, সে তার (স্ত্রী লোকটির) স্বামী নয় কিন্তু স্ত্রী লোকটি এই বিশ্বাসে সম্মতিদান করে যে, পরুষ লোকটি আইনানুগভাবে বিবাহিত বলে বিশ্বাস করে। ৫.স্ত্রী লোকটি অনুমতি সহকারে বা অনুমতি ছাড়া, যে,ক্ষেত্রে স্ত্রী লোকটির বয়স ১৪ বছর এর কম হবে। দণ্ডবিধি আইন ৩৭৫ ধারা, শাস্তি দণ্ডবিধি আইন ৩৭৬ ধারা,নারী ও শিশু নিঃ আইন ২ (ঙ)/ ৯ ধারা।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৬১ ধারা অনুসারে কোন আসামীকে ২৪ ঘন্টার অধিক সময় আটক রাখা যাবে না। তবে যদি তদন্তকারী অফিসার মনে করে যে উক্ত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চোরাইমাল উদ্ধার, অপরাধের তথ্য উদঘাটন করা ও সনাক্তকরণ করা যাবে সেই ক্ষেত্রে তদন্তকারী অফিসার জিডি করে জিডির কপি সহ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৭ ধারা মোতাবেক ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট আবেদন করবেন। আবেদন প্রাপ্তির পর ম্যাজিষ্টেট যদি যুক্তিসঙ্গত কারণ মনে করেন তাহলে ম্যাজিষ্টেট আসামীকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিবেন। এই নির্দেশ দেয়াকে পুলিশ রিমান্ড বলে।ফৌঃ কাঃ ৬১,১৬৭ ধারা,পুলিশ আইন ২৪ ধারা, পিআরবি ৩২৪,২১৩ বিধি।
চোরাই বলে কথিত বা সন্দেহ যুক্ত পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া বা কোন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত বা কোন অপরাধ সংঘটনের সন্দেহযুক্ত পরিস্থিতিতে কোন ব্যক্তির নিকট হতে পাওয়া সম্পত্তিকে সন্ধিগ্ধ সম্পত্তি বলে।ফৌঃকাঃ ৫৫০ ধারা,পিআরবি-৩৭৯ বিধি,ডিএমপি অধ্যাঃ- ৮৮ ধারা
যে সকল মৃত দেহ বা লাশের ওয়ারিশ বা দাবিদার নেই তাকে বেওয়ারিশ লাশ বলে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, দূঘটনা এই সকল কারনে যদি কারো মৃত্যু হয় তখন যদি লাশ এর পরিচয় অজ্ঞাত থাকে সেই সকল লাশকে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে গণ্য করা হয়।পিআরবি ৩১০,৩১৩,৩১৪ বিধি ।
গ্রেফতার এড়াবার জন্য যখন কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে আশ্রয়, খাদ্য, পানীয়, বাসস্থান, বস্ত্র, অথর্, অস্ত্রশস্ত্র ইত্যাদি দিয়ে সাহায্য করাকে আশ্রয়দান বলে।দঃবিঃ- ৫২-ক, ধারা।
যদি কোন স্ত্রী নিজ স্বামীকে বা কোন স্বামী তার নিজ স্ত্রীকে এইরূপ আশ্রয়দান করিলে অপরাধজন আশ্রয়দান বলে গণ্য হবে না।
দঃবিঃ আইনের ৯৯ ধারা শর্ত সাপেক্ষে নিজের জানমাল অপরের জানমাল ও সরকারী সম্পত্তি রক্ষা জন্য আক্রমনকারীর প্রতি যে প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাকে আত্মরক্ষা ব্যক্তিগত অধিকার বলে । দঃবিঃ ৯৬, ৯৭ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের সহায়তা করে উস্কানি দেয় বা পরামর্শ দেয় বা কার্যবিরতী দ্বারা সংঘটনের পথ সুগম করে দেয় তাকে প্ররোচনা বলে।দঃবিঃ ১০৭, ১০৯ ধারা।
কোন বে আইনী সমাবেশ কর্তৃক বা উহার কোন সদস্য কর্তৃক বেআইনী সমাবেশ এর সাধারন উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের জন্য বল বা উগ্রতা প্রয়োগ করা হলে তাকে দাঙ্গা বলে।দঃবিঃ ১৪৬, শাস্তি- ১৪৭ ধারা।
পাঁচ এর কম সংখ্যক লোক মিলে যদি তাৎক্ষনিক ভাবে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের ভয় দেখিয়ে কোন অস্থাবর সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাকে দস্যুতা বলে। দঃবিঃ ৩৯০,৩৯২ ধারা।
পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি অস্ত্রশস্ত্রসহ সজ্জিত হয়ে কাউকে মৃত্যু বা জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে অসাধুভাবে কোন অস্থাবর সম্পত্তি নিয়ে যায় তাকে ডাকাতি বলে। দঃবিঃ ৩৯১, ৩৯৫ ধারা।
যে সম্পত্তি চুরি, জোরপূর্বক আদায় বা দস্যুতার ফলে হস্তান্তরিত হয়েছে সে সম্পত্তিকে চোরাইমাল বলে। দঃবিঃ ৪১০ ধারা, শাস্তি দঃবিঃ ৪১১ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির সম্পত্তির আধিপত্যের ভারপ্রাপ্ত হয়ে উক্ত সম্পত্তি অসাধুভাবে আত্ত্বসাৎ করে বা নিজে ব্যবহারে পরিণত করে তাহলে সে ব্যক্তি অপরাধমুলক বিশ্বাসভঙ্গ করেছে বলে গন্য হবে। দঃবিঃ ৪০৫ ধারা,শাস্তি ৪০৬ ধারা।
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, রসায়নবিদ, সার্ভেয়ার, শিল্পী, হস্তলেখা বিশারদ, আঙ্গুলাঙ্ক বিশারদ, পদচিহ্ন বিশারদ, আগ্নেয়াস্ত্র বিশারদ,বৈজ্ঞানিক,দেশী বিদেশী আইন প্রণেতা ব্যক্তিবর্গগণ আদালতের কোন নিদিষ্ট বিষয়ে কোনো মতামত প্রদান করলে তাকে বিশেজ্ঞদের অভিমত বলে। আইনের ৪৫,৪৬,৪৭ ধারা।পিআরবি ২৯৭ বিধি।
যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির স্ত্রীর সহিত তাহার স্বামীর সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করে যা ধর্ষনের শামিল নয় তাকে ব্যভিচার বলে। দঃবিঃ ৪৯৭ ধারা।
কোন আমলযোগ্য বা আমলের অযোগ্য অপরাধের কারনে যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট উপস্থিত হয়ে লিখিত বা মৌখিক বিবৃতি প্রদান করে তাকে নালিশ বলে। ফৌঃ কাঃ ৪(জ) ধারা।
সাব-ইন্সপেক্টর বা তার নিম্ন পদস্থ যে কোন কর্মচারীকে ডিউটিতে পাঠানোর পূর্বে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ১০ নং বিপি ফরমে উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সিল মোহরযুক্ত যে অদেশ নামা প্রদান করা হয় কমান্ড সার্টিফিকেট বলে। পিআরবি ১৬৩,৯০৯ বিধি।
কোন বিষয়ে তদন্তে যাওয়ার পূর্বভাগেই যে তথ্য সংগ্র করা হয় তাকেই অনুসন্ধান বা ইনকোয়ারি বলে। যখন কোন পুলিশ অফিসার কোন ম্যাজিষ্ট্রেট বা আদালত কর্তৃক বিচার ব্যতীতকোন অপরাধ সংঘটনের রহস্য বা তথ্য উদঘাটন করে তাকে অনুসন্ধান বলে। ফৌঃ কাঃ ৪(ট) ধারা ,পিআরবিঃ ২৮০ নিয়ম, ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০২,১০৩, ১৫৩,১৬৫,১৬৬ ধারা
কোন মামলার অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার, চোরাইমাল উদ্ধার বা অপহৃতকে উদ্ধার, আমাসীর নাম ঠিকানা ও স্বভাব চরিত্র যাচাই বাচাই করার জন্য এক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট যে পত্র ইস্যূ করে থাকেন তাকে অনুসন্ধান পত্র বলে। পিআরবি ৩৮৯ বিধি।
যখন কোন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমান সংগ্রহ করতে সমার্থ না হয় তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি বিচারার্থে না নিয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিন্ধান্ত নিয়ে আদালতে বিপি নং ৪২ এ যে রিপোর্ট পেশ করেন তাকে চুড়ান্ত প্রতিবেদন। ফৌঃ কাঃ ১৭৩ ধারা, পিআরবিঃ ২৭৫ নিয়ম।
টি আই প্যারেড সনাক্তকরণ মহড়া। আটক, অপরাধ সংঘটনকারী কোন অভিযুক্ত আসামীকে জেল খানার ভিতরে বাদী বা সাক্ষী কর্তৃক সনাক্তকরণ জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট এর উপস্থিতিতে একটি নির্ধারীত তারিখ ও সময়ে যে মহড়া অনুষ্টিত হয় তাকে সনাক্তকরণ মহড়া বলে।পিআরবি ২৮২(ছ) বিধি,পিআরবি ২৮৩ বিধি ,সাক্ষ্য আইন ৯,৬৩,১৪৫ ধারা। যখন কোন অপরাধীকে গ্রেফতার বা চোরাইমাল উদ্ধার করার প্রয়োজন হয় তখন চোরাইমাল উদ্ধার বা অপরাধীকে গ্রেফতার করার জন্য বিপি নং ২৮ এ যে নোটিশ ইস্যূ করে থাকেন তাকে হৈ চৈ বিজ্ঞাপন বলে। পিআরবি ২৫০ বিধি।
দায়রা আদালতে বিচারযোগ্য কোনো অপরাধ এবং ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে দন্ডবিধি আইনের ২২১,২১৬(ক),৩৬৯,৪০১,৪৩৫ ধারা অপরাধের ক্ষেত্রে কোনো অভিযুক্ত আসামী ক্ষমা পাওয়ার আসায় অপরাধের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিজেকে জড়িয়ে সহযোগী আসামীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা সম্পপূর্ণরুপে প্রকাশ করে রাষ্ট্রের পক্ষে হয়ে আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করলে তাকে রাজসাক্ষী বলে। ফৌঃ কাঃ আইন ৩৩৭,৩৩৮ ধারা,পিআরবি ৪৫৯,৪৮৬ বিধি,সাক্ষ্য আইন ১৩৩ ধারা।
কোন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার মামলা তদন্তকালে মামলার তদন্তের ধারা বিবরণী যে ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে থাকেন তাকে কেস ডায়েরী বলে। ফৌঃ কাঃ ১৭২ ধারা ,পিআরবি ২৬৩,২৬৪ নিয়ম।
থানায় বা ফাঁড়িতে পুলিশ সদস্যেদের উপস্থিতি,প্রস্থান,হাজির, যে কোন অপরাধের সংবাদ,আসামী গ্রেফতার ও জামিন, ফোর্সদের ডিউটি বন্টনসহ দৈনন্দিন যে কোন সংবাদ আসলে তা বিপি ফরম নং ৬৫ বাংলাদেশ ফরম নং ৫৩৫৬ তে ২০০ পৃষ্ঠা সমৃদ্ধ, যে রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকেই জেনারেল ডাইরী বলা হয়। পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা,ফৌঃ কাঃ ১৫৪,১৫৫ ধারা, সাক্ষ্য আইনের ৯/৩৫ ধারা,পিআরবি ৩৭৭ বিধি
চৌকিদার বলতে সাধারণত গ্রাম পুলিশকে বোঝায়। থানা এলাকায় বা গ্রাম এলাকায় কোন অপরাধ সংঘটিত হলে, সরকারী সম্পত্তির ক্ষতি হলে, কোন সন্দেহজনক মানুষের আগমন ঘটলে, বিদেশি কারো আগমন ঘটলে, এই রকম নানান ঘটনার তথ্য জানার জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সপ্তাহে বা মাসের নির্দিষ্ট কোন দিনে চৌকিদারদের পোষাক পরিহিত অবস্থায় যে প্যারেডের আয়োজন করেন তাকেই চৌকিদার প্যারেড বলা হয়। পিআরবি ৩৬৯,৩৭০,৩৭১ বিধি।
