গ্রেফতারঃ
কোন অপরাধী বা অভিযুক্ত ব্যক্তির ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় অভিযুক্তকে সরকারী হেফাজতে বা পুলিশ হেফাজতে বা আদালতের হেফাজতে নেওয়াকে গ্রেফতার বলে। কাঃ বিঃ ৪৬ ধারা, পিআরবি ৩১৬ বিধি।
একজন আসামীকে গ্রেফতার করার পর সেই গ্রেফতারকৃত আসামীরও কিছু আইনানুগ অধিকার আছে।গ্রেফতারকৃত একজন আসামীর আইনগত অধিকারসমূহ নিম্নে আইন ও বিধি মোতাবেক আলোচনা করা হলঃ
গ্রেফতারকৃত আসামীর আইনগত অধিকার সমূহঃ
কোন আসামীকে গ্রেফতার করার সময় দি সেই আসামী গ্রেফতারের কারণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে কাঃবিঃ আইনের ৮০ ধারা মোতাবেক তাকে গ্রেফতারের কারণ জানাতে হবে। কাঃবিঃ ৮০ ধারা
পুলিশ অফিসার কর্তৃক কোন অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করার পর সেই আাসামী যদি মহিলা হয় তাহলে একজন ভদ্র মহিলা বা মহিলা পুলিশ দ্বারা তাহার দেহ বা শরীর তল্লাশী করতে হবে। কাঃবিঃ ৫২ ধারা।
পুলিশ অফিসার কর্তৃক কোন আসামীকে গ্রেফতার করার পর আসামীর নিকট যদি কোন মালামাল পাওয়া যায় তাহলে উক্ত মালামালের একটি তালিকা তৈরি করে তার একটি কপি আসামীকে দিতে হবে। কাঃবিঃ ৫৩ ধারা পিআরবি-৩২২ বিধি
কোন মামলার আসামীকে গ্রেফতার করার পর সেই আসামী যদি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন তাহলে উক্ত আসামীকে পিআরবি ৩২১ বিধি মোতাবেক চিকিৎসা দিতে হবে। পিআরবি ৩২১ বিধি
পুলিশ অফিসার কর্তৃক কোন মামলার আসামীকে গ্রেফতার করার পর যদি সেই আসামী ক্ষুধার্ত হন বা খাবারের প্রয়োজন হয় তাহলে আসামীকে খাবার ও পানীয় সরবরাহ করতে হবে।
পিআরবি ৩৩৩ বিধি
পুলিশ অফিসার কর্তৃক কোন গ্রেফতারকৃত আসামী যদি ভদ্র লোক বা অতিবৃদ্ধ বা মহিলা হন তাহলে সেই আসামীকে হাতকড়া পরানো যাবে না। পিআরবি ৩৩০ বিধি
কোন আসামীকে গ্রেফতার করার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই আসামীকে আদালতে প্রেরণ করতে হবে। কাঃ বিঃ ৬১, ৮১ ধারা
আসামীকে গ্রেফতার করার পর সেই আসামী পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে আসামীকে পুলিশ আইন ২৯(৭) ধারা মোতাবেক নির্যাতন করা যাবে না। পুলিশ আইন ২৯(৭) ধারা
কোন আসামীকে গ্রেফতার করার পর সেই আসামীর অপরাধ যদি জামিনযোগ্য বা অধতব্য হয় তাহলে আসামীর নিকট হতে মুচলেকা নিয়ে আসামীকে ছেড়ে দিতে হবে। কাঃবিঃ ৪৯৬, ৪৯৭ ধারা, পিআরবি ৩১৭ বিধি, শিশু আইন ৫২ ধারা
গ্রেফতারকৃত আসামীকে তার আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক জবাববন্দি দেওয়ার এবং আসামীকে তার পছন্দমত আইনজীবি নিয়োগের অধিকার দিতে হবে। কাঃ বিঃ ৩৪০ ধারা, সাক্ষ্য আইন ১২৬ ধারা
পিআরবি ৩২৮(গ) বিধি মোতাবেক মহিলা আসামী হলে তার কাছ থেকে কাচ বা লোহার চুড়ি শঙ্খ ইত্যাদি নেওয়া যাবে না।
ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৩ ধারা ও সাক্ষ্য আইনের ২৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি গ্রহণকালে আসামীকে ভয়ভীতি দেয়া যাবে না।