উত্তরঃ ক্রোকী পরোয়ানা:- হুলিয়া জারীর পর আসামী আদালতে হাজির না হলে তাকে আদালতে হাজির হতে বাধ্য করার জন্য তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারী হেফাজতে নেয়ার জন্য আদালত সে পরোয়ানা জারী করেন তাকে ক্রোকী পরোয়ানা বলে। ফৌজদারী কার্যবিধির ৮৮ ধারা, পিআরবি বিধি ৪৭৪।
ক্রোকী পরোয়ানা কার্যকর করার পদ্ধতি নিম্নেআলোচনা করা হলোঃ
অস্থাবর সম্পত্তি নিম্নোক্ত উপায়ে ক্রোক করতে হবেঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ৮৮(৩) ধারা।
১। আটক করে।
২। রিসিভার নিয়োগ করে।
৩। আসামী বা তার পক্ষের কাউকে হস্তান্তর নিষেধ করে।
৪। আদালতের ইচ্ছানুসারে উপরের যে কোন একটি ব্যবস্থা সাপেক্ষে।
স্থাবর সম্পত্তি নিম্নোক্ত উপায়ে ক্রোক করতে হবেঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ৮৮(৪) ধারা।
১। দখল নিয়ে।
২। রিসিভার নিয়োগ করে।
৩। আসামীকে তা তার পক্ষের কাউকে হস্তান্তর নিষেধ করে।
৪। আদালতের ইচ্ছানুসারে উপরের যে কোন একটি ব্যবস্থা সাপেক্ষে।
জীবন্ত প্রানী বা পঁচনশীল দ্রব্য বা সম্পত্তি ক্রোক করা হলে আদালতের আদেশে তা বিক্রয় করা যাবে এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা করতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধির ৮৮(৫) ধারা।
আদালত কর্তৃক ক্রোককৃত সম্পত্তি ফেরতঃ যে ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে তিনি দুই বছরের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে পূর্বে হাজির না হওয়ার যুুক্তিসঙ্গতভাবে কারণ উপস্থাপন করতে পারেন, তাহলে তাতে সন্তুষ্ট হয়ে ক্রোককৃত সম্পত্তি ফেরত দিতে পারেন।