যদি কোন ব্যাক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে ফাঁকি দিয়ে বা অসাধুভাবে অথবা মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তার স্বাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করার চেষ্টা করে তাকেই প্রতারণা বলা হয়। দঃ বিঃ ৪১৫ ধারা
যদি কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কোন কিছু প্রচার করে বেরায়, আমলযোগ্য অপরাধ করে নিজের উপস্থিতি গোপন করে বেরায়,যার প্রকাশ্য কোন জীবিকা নাই, যাকে প্রশ্ন করলে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনা, যে অভ্যাসগত চোর,গৃহভঙ্গকারী, জালিয়াতি করে বেড়ায়,যে চোরাইমাল বহন ও গ্রহণ করে,যে অপরাধীকে আশ্রয়দেয়,অপহরণের অপরাধের সাথে সংশ্লীষ্ট, জনসাধারণের শান্তি ভঙ্গের চেষ্টা করে, তাহলে আদালত এই সকল ব্যক্তিদের জন্য সদাচরণের মুচলেকার আদেশ দিতে পারেন। ফৌঃ কাঃ ১০৮,১০৯,১১০ ধারা। পিআরবি ২৮৮,২৮৯,২৯০ বিধি
আসন্ন মৃত্যুর সম্মুখীন কোন ব্যক্তি তার মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে যে উক্তি করে বা যে কারনে তার মৃত্যু ঘটতেছে সেই সম্পর্কে কোন বিবৃতি প্রদান করে তাকে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি বলে। সাক্ষ্য আইন ৩২(১)ধারা, পিআরবি ২৬৬ বিধি।
কোন দলিল বলে আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্টিত বা খারিজ বা হস্তান্তর করার জন্য অঙ্কিত বস্তুকে মূল্যবান জামানত বলে। দঃবিঃ ৩০ ধারা।
যে সমস্ত কাজ আইনে নিষেধ আছে সেই সমস্ত কাজ করলে এবং যে সমস্ত কাজ আইনে বলা আছে তা অমান্য করলে তাকে অপরাধ বলে। দঃবিঃ ৪০ ধারা , ফৌঃ কাঃ ৪(ণ) ধারা।
কোন বিচারলয়ে প্রমানের উদ্দেশ্যে আইনবলে প্রতিষ্টিত অনুমোদিত পবিত্র পতিজ্ঞা বা ঘোষনাকে হলফ বলে। দঃবিঃ ৫১ ধারা।
যখন আদালত কিংবা পুলিশ অফিসার কোন ব্যক্তিকে জামিনে বা তার নিজের মুচলেকায় মুক্তি দেওয়ার পূর্বে নিদিষ্ট পরিমান অর্থের জন্য নিদিষ্ট সময়ে বা স্থানে হাজির হওয়ার জন্য কোন ব্যক্তি বা নিজের জিম্মায় জামিনে মুক্ত হওয়ার জন্য যে লিখিত অঙ্গীকারনামা প্রদান করার আদেশ দেন তাকে বন্ড বা মুচলেকা বলা হয়। ফৌঃ কাঃ ৪৯৯ ধারা। বন্ড বা মুচলেকার জন্য দুই ধরনের আদেশ দিতে পারে: যেমন শান্তিরক্ষার মুচলেকা বা সদাচারণের মুচলেকা। কাযবিধি আইনের ১০৬,১০৭,১০৮,১০৯,১১০ ধারা
ক্রাইম সিন অর্থ হলো যে স্থানে কোন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেই স্থানের বস্তুগত সাক্ষ্য সমূহকে ক্রাইমসিন বলে। যেমন, সুপ্তছাপ,সকল প্রকার আঙ্গুলের ছাপ,সব ধরনের সারফেস,মসৃনও অমসৃন তল, মেঝ, টাইলস, রক্ত, সিমেন্স, বমি, মলমূত্র, থুথু,জুতার ছাপ,চুল, সুতা, আশ ইত্যাদি ক্রাইমসিন বস্তুগত সাক্ষ্য হতে পারে। পিআরবি ৬৩৫ নিয়ম।
অপরাধ দমন, অপরাধ প্রতিরোধ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় সমস্যা সমাধান এবং সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার নিমিত্তে পুলিশ সদস্যগণ এলাকার স্থানীয় লোকজনদের সমন্বয়ে প্রত্যান্ত গ্রাম গঞ্জে প্রতিটি লোকের সাথে খোলামেলা স্থানে বসে জনসাধারনদের নিয়ে যে খোলামেলা আলোচনা বা বৈঠক করা হয় তাকে উঠান বৈঠক বলে। উঠান বৈঠকের ফলে প্রতিটি নাগরিকের জনসচেতনা বৃদ্ধিসহ দেশের আইন শৃঙ্গলা উন্নতি হয় এবং জনসাধারনের সাথে পুলিশের একটি সেতুবন্ধন সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। যাহার ফলশ্রুতিতে একটি দেশ আরো উন্নতির লক্ষ্যে পৌছানো দ্রুত সম্ভব হয়। পুলিশ আইনের ২৩ ধারা,পিআরবি বিধি ৩৩, ১১৮, ২০৮, ২৬০ অনুসরণ করা।
দণ্ডবিধি আইনের ৩৭৫ ধারা বর্ণনানুযায়ী নিম্নলিখিত পাঁচটির যে কোন অবস্থায় কোন স্ত্রী লোকের সহিত যৌন সহবাস করলে সে ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে বলে গণ্য হবে। ১.স্ত্রী লোকটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে। ২.স্ত্রী লোকটির অনুমতি ছাড়া । ৩.স্ত্রী লোকটির অনুমতিসহ যে ক্ষেত্রে তাকে মৃৃত্যু বা গুরুতর ভয় দেখানো হয়েছে। ৪.স্ত্রী লোকটির অনুমতিক্রমে, যে ক্ষেত্রে ধর্ষণকারী জানে যে, সে তার (স্ত্রী লোকটির) স্বামী নয় কিন্তু স্ত্রী লোকটি এই বিশ্বাসে সম্মতিদান করে যে, পরুষ লোকটি আইনানুগভাবে বিবাহিত বলে বিশ্বাস করে। ৫.স্ত্রী লোকটি অনুমতি সহকারে বা অনুমতি ছাড়া, যে,ক্ষেত্রে স্ত্রী লোকটির বয়স ১৪ বছর এর কম হবে। দণ্ডবিধি আইন ৩৭৫ ধারা, শাস্তি দণ্ডবিধি আইন ৩৭৬ ধারা,নারী ও শিশু নিঃ আইন ২ (ঙ)/ ৯ ধারা।
যখন কোন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমান সংগ্রহ করতে সমার্থ না হয় তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি বিচারার্থে না নিয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিন্ধান্ত নিয়ে আদালতে বিপি নং ৪২ এ যে রিপোর্ট পেশ করেন তাকে চুড়ান্ত প্রতিবেদন।ফৌঃ কাঃ ১৭৩ ধারা, পিআরবিঃ ২৭৫ নিয়ম।
