উত্তর:- ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সোনাপুর গ্রামের মোঃ আব্বাস আলীর পুত্র আবুল হাসেমের গলায় রশি মৃত্যুর সুরতহাল রিপোর্টঃ
সূত্রঃ আশুলিয়া থানার অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা নং-১২, তারিখ- ২৪/০২/১৪ ইং
আমি এসআই তরিকুল ইসলাম অদ্য ২৪/০২/১৪ ইং তারিখ সকাল ১১.০০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সোনাপুর গ্রামের মোঃ আব্বাস আলীর বাড়ী উপস্থিত হয়ে সাক্ষীগণের সামনে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৪ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৯৯ মতে উল্লেখিত আবুল হাসেমের গলায় রশি দিয়া মৃত্যুর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করতে শুরু করলাম।
আবুল হাসেমের বয়স আনুমানিক চল্লিশ বছর। তার মৃত দেহ বাড়ীর পিছনে একটি আম গাছের সাথে ঝুলতেছে। গলার ডান দিক রশির গিরাটি বাধা আছে। তার মুখ সামান্য বাম দিকে আড়াআড়ি ভাবে আছে। মুখমন্ডল ফ্যাকাশে, চোখ খোলা এবং মুখ থেকে লালা পড়ছে। হাত দুটি শরীরের পিছন দিকে ঝুলানো, জিহবাটি দু পার্টি দাঁতের মাঝখানে চাপা এবং কিছুটা বের হয়ে আছে। উভয় পা নিচের দিকে ঝুলানো আছে। গাছের ডাল থেকে আনুমানিক পাঁচ ফুট নিচে মৃত্যুর ঘাড়ের বাঁধন। পায়ের আঙ্গুল গুলো মাটি থেকে দুই ফুট উপরে। লাশ ঝুলন্ত অনেকগুলি ছবি তোলা হলো। উপস্থিত লোকজনের সামনে আবুল হাসেমের লাশকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামানো হলো। মৃতের পুরুষ অঙ্গে বীর্যপাত ও উত্তেজনার চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়। মলদ্বারে সামান্য মল দেখা যায়। মাথার চুল সাদা কালো এবং ছোট করে কাটা। দেহের রং কালো, পরিধানে একটি মাত্র ছেড়া লুঙ্গি। লাশকে ভালমত পর্যবেক্ষণ করলাম। শরীরের অন্যান্য স্থানে জখমের কোন চিহ্ন পাওয়া গেল না। সাক্ষীগণের অভিমত ও সকলের ধারণা আবুল হাসেম মানসিক চিন্তায় আত্মহত্যা করেছে। এই মৃত্যুতে কারো কোন সন্দেহ নেই। আলামতেও এ মৃত্যুতে কোন সন্দেহ নেই বলে আমি লাশকে সামাজিক রীতিনীতি ও ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী সৎকারের জন্য হুকুম দিলাম।
সাক্ষীদের নামঃ
১। জসিম উদ্দিন, পিতা- কালু মিয়া
২। কামাল উদ্দিন, পিতা- হাসেম মিয়া
৩। জামাল উদ্দিন, পিতা- আঃ কাদের
সর্বসাং- সোনাপুর, থানা- আশুলিয়া থানা, ঢাকা জেলা।
স্বাক্ষর