উত্তর:- একটি স্বাভাবিক মৃত্যুর নমুনা সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হলোঃ-
ঢাকা জেলার সাভার থানার গোয়ালী গ্রামের মোঃ আব্দুস সালামের কন্যা মৃত মিস সখিনা খাতুনের বিষপানে মৃত্যুর সুরতহাল রিপোর্ট:-
সূত্রঃ সাভার থানার অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা নং-০৬, তারিখ- ২৪/০২/২০১৪ ইং।
আমি এসআই তরিকুল ইসলাম অদ্য ২৪/০২/২০১৪ খ্রিঃ তারিখ সকাল ০৮.১০ ঘটিকায় সাক্ষীদের সম্মুখে ফৌজদারীকার্যবিধি আইনের ১৭৪ ধারা এবং পিআরবি বিধি ২৯৯ মতে উল্লেখিত সখিনা খাতুনের বিষপানে মৃত্যুর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করতে শুরু করলাম।
সখিনা খাতুনের বসয় আনুমানিক চব্বিশ বছর। তার মৃত দেহ বাড়ীর দক্ষিণ পাশের টিনের ঘরের ভিতর সাদা চাদর দিয়ে আবৃত উত্তর শিয়রী অবস্থায় পেলাম। মৃতের পরনে লাল রঙের সেলোয়ার এবং নীল রঙের কামিজ ছিল। মৃতের গায়ের রং ফর্সা এবং চুল লম্বা ও কালো চোখ দুটি বন্ধ, মুখ দিয়ে বিষের গন্ধযুক্ত লালা বের হচ্ছে। হাত দুটি শরীরের দুপাশে অর্ধমুষ্টি অবস্থায় আছে। মলদ্বারে সামান্য মল এবং লিঙ্গে ধাতু নির্গত হচ্ছে বলে মৃতের ভাবীর কাছ থেকে জানতে পারলাম। মৃতের চাচী মেক্সসুমী আক্তার দিয়ে মৃত দেহ উল্টে পাল্টে দেখলাম মৃত দেহের কোথাও কোন জখমের চিহ্ন পাওয়া গেল না। প্রকাশ্য ও গোপনে তদন্তে জানতে পারলাম গতকাল বিবাহের অমত নিয়ে তার মায়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। রাত ১০.০০ টার দিকে দক্ষিণ ঘরের দরজা জানালা দিয়ে মৃত সখিনা খাতুন বিষ পান করে চেক্সকিতে শুয়ে দপ্টা দপ্টি শুরু করে। তখন মৃতের ভাই ও বাবা দরজা ভেঙ্গে ঘরে গিয়ে দেখে বিষের শিশি পাশে পড়ে আছে। জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তার ডেকে চিকিৎসা করেও তাকে বাঁচানো গেল না। সাক্ষীগণের অভিমত ও সকলের ধারণা বিবাহের ব্যাপারে অমত হয়ে অভিমান করে সখিনা খাতুন বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। এই মৃত্যুতে কারো কোন সন্দেহ নেই। আলামতেও এই মৃত্যুতে কোন সন্দেহ নেই বিধায় আমি এসআই মোঃ আকবর
হোসেন লাশকে সামাজিক রীতিনীতি ও ধর্মীয় বিধান মতে সৎকারের জন্য হুকুম দিলাম।
সাক্ষীদের নামঃ
১। জসিম উদ্দিন (৫০), পিতা- কালু মিয়া
২। কামাল উদ্দিন (৪০), পিতা- হাসেম মিয়া
৩। জামাল উদ্দিন (৩০), পিতা- আঃ কাদের
সর্বসাং- গোয়ালী, থানা-সাভার, ঢাকা জেলা
স্বাক্ষর