টি আই প্যারেড সনাক্তকরণ মহড়া। আটক, অপরাধ সংঘটনকারী কোন অভিযুক্ত আসামীকে জেল খানার ভিতরে বাদী বা সাক্ষী কর্তৃক সনাক্তকরণ জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট এর উপস্থিতিতে একটি নির্ধারীত তারিখ ও সময়ে যে মহড়া অনুষ্টিত হয় তাকে সনাক্তকরণ মহড়া বলে।পিআরবি ২৮২(ছ) বিধি,পিআরবি ২৮৩ বিধি ,সাক্ষ্য আইন ৯,৬৩,১৪৫ ধারা
কোন মামলার অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার, চোরাইমাল উদ্ধার বা অপহৃতকে উদ্ধার, আমাসীর নাম ঠিকানা ও স্বভাব চরিত্র যাচাই বাচাই করার জন্য এক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট যে পত্র ইস্যূ করে থাকেন তাকে অনুসন্ধান পত্রঅনুসন্ধান পত্রঃ বলে।পিআরবি ৩৮৯ বিধি।
জেনারেল ডায়েরী হল ২০০ পাতা বিশিষ্ট একটি মূল্যবান রেজিস্টার। যা ১৮৬১ সালে পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪,১৫৫ ধারা পিআরবি ৩৭৭ বিধি মূলে বিপি নং ৬৫ বাংলাদেশ ফরম নং ৬৩৬৫ এ প্রত্যেক থানা ফাঁড়িতে যে রেজিষ্টার লিপিবদ্ধ করে থাকেন তাকে জেনারেল ডায়েরী বলে।পুলিশ আইন ৪৪ ধারা,ফৌঃ ১৫৪,১৫৫ ধারা,পিআরবি ৩৭৭ ধারা
মাদক দ্রব্য বলতে নেশাগ্রস্ত দ্রব্য বা যা সেবনে বা গ্রহনে মানুষ বেসামাল বা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যায়, দেহ ও শরীরে পরিবর্তন ঘটে, স্মৃতি শক্তি ও যৌন শক্তি হ্রাস পায়, কর্মদক্ষা লোপ পায় তাকে মাদক দ্রব্য বলে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২(ঠ) ধারা।
যখন কোন অপরাধীকে গ্রেফতার বা চোরাইমাল উদ্ধার করার প্রয়োজন হয় তখন চোরাইমাল উদ্ধার বা অপরাধীকে গ্রেফতার করার জন্য বিপি নং ২৮ এ যে নোটিশ ইস্যূ করে থাকেন তাকে হৈ চৈ বিজ্ঞাপন বলে। পিআরবি ২৫০ বিধি।
কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির দাবিদার,ওয়ারিশদার বা মালিক খুজে পাওয়া না গেলে সে সকল সম্পত্তিকে বেওয়ারিশ সম্পত্তি বলে। পুলিশ আইন ২৫ ধার,ফৌঃ কাঃ ৫২৩ ধারা,পিআরবি ২৫১ বিধি,ডিএমপি অধ্যাঃ ২২ ধারা
স্বীকারোক্তি হলো ফৌজদারী মামলার কোনো অভিযুক্ত আসামী কোনো ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট ভয়ভীতি,হুমকি,প্রলোভন,প্রতিশ্রƒতি ব্যতীত স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে যে জবানবন্দি প্রদান করে তাকে স্বীকারোক্তি বলে। ফৌঃ কাঃ ১৬৪,৩৬৪ ধারা, সাক্ষ্য আইনের ২১৪-৩০ ধারা, পিআরবি ৪৬৭ বিধি
স্বীকৃতি হলো মৌখিক বা লিখিত বিবৃতি যা বিচার্য বিষয় বা প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তের সূচনা করে তাকে স্বীকৃতি বলে। সাক্ষ্য আইন ১৭ ধারা, পিআরবি ২৮৩ বিধি।
মহানগরী এলাকার জনসাধারনের নিরাপত্তা এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে যে পুলিশ বাহিনী গঠন করা হয় তাকে মহানগরী পুলিশ বলা হয়। যেমনঃ ঢাকা মহানগরী পুলিশ , চট্টগ্রাম মহানগরী পুলিশ। মহানগরী অধ্যাঃ ৫ ধারা।
আসন্ন মৃত্যুর সম্মুখীন কোন ব্যক্তি তার মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে যে উক্তি করে বা যে কারনে তার মৃত্যু ঘটতেছে সেই সম্পর্কে কোন বিবৃতি প্রদান করে তাকে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি বলে।সাক্ষ্য আইন ৩২(১)ধারা,পিআরবি ২৬৬ বিধি।
গ্রামের অপরাধী , সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সন্দেহজনক ও পেশাগত অপরাধীদের তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ থানার যে রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ থাকে তাকে ভিলেজ ক্রাইম নোট বুক বলে। ইহা পুলিশ আইনের ১২ ধারা ও পিআরবি ৩৯১ বিধি মোতাবেক থানায় সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে।পুলিশ আইনের ১২ ধারা,পিআরবি ৩৯১ বিধি।
অতিরিক্ত পুলিশ হল নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর অংশ। কোন মিল ফ্যাক্টরী বা শিল্প কারখানায় শান্তিভঙ্গের সম্ভবনা দেখা দিলে তথায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বাথে কর্তৃপক্ষ মিল মালিক বা ম্যানেজার আইজিপি বা ডিআইজ বা পুলিশ সুপার নিকট উক্ত স্থানে পুলিশ নিয়োগের জন্য আবেদন করলে যে পুলিশ নিয়োগ করা হয়ে থাকে তাকে অতিরিক্ত পুলিশ বলে।পুলিশ আইনের ১৩,১৪,১৫ ধারা,পিআরবি ৬৬৭,৬৬৯,৬৭০,৬৭১ বিধি।
