উত্তরঃ
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা ডিউটিতে ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত থাকাকালে দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই হওয়ার পরিস্থিতে নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবঃ
১। সর্বপ্রথমে সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় ব্যালট বাক্স উদ্ধারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাব ও বলপ্রয়োগ করব। ব্যালট বাক্স উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনবোধে বাক্স ছিনতাই কারীদের উদ্দেশ্যে প্রথমে শটগানের গুলি, পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় পিস্তল ও রাইফেল দ্বারা গুলি করে ব্যালট বাক্স উদ্ধার করব। পুলিশ আইনের ২৩ ধারা, পিআরবি বিধি ১৫৩।
২। মোবাইল ফোনে যত দ্রুত সম্ভব মোবাইল পুলিশ টিম ও ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে থাকা বিজিবি’র স্ট্রাইকিং টিমকে ঘটনাস্থলের আসার জন্য অনুরোধ জানাব। কার্যবিধির ১৫০ ধারা ও পিআরবি বিধি ১২০।
৩। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার ওসিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণকে অবহিত করব। কার্যবিধির ১৫০ ধারা ও পিআরবি বিধি ১২০।
৪। বাক্স উদ্ধারের পর ভোট কেন্দ্রে কর্তব্যরত প্রিজাইডিং অফিসারসহ সকল সরকারী স্টাফের নিরাপত্তা ও সরকারী মালামালের হেফাজত নিশ্চিত করব। পুলিশ আইনের ২৩ ধারা, পিআরবি বিধি ১১৮।
৫। সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় ভোট কেন্দ্রের এখতিয়ারভুক্ত সীমানার ভিতরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যকার সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করব। এ সময় প্রয়োজনীয় বল প্রয়োগ ও লাঠি চার্জের মাধ্যমে সংঘর্ষ বা মারামারি থামানোর চেষ্টা করব। কার্যবিধি’র ১২৮ ধারা, পুলিশ আইনের ৩০-ক(২) ধারা এবং পিআরবি বিধি ১৪৩।
৬। সংঘর্ষকারীরা যদি এমন মারমুখী হয় যাতে নিজের জানমাল ও সরকারী সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হবে তবে এরূপ অবস্থায় দন্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারা নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে দন্ডবিধি আইনের ১০০, ১০৩ ধারার ক্ষমতা বলে পিআরবি বিধি-১৫৩, ১৫৪, ১৫৫ মতে সতর্কবানী প্রদান করে সংঘর্ষকারীদের প্রতি প্রথমে গ্যাসগান, শটগান ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করব। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে নিজের জানমাল রক্ষার্থে পিস্তল ও রাইফেল দ্বারা গুলি করব।
৭। আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পর পিআরবি বিধি ১৫৬ অনুসরণ করব।
৮। মোবাইল পুলিশ টিম ও ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে থাকা বিজিবি’র স্ট্রাইকিং টিম ঘটনাস্থলে হাজির হলে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সংঘর্ষ থামানো ও কেন্দ্রের পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করব। পুলিশ আইনের ১৭, ২৩, ২৪, ৩০, ৩০(ক), ৩১ ধারা।
৯। পুলিশের গুলিতে কেউ আহত বা নিহত হলে সে বিষয়ে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রমের জন্য মোবাইল পুলিশ টিমের ইনচার্জ বা সংশ্লিষ্ট থানার ওসি’কে অনুরোধ জানাব। কার্যবিধি ১৭৪, ১৭৫ ধারা, পিআরবি বিধি ২৯৯, ৩২১, ৩০৪, ৩০৫, ৩১০।
১০। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ম্যাজিস্ট্রেট ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত হব। পুলিশ আইনের ২৩ ধারা, পিআরবি বিধি ১১৮।
১১। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে ম্যাজিস্ট্রেট ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভোট গ্রহণ স্থগিত করলে প্রিজাইডিং অফিসারসহ সকল সরকারী স্টাফ, ভোট গ্রহণের সকল সরঞ্জাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পেক্সছে দিব। পুলিশ আইনের ২৩ ধারা।
১২। সংঘর্ষ চলাকালে সংঘর্ষকারীদের কেউ পুলিশ কর্তৃক বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার হলে তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মোবাইল টিম ইনচার্জ বা থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাব। কার্যবিধি ১২৮ ধারা, পুলিশ আইনের ৩০-ক(২) ধারা, পিআরবি বিধি ১৪৩, কার্যবিধি ৪৬, ১৫১ ধারা ও পিআরবি বিধি ৩১৬।
১৩। উপজেলা নির্বাচন অফিসের কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় এসে বর্ণিত বিষয়টি জিডিতে নোট দিব। কার্যবিধি ১৫৪, ১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা, পিআরবি বিধি ৩৭৭।
১৪। সংঘর্ষের বিষয়ে মোবাইল টিম বা থানা সংশ্লিষ্ট অফিসারকে এজাহার দায়েরের অনুরোধ জানাব বা এজাহারকারী না পাওয়া গেলে নিজে বাদী হয়ে সংঘর্ষকারীদের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করব। দন্ডবিধি আইনের ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ৩২৩, ৩২৫, ৪২৭ ধারা।
১৫। থানার ওসিকে বিস্তারিত ঘটনা জানাবো এবং তিনি পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কার্যবিধি ১৬৮, ১৫৬ ধারা।