উত্তরঃ
অসৎ চরিত্রের লোকদের “এ” রোল বা “ক” তালিকা:- যখন কোন দাগী ব্যক্তি তার স্থানীয় থানার ওসি’র বিনা অনুমতিতে তার নিজস্ব বাস স্থান হতে অনুপস্থিত হয় বা পলায়ন করে তখন তাকে খুঁজে বের করার জন্য ঐ থানার পুলিশ অফিসার উক্ত পলাতক দাগী ব্যক্তি যে সকল স্থানে পূর্বে অপরাধ করেছিল এবং তার আত্মীয় স্বজনের বাড়ীর ঠিকানা সংগ্রহ করে পার্শ্ববর্তী থানাসমূহে “এ” রোল বা “ক” তালিকা বিপি ফরম নং-৫৯ এ ইস্যু করা হয়। পিআরবি বিধি ৩৪৩।
প্রাপক থানার “এ রোল” অনুসন্ধানকারী পুলিশ অফিসার অনুসন্ধান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে পেলে নতুন এলাকায় তার উপস্থিতির তারিখ, সময়, আশ্রয়দাতা ও সঙ্গীয় ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা লিখে প্রেরক থানার ওসির নিকট প্রেরণ করবেন এবং উক্ত ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন। এক সপ্তাহের মধ্যে কাঙ্খিত ব্যক্তিকে খুঁজে না পেলে “এ রোল” এর অপর পৃষ্ঠায় বিবরণ লিখে প্রেরক থানার ওসি বরাবর ফেরত পাঠাবেন।
অসৎ চরিত্রের লোকদের “বি” রোল বা “খ” তালিকাঃ যদি কোন থানার স্থানীয় সীমার মধ্যে অন্য কোন স্থান হতে কোন সন্দেহভাজন আগন্তুক প্রবেশ করে সন্দেহজনক ভাবে কোন স্থানে অবস্থান করে বা ঘোরাফেরা করে, যার আগমন ও অবস্থানের প্রতি যথেষ্ট সন্দেহ জাগে তাহলে ঐ আগন্তুকের নাম ঠিকানা যাচাই ও স্বভাব, চরিত্র সম্পর্কে জানার জন্য তার স্থায়ী ঠিকানার থানার ওসি বরাবর “বি” রোল বা “খ” তালিকা বিপি ফরম নং-৬০ এ ইস্যু করা হয়। পিআরবি বিধি ৩৪৪।
প্রাপক থানার “বি রোল” এর অনুসন্ধানকারী পুলিশ অফিসার কাঙ্খিত ব্যক্তির পরিচয় যাচাইয়ের জন্য সকল চেষ্টা চালাবেন। নাম ঠিকানা, স্বভাব চরিত্র যাচাই শেষে “বি রোল” এর অপর পৃষ্ঠায় বিস্তারিত বিবরণ লিখে প্রেরক থানার ওসি বরাবর পাঠাবেন।
“এ রোল” ও “বি রোল” উভয় ক্ষেত্রেই অনুসন্ধান রিপোর্ট মোতাবেক বিরূপ তথ্য পেলে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৯, ১১০ ধারা মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
অপরাধী শনাক্তকরণ ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অসৎ চরিত্রের তালিকাসমূহের ভূমিকা:- অপরাধী শনাক্তকরণ ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অসৎ চরিত্রের লোকদের “এ রোল বা ক তালিকা” ও “বি রোল বা খ তালিকা” এর ভূমিকা অপরিসীম। এসব তালিকা নিয়মিত কাঙ্খিত ব্যক্তির ঠিকানায় প্রেরণ করে যাচাই ও পর্যবেক্ষণ করলে উক্ত ব্যক্তিগণ অপরাধের সুযোগ পায় না। তাছাড়া এক এলাকার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামীগণ অন্য এলাকায় বসবাস করলে তাদেরকে “এ রোল” ও “বি রোল” এর মাধ্যমে সহজেই শনাক্ত করে গ্রেফতারপূর্বক আদালতে সোপর্দ করা যায়। এতে করে অপরাধীরা নিজ এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গিয়েও পালিয়ে থাকতে পারে না। ফলে অধিকহারে গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলের মাধ্যমে সমাজে অপরাধের সংখ্যা কমে আসে। তাই অপরাধী শনাক্তকরণে “এ রোল” ও “বি রোল” এর ভূমিকা অপরিসীম।