বেআইনী সমাবেশ, দাঙ্গা হাঙ্গামা অথবা ব্যাপকভাবে শান্তিভঙ্গ, চোরাচালান ইত্যাদি অপরাধ প্রবনতা ব্যাপকভাবে দেখা দিলে সাধারণ পুলিশ বাহিনীর পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে ইন্সপেক্টর বা উধ্বর্তন পুলিশ অফিসার সেখানে পুলিশ নিয়োগের জন্য স্থানীয় ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট আবেদন করলে উক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট জনসাধারনের নিকট হতে যে পুলিশ নিয়োগ করে থাকেন তাকে স্পেশাল পুলিশ বলে।পুলিশ আইনের ১৭ধারা,পিআরবি ৬৭৪,৬৭৫,৬৭৬ বিধি
দায়রা আদালতে বিচারযোগ্য কোনো অপরাধ এবং ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে দন্ডবিধি আইনের ২২১,২১৬(ক),৩৬৯,৪০১,৪৩৫ ধারা অপরাধের ক্ষেত্রে কোনো অভিযুক্ত আসামী ক্ষমা পাওয়ার আসায় অপরাধের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিজেকে জড়িয়ে সহযোগী আসামীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা সম্পপূর্ণরুপে প্রকাশ করে রাষ্ট্রের পক্ষে হয়ে আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করলে তাকে রাজসাক্ষী বলে।ফৌঃ কাঃ আইন ৩৩৭,৩৩৮ ধারা,পিআরবি ৪৫৯,৪৮৬ বিধি,সাক্ষ্য আইন ১৩৩ ধারা।
কোনো সাক্ষী আদালতে শপথ গ্রহণ করে আহ্বানকারীর পক্ষে বিচার্য বিষয় বা প্রাসঙ্গি বিষয় সম্পর্কে যে বিবৃতি প্রদান করে থাকেন তাকে সাক্ষীর জবানবন্দি বলে। সাক্ষ্য আইনঃ ১৩৭ ধারা।
আদালতে কোনো সাক্ষীর জবানবন্দি শেষ হলে বিপক্ষ যখন উক্ত সাক্ষীকে কোনো প্রশ্ন করেন তাকে জেরা বলে।সাক্ষ্য আইনঃ ১৩৭ ধারা
আদালতে মামলা বিচার চলাকালীন সময়ে যদি কোন সাক্ষীকে আহ্বানকারীর বিপক্ষ জেরা করার পর যদি আহ্বানকারী পক্ষ আবার কোন প্রশ্ন করলে সাক্ষী যে বিবৃতি প্রদান করেন তাকে পুনঃজবানবন্দি বলে।সাক্ষ্য আইন ১৩৭ ধারা
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৪(৩) ধারা অনুযায়ী মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাবান ডাক্তারের নিকট প্রেরিত লাশের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ মতামত সম্মলীত রিপোর্টকে মযনা তদন্ত রিপোর্ট বলে। ফৌঃ কাঃ ১৭৪ (৩) ধারা, ময়না তদন্ত রিপোর্টঃ পিআরবি ৩০৬ বিধি।
কোন স্থানে বা ঘরে, চোরাইমাল, জাল দলিল, সন্ধিগ্ধ সম্পত্তি, আছে বলে জানতে পারলে ম্যাজিষ্টেট এর নিকট হইতে পরোয়না নিয়ে বা পরোয়ানা ব্যতীত উল্লেখিত মালামাল উদ্ধার করার জন্য ওসি বা ক্ষমতাবান তদন্তকারী পুলিশ অফিসার উক্ত ঘর বা স্থানে যে অনুসন্ধান পরিচালনা করা হয় তাকে খানা তল্লাশী বলে। ফৌঃ কাঃ ১০২, ১০৩, ১৬৫, ১৬৬ ধারা, পিআরবি ২৮০ বিধি, পুলিশ আইনের ২৩(৮) ধারা, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬ ধারা।
অপরাধ দমন, অপরাধ প্রতিরোধ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় সমস্যা সমাধান এবং সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার নিমিত্তে পুলিশ ও স্থানীয় ভালো সামাজিক স্বীকৃতি অধিকারী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত অপরাধ প্রতিরোধ কমিটিকে কমিউনিটি পুলিশিং বলে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪২,৪৩,৪৪,৪৫ বিধি আইন অনুসারে জনসাধারণ পুলিশকে সাহায্য করতে বাধ্য। যা কমিউনিটি পুলিশের সাথে মিল আছে।ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪২,৪৩,৪৪,৪৫ বিধি
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪ ধারা ও পিআরবি ২৪৩ বিধি মোতাবেক আমলযোগ্য অপরাধ বা আদালত গ্রাহ্য অপরাধ বা ধর্তব্য অপরাধ থানায় মামলা রুজুকৃত হওয়ার পর উক্ত এজাহার মামলা গুলো আদালতে প্রাপ্তির পর আদালতে জিআর মামলা হিসাবে অবহিত করে জিআর রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়। তাকে জিআর মামলা পুলিশী মামলা বলা হয়।ফৌজদারী কার্যবিধি ১৫৪ ধারা , পিআরবি ২৪৩ বিধি।
আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড, তরবারি, ছোরা,বর্শা ফলক, তীর-ধনুক এবং অস্ত্রের অংশ বিশেষ ও অস্ত্র তৈরির যন্ত্রপাতিকে আস্ত্রশস্ত্র, বুঝায়। অস্ত্র আইনের ৪ ধারা।
জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসীবাদ দেশের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করা, সার্বিক নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্তকে বিপন্নের পথে ঠেলে দেওয়া, জনসাধারন মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করা, হত্যা করা, আগ্নেয়াস্ত্রেরর ব্যবহার, ত্রাস সৃষ্টি করা, অগ্নিকান্ড ঘটানো, এবং বিস্ফোরক দ্রব্য সঙ্গে নিয়ে বহন করাকেই জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসীবাদ বলে। সন্ত্রাস বিরোধি দমন আইন ২০০৯ এর ৬ (ক,খ,গ) ধারা। শাস্তি ৬ ( ঙ) ধারা মৃত্যুদন্ড,২০ বছরের কারাদন্ড অথবা সর্বনিম্ন ৩ বছর।
