প্রশ্নঃ ১। গ্রেফতার কাকে বলে? গ্রেফতারের পদ্ধতি আলোচনা কর।
উত্তর:- গ্রেফতার:- ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৬ ধারা মতে আইন অমান্য করার কারণে কোন ব্যক্তির নাগরিক স্বাধীনতাকে খর্ব করে পুলিশ হেফাজতে আনাকে গ্রেফতার বলে। পিআরবি বিধি ৩১৬।
গ্রেফতারের পদ্ধতি নিম্নেআলোচনা করা হলোঃ-
১। যাকে গ্রেফতার করা হবে তাকে গ্রেফতারের কথা জানাতে হবে। তারপর কথা বা কার্য দ্বারা গ্রেফতার মেনে না নিলে বা আত্মসমর্পণ না করলে গ্রেফতারকারী অফিসার তার দেহ স্পর্শ করে গ্রেফতার কার্যকর করতে পারবেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৬ ধারা।
২। যাকে গ্রেফতার করা হবে সে যদি গ্রেফতার এড়ানোর জন্য কোন স্থানে লুকায় তাহলে সে স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির অনুমতি নিয়ে উক্ত স্থানে প্রবেশ করে গ্রেফতার কার্যকর করা যাবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৭ ধারা।
৩। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৭ ধারা মতে যদি কোন স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট হতে উক্ত স্থানে প্রবেশের অনুমতি না পাওয়া যায় তাহলে দরজা জানালা ভেঙ্গে সেখানে প্রবেশ করে গ্রেফতার কার্যকর করা যাবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৮ ধারা।
৪। গ্রেফতার কার্যকর করতে গিয়ে যদি গ্রেফতারকারী পুলিশ অফিসার কোন স্থানে আটকা পড়ে যান তাহলে উক্ত স্থানের দরজা জানালা ভেঙ্গে নিজেকে মুক্ত করা যাবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৯ ধারা।
৫। গ্রেফতার কার্যকর করতে গিয়ে যতটুকু বল প্রয়োগের প্রয়োজন তার অধিক করা যাবে না। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫০ ধারা।
৬। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে পুলিশ অফিসার দেহ তল্লাশি করে প্রয়োজনীয় পরিধেয় বস্ত্র ব্যতীত তার নিকট যা পাওয়া যাবে তা নিরাপদ হেফাজতে নিতে পারবেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫১ ধারা।
৭। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি কোন মহিলা হলে তার শালীনতার প্রতি খেয়াল রেখে অপর একজন মহিলা বা মহিলা পুলিশ দিয়ে দেহ তল্লাশি করতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫২ ধারা।
৮। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নিকট কোন আপত্তিকর অস্ত্রশস্ত্র বা মালামাল পাওয়া গেলে হেফাজতে নিয়ে যে আদালতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে হাজির করা হবে, সেই আদালতে সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র বা মালামাল অর্পণ করতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৩ ধারা।