প্রশ্ন- ১০। পানিতে ডুবে মৃত্যুর মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট লিখ।
উত্তরঃ ঢাকা জেলার সাভার থানার ক্সসয়দাবাদ গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী মৃত বিউটি আক্তারের পানিতে ডুবে মৃত্যুর সুরতহাল রিপোর্ট:-
সূত্র:- সাভার থানার অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা নং-১০, তারিখ- ২৪/০২/২০১৪ ইং।
আমি এসআই তরিকুল ইসলাম, অদ্য ২৪/০২/২০১৪ ইং তারিখ বিকাল ১৫.১০ ঘটিকায় সঙ্গীয় ফোর্স কং/১০৫ আঃ কাদের, কং/১২২ মোহাম্মদ আলী, কং/১৩৫ সাহেদ হোসেন সহ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে সাক্ষীদের সম্মুখে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৪ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৯৯ মতে উল্লেখিত বিউটি আক্তারের পানিতে ডুবে মৃত্যুর সুরতহাল রিপোর্ট .তরী করতে শুরু করলাম।
বিউটি আক্তারের বয়স ২৬ বছর। তার মৃত দেহ বাড়ীর পশ্চিম পাশের টিনের ঘরের ভিতর কালো চাদর দিয়ে আবৃত উত্তর শিয়রী অবস্থায় পেলাম। মৃতের ননদ শ্যামলীকে দিয়ে চাদর সরিয়ে দেখতে পেলাম চোখ দুটি বন্ধ, মুখমন্ডল ফ্যাকাশে, ঠোট দুটি একটু ফাঁকা এবং মুখ দিয়ে লাল পড়ছে। নাকে মুখে কাদামাটি পাওয়া গেল। হাত দুখানা অর্ধমুষ্টি ও শরীরের দু পাশে আছে। হাতের মুষ্টি খুলে নখের ভিতর কাদামাটি দেখা গেল।
মৃতের পেট বেশ স্ফীত, পেটে পানি থাকায় চাপ দিলে নাক ও মুখ দিয়ে পানি বের হলো। মৃতের চুল কালো এবং লম্বা, পরনে ছিল একখানা প্রিন্টের শাড়ী যাতে কাদা মাটি লেগে আছে। মৃতের শাশুড়ীকে দিয়ে লাশ উল্টে পাল্টে দেখলাম কোথাও কোন জখমের চিহ্ন পাওয়া গেল না। সাক্ষীগণের অভিমত ও সকলের বক্তব্যে জানতে পারলাম মৃত বিউটি আক্তার মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল। মৃত বিউটি আক্তার প্রায়ই মৃগী রোগে অজ্ঞান হয়ে যেত। অদ্য ২৪/০২/২০১৪ ইং তারিখ দুপুর ১২.৩০ ঘটিকায় বিউটি আক্তার একা পুকুর ঘাটে গিয়ে অনেকক্ষণ না আসায় বাড়ীর লোকজন খোজাখুজি করতে থাকে। পুকুর ঘাটে তার সেন্ডেল
দেখে সন্দেহ বশতঃ খোজ করে ঘাটের অদূরে পানি নিচে তার লাশ পাওয়া যায়।
বিউটি আক্তারের মৃত্যুতে কারো কোন সন্দেহ নেই। আলামতেও এ মৃত্যুতে কোন সন্দেহ নেই বিধায় মৃতের স্বামী, শাশুড়ী ও সাক্ষীগণের সাথে একমত পোষণ করে আমি লাশকে সামাজিক রীতি নীতি ও ধর্মীয় বিধান মতে সৎকারের হুকুম দিলাম।
সাক্ষীদের নামঃ
১। জসিম উদ্দিন, পিতা- কালু মিয়া
২। কামাল উদ্দিন, পিতা- হাসেম মিয়া
৩। জামাল উদ্দিন, পিতা- আঃ কাদের
সর্বসাং- গোয়ালী, সাভার থানা, ঢাকা জেলা
স্বাক্ষর