উত্তর:-
সঠিকভাবে সংরক্ষিত ভিসিএনবি অপরাধ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। নিম্নেভিসিএনবি’র সংরক্ষণ পদ্ধতিসহ অপরাধ ব্যবস্থাপনায় ইহার গুরুত্ব আলোচনা করা হলোঃ
ভিলেজ ক্রাইম নোটবুক কে নিম্নলিখিত ৫টি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। যথাঃ-
১। ১ম অংশঃ অপরাধীর রেজিষ্টারঃ এই অংশে গ্রাম এলাকায় সংঘটিত অপরাধীদের অপরাধমূলক ঘটনাবলী লিপিবদ্ধ থাকে। পিআরবি বিধি ৩৯৩। এই অংশে সংরক্ষিত তথ্যের মাধ্যমে গ্রাম এলাকার অপরাধীদের সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা পাওয়া যায়। ফলে এই অংশ হতে প্রাপ্ত তথ্য দ্বারা থানায় আগত একজন নতুন পুলিশ অফিসারও খুব সহজেই অপরাধ দমনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে।
২। ২য় অংশ:- দন্ড রেজিষ্টারঃ এ অংশে গ্রাম এলাকার দন্ড প্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিস্তারিত বিবরণ লেখা হয়। পিআরবি বিধি ৩৯৪। এই অংশে সংরক্ষিত তথ্যের মাধ্যমে গ্রাম এলাকার দন্ড বা সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি/অপরাধীদের সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা পাওয়া যায়, যা অপরাধ দমনের জন্য সহায়ক।
৩। ৩য় অংশঃ গ্রামীণ ইতিহাসঃ গ্রাম এলাকায় কোন সময় বিশেষ কোন অপরাধ ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছিল কিনা সে সম্পর্কে তথ্য এ অংশে লিপিবদ্ধ করা হয়। পিআরবি বিধি ৪০০। এই অংশে সংরক্ষিত তথ্যের মাধ্যমে গ্রাম এলাকায় অতীতকালীন সময়ে অপরাধের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা পাওয়া যায়। ফলে যে কোন অপরাধ সম্পর্কে অগ্রিম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।
৪। ৪র্থ অংশঃ গ্রামে বসবাসকারী লোকদের মধ্যে যারা পেশাদার অপরাধের সাথে জড়িত বলে ধারনা করা হয় তাদের তালিকা এই অংশে লিপিবদ্ধ করা হয়। পিআরবি বিধি ৪০৪। এই অংশে সংরক্ষিত তথ্যের মাধ্যমে গ্রাম এলাকার পেশাদার অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে এখতিয়ারাধীন এলাকাকে অনেকাংশে অপরাধমুক্ত করা সম্ভব।
৫। ৫ম অংশঃ ১ম ও ২য় অংশে উল্লেখিত সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম এবং বিভিন্ন ঘটনায় বা মামলায় সন্দেহযুক্ত কিন্তু দন্ডপ্রাপ্ত হয়নি এমন ব্যক্তিদের নাম এই অংশে লিপিবদ্ধ করা হয়। পিআরবি বিধি ৪০৫। এই অংশে সংরক্ষিত তথ্যের মাধ্যমে মামলায় সন্দেহযুক্ত কিন্তু দন্ডপ্রাপ্ত হয়নি এমন ব্যক্তিদের উপর নজরদারী বৃদ্ধি করা যায় এবং উক্ত ব্যক্তিগণ কর্তৃক যে কোন আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পূর্বেই বা অপরাধের সম্ভাবনা তৈরী হলে তাদের গ্রেফতারের মাধ্যমে অপরাধ দমন করা যায়।