CDMS এর অর্থ হলো> Crime data management system এটাতে অপরাধীর সকল অপরাধের তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।এর মূল সার্ভার হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টাসে। দেশের যেকোন অপরাধের, সাজাপ্রাপ্ত আসামির,পলাতক আসামীর,পেশাগত অপরাধী এবং অপরাধের সহায়তাকারীদের সকল তথ্য রেকর্ড করা যায় সিডিএম এস এ। এই পদ্ধতিতে অপরাধীর সকল তথ্যই সহজে পাওয়া যায়। এবং সহজেই অপরাধীকে সনাক্ত করা যায়। দেশের প্রতিটি থানার রেকর্ডকৃত মামলার সকল তথ্য এই সার্ভারে পাঠানো হয়। যে কোন মামলার তদন্তের প্রয়োজনে CDMS থেকে সকল তথ্য পাওয়া যায়। এক কথায় ভিসিএনবি রেজিস্টারের এক বিকল্প পদ্ধতি CDMS. পিআরবি ৩৯১,২৫৬ বিধি।
মাদক দ্রব্য বলতে নেশাগ্রস্ত দ্রব্য বা যা সেবনে বা গ্রহনে মানুষ বেসামাল বা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যায়, দেহ ও শরীরে পরিবর্তন ঘটে, স্মৃতি শক্তি ও যৌন শক্তি হ্রাস পায়, কর্মদক্ষা লোপ পায় তাকে মাদক দ্রব্য বলে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২(ঠ) ধারা।
অপরাধ দমন, অপরাধ প্রতিরোধ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় সমস্যা সমাধান এবং সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার নিমিত্তে পুলিশ ও স্থানীয় ভালো সামাজিক স্বীকৃতি অধিকারী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত অপরাধ প্রতিরোধ কমিটিকে কমিউনিটি পুলিশিং বলে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪২,৪৩,৪৪,৪৫ বিধি আইন অনুসারে জনসাধারণ পুলিশকে সাহায্য করতে বাধ্য। যা কমিউনিটি পুলিশের সাথে মিল আছে।ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪২,৪৩,৪৪,৪৫ বিধি।
থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার মামলা তদন্ত শেষে যখন জানতে পারে মামলার উল্লেখিত বিষয়টি সত্য তখন তিনি বিপিনং ৩৯ এ অভিযুক্ত আসামীদের প্রকাশ্যে আদালতে বিচারের জন্য এবং অভিযুক্ত নয় এমন আসামীদের অব্যাহতির বিবরণ দিয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট যে রিপোর্ট পেশ করেন তাকে চার্জশীট বলে।ফৌঃ কাঃ ১৭৩ ধারা , পিআরবিঃ ২৭২ নিয়ম।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৪(৩) ধারা অনুযায়ী মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাবান ডাক্তারের নিকট প্রেরিত লাশের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ মতামত সম্মলীত রিপোর্টকে মযনা তদন্ত রিপোর্ট বলে।ফৌঃ কাঃ ১৭৪ (৩) ধারা, পিআরবি ৩০৬ বিধি।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৬১ ধারা অনুসারে কোন আসামীকে ২৪ ঘন্টার অধিক সময় আটক রাখা যাবে না। তবে যদি তদন্তকারী অফিসার মনে করে যে উক্ত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চোরাইমাল উদ্ধার, অপরাধের তথ্য উদঘাটন করা ও সনাক্তকরণ করা যাবে সেই ক্ষেত্রে তদন্তকারী অফিসার জিডি করে জিডির কপি সহ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৭ ধারা মোতাবেক ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট আবেদন করবেন। আবেদন প্রাপ্তির পর ম্যাজিষ্টেট যদি যুক্তিসঙ্গত কারণ মনে করেন তাহলে ম্যাজিষ্টেট আসামীকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিবেন। এই নির্দেশ দেয়াকে পুলিশ রিমান্ড বলে।ফৌঃ কাঃ ৬১,১৬৭ ধারা,পুলিশ আইন ২৪ ধারা, পিআরবি ৩২৪,২১৩ বিধি।
কোনো মামলার ঘটনার সাথে জড়িত কোনো বস্তু বা দ্রব্য বা যে সকল মালামাল কোনো অপরাধী অপরাধ সংঘটনের কালে ব্যবহার করে বা অপরাধ সংঘটনের সময় জড়িত বলে যুক্তি সঙ্গতভাবে সন্দেহ হয়। সে সকল বস্তু বা মালামালকে আলামত বলা হয়। সাক্ষ্য আইনের ৯/৪৫/৫১ ধারা।ফৌঃ কাঃ বিঃ ১০৩(২) উপধারা পিআরবি ২৮০ বিধি। পিআরবি ৩৭৯ বিধি।
অতিরিক্ত পুলিশ হল নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর অংশ। কোন মিল ফ্যাক্টরী বা শিল্প কারখানায় শান্তিভঙ্গের সম্ভবনা দেখা দিলে তথায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বাথে কর্তৃপক্ষ মিল মালিক বা ম্যানেজার আইজিপি বা ডিআইজ বা পুলিশ সুপার নিকট উক্ত স্থানে পুলিশ নিয়োগের জন্য আবেদন করলে যে পুলিশ নিয়োগ করা হয়ে থাকে তাকে অতিরিক্ত পুলিশ বলে।পুলিশ আইনের ১৩,১৪,১৫ ধারা, পিআরবি ৬৬৭,৬৬৯,৬৭০,৬৭১ বিধি।
বেআইনী সমাবেশ, দাঙ্গা হাঙ্গামা অথবা ব্যাপকভাবে শান্তিভঙ্গ, চোরাচালান ইত্যাদি অপরাধ প্রবনতা ব্যাপকভাবে দেখা দিলে সাধারণ পুলিশ বাহিনীর পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে ইন্সপেক্টর বা উধ্বর্তন পুলিশ অফিসার সেখানে পুলিশ নিয়োগের জন্য স্থানীয় ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট আবেদন করলে উক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট জনসাধারনের নিকট হতে যে পুলিশ নিয়োগ করে থাকেন তাকে স্পেশাল পুলিশ বলে। পুলিশ আইনের ১৭ধারা।
