Law Guide Of Bangladesh Police

১,০০০ হাজারের বেশি প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাজানো

প্রশ্নঃ ২১। শিশু আইন অনুসারে শিশু কাকে বলে? গ্রেফতারকৃত শিশুর প্রতি করনীয় ও বর্জনীয় আলোচনা কর ??

প্রশ্নঃ ২১। শিশু আইন অনুসারে শিশু কাকে বলে? গ্রেফতারকৃত শিশুর প্রতি করনীয় ও বর্জনীয় আলোচনা কর।

উত্তর:- শিশু:- ২০১৩ সালের শিশু আইনের ৪ ধারা মতে ১৮ বছরের কমবয়সী সকল ব্যক্তিকে শিশু বলে। গ্রেফতারকৃত শিশুর প্রতি করনীয় ও বর্জনীয় নিম্নেআলোচনা করা হলো।  

গ্রেফতারকৃত শিশুর প্রতি করনীয়:-

১। কোন শিশুকে গ্রেফতারকারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতারের কারণ, স্থান, অভিযোগের বিষয়বস্তু ইত্যাদি সম্পর্কে তাৎক্ষনিকভাবে থানার শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন এবং প্রাথমিকভাবে তার বয়স নির্ধারণ করে নথিতে লিপিবদ্ধ করবেন। শিশু আইনের ৪৪ ধারা। 
২। গ্রেফতারকৃত শিশুর বিষয়ে থানার শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা যাবতীয় পদক্ষেপ নিবেন। শিশু আইনের ১৩, ১৪ ধারা। 
৩। গ্রেফতারকৃত শিশুর বিষয়ে থানার শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা দ্রুত পিতা-মাতা বা অভিভাক এবং প্রবেশন কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। শিশু আইনের ১৪, ৪৫ ধারা। 
৪। শিশু আটক হলে তার পরিচয় ও পারিবারিক ইতিহাস প্রবেশন অফিসারকে জানাতে হবে। শিশু আইনের ১৪ ধারা। 
৫। শিশুর পিতা-মাতা বা অভিভাবক এবং প্রবেশন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে থানার শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা শিশুর জবানবন্দী গ্রহণ করবেন। শিশু আইনের ৪৭(১) ধারা। 
৬। শিশুর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রকৃতি ও শিশুর মানসিক ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিশুর পিতা-মাতা বা অভিভাবক এবং প্রবেশন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শিশুকে মেক্সখিক বা লিখিতভাবে সতর্ক করে তাকে মুক্তি বা জামিন দিতে পারেন। শিশু আইনের ৪৭(২), ৫২ ধারা। 
৭। শিশুকে জামিনে মুক্তি প্রদান করা না হলে শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে শিশু আদালতে হাজির করার ব্যবস্থা করবেন। লাল কালি দ্বারা তার বয়স উল্লেখ করে দিতে হবে। শিশু আইনের ১৪ ও ৫২ ধারা। 
৮। শিশুকে থানার হাজতখানায় না রেখে তাকে নিরাপদ অন্য কোন রুমে রাখতে হবে। শিশু আইনের ৪৪ ধারা। 
৯। শিশু অসুস্থ্য হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। পিআরবি বিধি ৩২১। 
১০। শিশু গ্রেফতার হলে তাকে যথাসময়ে খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। পিআরবি বিধি ৩৩৩। 
১১। শিশু কিশোর অপরাধীকে তাদের মুক্তির পর পুলিশ কর্তৃক বাড়ীতে পেক্সছে দিতে হবে এবং তাদের এলাকার ২ জন গণ্যমান্য বাসিন্দার উপস্থিতিতে তাদের আত্মীয় স্বজনের নিকট হস্তান্তর করতে হবে। শিশু আইনের ১৪ ধারা।

গ্রেফতারকৃত শিশুর প্রতি বর্জনীয়:- 
১। শিশু গ্রেফতার হলে বয়স আসামীদের সাথে একত্রে রাখা যাবে না। শিশু আইনের ৪৪ ধারা। 
২। শিশুকে অহেতুক আটক রাখা যাবে না। 
৩। শিশুকে আসামী না বলে প্রতিপক্ষ বলতে হবে। 
৪। শিশুর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। 
৫। গ্রেফতারকৃত শিশুর ছবি পত্র-পত্রিকা, ইন্টারনেট, প্রিন্ট মাধ্যম বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ করা যাবে না। শিশু আইনের ৮১ ধারা। 
৬। শিশু দন্ডপ্রাপ্ত হলেও ভবিষ্যতে তা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে না। শিশু আইনের ৪৩ ধারা। 
৭। শিশু যত বড় অপরাধ করুক না কেন তাকে যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদন্ড প্রদান করা যাবে না। শিশু আইনের ৩৩ ধারা। 
৮। শিশুকে নির্যাতন ও হয়রানি করা যাবে না। পিআরবি বিধি ২৬০।

 প্রশ্নঃ ২১। শিশু আইন অনুসারে শিশু কাকে বলে? গ্রেফতারকৃত শিশুর প্রতি করনীয় ও বর্জনীয় আলোচনা কর।

প্রশ্নঃ ২১। শিশু আইন অনুসারে শিশু কাকে বলে? গ্রেফতারকৃত শিশুর প্রতি করনীয় ও বর্জনীয় আলোচনা কর।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post