উত্তরঃ
নিম্নবর্ণিত ত্রুটি বা তথ্যের অনুপস্থিতিতে এজাহার দুর্বল হয়ঃ- (ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৪ ধারা, পিআরবি বিধি ২৪৩)১। অসতর্ক জিজ্ঞাসাবাদ হেতু প্রাসঙ্গিক বিষয় বাদ পড়া।
২। পরস্পর বিরোধী কথা লিপিবদ্ধ করা।
৩। অভিযুক্তের বর্ণনা এবং শনাক্তকরণ চিহ্ন বাদ পড়া।
৪। সাক্ষীদের অবস্থান, ভিকটিম এবং প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর নাম বাদ পড়া।
৫। চোরাই মালের শনাক্তকরণ চিহ্ন উল্লেখ না করা।
৬। চোরাই মালের মূল্য বা ক্ষতির মূল্য উল্লেখ না করা।
৭। অপরাধীর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আচরণ উল্লেখ না করা।
৮। অপরাধী শনাক্তকরণের পরিস্থিতি উল্লেখ না করা।
৯। এজাহার দায়েরে বিলম্বের কারণ উল্লেখ না করা।
১০। অপরাধস্থলে ফেলে যাওয়া বস্তুগত সাক্ষ্য সম্পর্কে উল্লেখ না করা।
১১। এজাহারে এজাহার দাতার বা এজাহার গ্রহণকারীর স্বাক্ষর/টিপসহি না থাকা।
১২। অপরাধীদের আগমন ও প্রস্থানের সময় ইত্যাদি উল্লেখ না থাকা।
১৩। অপরাধীদের কথোপকথনের ভাষা ও পোশাক পরিচ্ছেদ সম্পর্কে বর্ণনা না থাকা।
১৪। মূল ঘটনার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বর্ণনা না থাকা।
১৫। ঘটনাস্থলের নাম, অবস্থান, থানা থেকে দূরত্ব, দিক ও মেক্সজা উল্লেখ না করা।
১৬। ঘটনার তারিখ ও সময় উল্লেখ না করা।
১৭। থানা ও জেলার নাম উল্লেখ না করা।
১৮। এজাহারে আসামীর নাম, পিতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা ও বয়স উল্লেখ না করা।
পিআরবি বিধি ২৪৬ মতে এজাহারের কপি নিম্নলিখিত স্থানে প্রেরণ করতে হয়ঃ-
১। এজাহারের মূল কপি কোর্ট অফিসারের মাধ্যমে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করতে হয়।
২। এজাহারের প্রথম কার্বন কপি পুলিশ সুপারের নিকট প্রেরণ করতে হয়।
৩। এজাহারের তৃতীয় কপি রেজিষ্টারে অফিস কপি হিসেবে থানায় সংরক্ষণ করা হয়।
৪। মূল কপি থেকে ছায়ালিপি এএসপি সার্কেল অফিসে দাখিল করতে হয়।
৫। মূল কপি থেকে ছায়ালিপি তদন্তকারী অফিসারের নিকট প্রেরণ করতে হয়।