যিনি সরকারী চাকুরীতে নিযুক্ত বা বেতন ভোগী বা কোন সরকারী কর্তব্য সম্পাদন বাবদ পারিশ্রমিক গ্রহণ করে তাকেই সরকারী কর্মচারী বলে। দঃবিঃ ২১ ধারা।
ভুমির সহিত সংযুক্ত বা স্থায়ীভাবে আবদ্ধ বস্তু ব্যতীত সকল সম্পত্তিকে অস্থাবর সম্পত্তি বলে। দঃবিঃ ২২ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি কোন সম্পত্তি অবৈধভাবে অর্জন করে বা নিজ দখলে রাখে উক্ত ব্যক্তি দখলকৃত সম্পত্তিকে অন্যায় লাভ বলে।দঃবিঃ ২৩ ধারা।
যথাযথ মনোযোগ বা সর্তকর্তার সহিত যা করা হয় তাকে সদ বিশ্বাস বা সরল বিশ্বাসে করেছে বলে গণ্য হবে।দঃ বিঃ ৫২ ধারা।
গ্রেফতার এড়াবার জন্য যখন কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তিকে আশ্রয়, খাদ্য, পানীয়, বাসস্থান, বস্ত্র, অথর্, অস্ত্রশস্ত্র ইত্যাদি দিয়ে সাহায্য করাকে আশ্রয়দান বলে। দঃবিঃ- ৫২-ক, ধারা । ব্যতিক্রমঃ যদি কোন স্ত্রী নিজ স্বামীকে বা কোন স্বামী তার নিজ স্ত্রীকে এইরূপ আশ্রয়দান করিলে অপরাধজন আশ্রয়দান বলে গণ্য হবে না।
যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের সহায়তা করে উস্কানি দেয় বা পরামর্শ দেয় বা কার্যবিরতী দ্বারা সংঘটনের পথ সুগম করে দেয় তাকে প্ররোচনা বলে। দঃবিঃ ১০৭, ১০৯ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি তার কাজের দ্বারা তার প্রতিবেশী বা জনসাধারনের বিরক্তিকর, ক্ষতি, বিপদ সৃষ্টি করে তাকে গণ-উপদ্রব বলে। দঃবিঃ ২৬৮ ধারা।
দঃবিঃ আইনের ৩২০ ধারা বর্ণনানুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তিকে আঘাত করে নিম্নলিখিত ক্ষতিসাধন বা বিনষ্ট করে তাকে গুরুতর আঘাত বলে। ১। যে আঘাত কোন ব্যক্তির পুরুষত্বহানী করে। ২। যে আঘাতের কারনে কোন ব্যক্তির যে কোন একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি চিরতরে নষ্ট করে। ৩। যে আঘাতের মাধ্যমে যে কোন কানের শ্রবন শক্তি স্থায়ীভাবে বিনষ্ট করা । ৪। কোন ব্যক্তির শরীরের গ্রন্থি বা অঙ্গ স্থায়ীভাবে ক্ষতি সাধন করে। ৫। শরীরে কোন অঙ্গ বা গ্রন্থির কর্মশক্তি স্থায়ীভাবে নষ্ট করা। ৬। মস্তক বা মুখমন্ডল স্থায়ীভাবে বিকৃতিকরন করা। ৭। শরীরের হাতভাঙ্গা বা গ্রন্থিচ্যুত করা। ৮। এমন আঘাত জীবন বিপন্ন করে আঘাতের কারনে ২০ দিন পর্যন্ত দৈহিক যন্ত্রনা ভোগ করে এবং সাধারন কাজ কর্ম করতে অসমর্থ হয়। দঃবিঃ ৩২০ ধারা, শাস্তি- ৩২৫ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তি আক্রমনের উদ্দেশ্যে এমন কোন অঙ্গভঙ্গি করে বা প্রস্তুতি লয় বা উপস্থিত কোন ব্যক্তির ভয় হয় তাকে আক্রমন বলে। দঃবিঃ ৩৫১ ধারা।
যদি কোন ব্যক্তিকে কেউ এমন ভাবে অন্যায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে যে সে ব্যক্তি নিদির্ষ্ট সীমা অতিক্রম করতে পারে না। তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে অন্যায় আটক বা অন্যায় অবরোধ করেছে বলে গণ্য হবে। দঃবিঃ ৩৪০ ধারা।
কোন বে আইনী সমাবেশ কর্তৃক বা উহার কোন সদস্য কর্তৃক বেআইনী সমাবেশ এর সাধারন উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের জন্য বল বা উগ্রতা প্রয়োগ করা হলে তাকে দাঙ্গা বলে।দঃবিঃ ১৪৬, শাস্তি- ১৪৭ ধারা।
পুলিশ অফিসার বা ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে কোন ব্যক্তি কর্তৃক সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পরিচালিত সকল কাযর্ক্রমকে তদন্ত বলে। ফৌঃকাঃ ৪(ঠ),১৫৬ ধারা, পিআরবি ২৫৮ বিধি।
যে অপরাধের জন্য ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের দ্বিতীয় তফসিল অনুসারে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে না তাকে অধর্তব্য অপরাধ বা অমলের অযোগ্য অপরাধ বলে।ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ৪(ঢ)ধারা, পিআরবি-২৫৪ নিয়ম।
তদন্ত কিংবা অন্য কোন কাজে থানার এখতিয়ারধীন এলাকার বা মফস্বলে দায়িত্ব পালনকালে এএসআই এর তদুর্ধ্ব পদের পুলিশ অফিসার বিপি ফরম নং ১৮ অনুযায়ী যে বহিতে তদন্ত সংক্রান্ত বা অন্য কোন বিষয় লিপিবদ্ধ করেন তাকে মফস্বল ডায়েরী বলা হয়। পিআরবি ৫৬(খ),১৯৭, ২০৯ নিয়ম।
কোন ব্যক্তিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে অপরাধ গোপন করার জন্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হলে তাকে হত্যামূলক ফাঁসি বলে। হত্যামূলক ফাঁসির ক্ষেত্রে দঃবিঃ ৩৪,১০৯,৩০০,৩০২ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
যে অপরাধের জন্য ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের দ্বিতীয় তফসিল অনুসারে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে তাকে ধর্তব্য অপরাধবা আমলযোগ্য অপরাধ বলে। ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ৪(চ)ধারা, পিআরবি-২৪৩ নিয়ম।
দন্ডবিধি আইনের ১২০(ক) ধারার বর্ণনা মতে যদি কোন দুই বা ততোধিক ব্যক্তি কোন অবৈধ কাজ করে বা বৈধ নহে এমন কাজ অবৈধভাবে করতে বা করাতে সম্মত হয় কিংবা একমত হয় তাহলে অনুরূপ সম্মতি বা চুক্তি বা পরিকল্পনা করাকে অপরাধমূলক যড়যন্ত্র বলে। দন্ডবিধি আইনের ১২০(ক) ধারা।
যে ব্যক্তি জনসাধারনের বা কোন ব্যক্তির অবৈধ লোকসান বা ক্ষতি করার ইচ্ছায় কোন সম্পত্তি নষ্ট করে সে ব্যক্তি অনিষ্ট করেছে বলে গণ্য হবে। দন্ডবিধি আইনের ৪২৫,৪২৬ ধারা।
ভিকটিম শব্দের অর্থ হলে শিকার, বলি কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি। কোন ব্যক্তি কর্তৃক অপরাধের দরুন অপর কোন ব্যক্তি শারিরীক, মানসিক, যৌবিক কিংবা আর্থিক ক্ষতি হলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ভিকটিম বলা হয়। কোন ভিকটিম সর্ব প্রথম সাহায্যের জন্য পুলিশ নিকট আসে। তাই পুলিশ সদস্যদের উচিত তাকাকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করা। পুলিশ আইনের ২৩, ডিএমপি অধ্যাদেশ ১৫,১৬। পিআরবি ৩৩ নিয়ম।
মেনস রিয়া শব্দের অর্থ হলো অপরাধ সংঘটনের জন্য মনের ইচ্ছা বা মানসিক অবস্থা। মনের ইচ্ছা হলো অপরাধ সংঘটনের মূল ভিত্তি। মানসিক বা মনের ইচ্ছার ফলে অপরাধ সংঘটিত বা উদ্ভব ঘটে। যেখানে অপরাধমুলক ইচ্চা বা মানসিক অবস্থা সৃষ্টি হবে না সেখানে অপরাধ সংঘটিত হবে না। কাজেই অপরাধমূলক মনের ইচ্ছা বা অভিপ্রায় এর নামই হলো মেনস রিয়া।
সাক্ষ্য আইনের ৬০ ধারা মতে যদি কোন ব্যক্তি আদালতে এমন কোন বিষয় সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রদান করেন, যা তিনি কারো কাছ থেকে শুনেছেন বলে সাক্ষ্য দেন তবে উক্ত সাক্ষ্যকে শ্রুত সাক্ষ্য বা শোনা সাক্ষ্য বলে। অপরের কাছ থেকে শুনা শ্রুত সাক্ষ্য আদালতে অপ্রাসঙ্গিক। কতিপয় ক্ষেত্রে এ ধরনের সাক্ষ্য প্রাসঙ্গিক করা হয়েছে। যেমন-(ক) মৃত্যুকালীন জবানবন্দীঃ মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে মুমুর্ষ অবস্থায় আহত ব্যক্তি যদি বিবৃতি দেয় এবং তা কেউ শুনে বা লিখে পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তি শ্রুত সাক্ষ্য দিতে পারবে। সাক্ষ্য আইনের ৩২(১) ধারা। (খ) স্বীকৃতিঃ ফৌজদারী বা দেওয়ানী আদালতে স্বীকৃতি শ্রুতসাক্ষ্য হলেও প্রাসঙ্গিক। সাক্ষ্য আইনের ১৭ হতে ২৩ ধারা। (গ) স্বীকারোক্তিঃ অপরাধী নিজের দোষ স্বীকার করে ম্যাজিষ্ট্রেট বা অন্য কোন ব্যক্তির কাছে যে বিবৃতি দেয় তা শ্রুত সাক্ষ্য হলেও আদালতে প্রাসঙ্গিক। সাক্ষ্য আইনের ২৪ হতে ৩০ ধারা।
কোন বিবাহের অনুষ্ঠানে বর বা বরের পক্ষের কোন ব্যক্তি বিবাহের পন হিসাবে কনের পক্ষের নিকট অর্থ সামাগ্রী বা অন্য কোন সম্পদ দাবী করলে অথবা কনে পক্ষও যদি বরের পক্ষে নিকট এইরুপ অর্থ বা অন্য কোন কিছু দাবি করে, তাহলে এই দাবিকে যৌতুক বলে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের 2(ঞ) ধারা।
দেশের সরকার গঠনের পর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যক্তিবর্গের কার্যকলাপ পর্যালোচনাপূর্বক প্রতি বছর জেলা বিশেষ শাখা (ডিএসবি) কর্তৃক একটি তালিকা তৈরী করে ঢাকায় এসবি’র দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। এসবি অফিস, ঢাকা হতে রাজনৈতিক সন্দিগ্ধ ব্যক্তিদের শ্রেণী বিভাগ করে তালিকা প্রস্তুত করা হয়। প্রতি বছর আগষ্ট মাসে এর লিস্ট বা তালিকা প্রস্তুত করা হয় বলে একে আগস্ট লিস্ট বলে। ডিএসবি ম্যানুয়েল ১০২।
Citizen Information Management Systam (নাগরিকের তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি) বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত তৈরীকৃত একটি প্রোগ্রাম। যা বহিঃবিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর মতই, সকল নাগরিকের তথ্য এই প্রোগামে লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতিকে (CIMS) বলে। হৈ চৈ বিজ্ঞপ্তি বা জরুরী নোটিশ- কোন পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের জন্য বা চুরি বা ডাকাতির বস্তু বা মাল উদ্ধারের জন্য বিপি ফরম ২৮ মোতাবেক পার্শ্ববর্তী থানাগুলোতে যে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয় তাকেই হৈচৈ বিজ্ঞপ্তি বলে। পিআরবি ২৫০ বিধি।