উত্তরঃ
ডিউটি অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে জ.নক মহিলা মোবাইল ফোনে উত্যক্তকরণ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান বিষয়ক অভিযোগ নিয়ে থানায় আসলে পরবর্তী করনীয় বিষয়সমূহ নিম্নেআলোচনা করা হলোঃ
১। আগত মহিলার কাছ থেকে বিস্তারিত অভিযোগ শ্রবণপূর্বক জিডিভুক্ত করার জন্য বর্ণিত বিষয়ে একটি লিখিত আবেদন নিব।
২। মোবাইল ফোনে উত্ত্যক্তকরণ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের বিষয়ে ওসি সাহেবকে অবহিত করে বিষয়টি জিডি তে নোট দিব। কার্যবিধি ১৫৪, ১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা, পিআরবি বিধি ৩৭৭।
৩। জিডি’র একটি কার্বন কপি আগত মহিলা/বাদীকে প্রদান করব।
৪। যেহেতেু অপরাধটি অর্ধতব্য, তাই উহা তদন্তের জন্য অনুমতি চেয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আবেদন করব। কার্যবিধি ১৫৫ ধারা
৫। ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হতে অনুমতি পাওয়ার পর তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে সঙ্গীয় ফোর্সসহ রওনা হব। রওনা হওয়ার সময় জিডিতে নোট দিতে হবে।
৬। ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিষয়টি গোপনে ও প্রকাশে তদন্ত করব।
৭। বাদীর মোবাইল ফোনের “ডিটেইলড কল রেকর্ড” সংগ্রহের জন্য যথাস্থানে পত্র প্রেরণ করব।
৮। অপরাধীর নাম, ঠিকানা, পেশা, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করব।
৯। ঘটনার বিষয়ে জ্ঞাত কোন সাক্ষী থাকলে তাদের জবানবন্দী রেকর্ড করব। কার্যবিধি’র ধারা ১৬১, পিআরবি বিধি ২৬৫।
১০। ঘটনা সংশ্লিষ্ট কোন আলামত পেলে বিশেষ করে অপরাধীর মোবাইল ফোন সেট বা সিম কার্ড পেলে তা জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করব। কার্যবিধি’র ধারা ১০৩(২), পিআরবি বিধি ২৮০।
১১। আসামীর মোবাইল ফোনের “ডিটেইলড কল রেকর্ড” সংগ্রহের জন্য যথাস্থানে পত্র প্রেরণ করব। সাক্ষ্য আইনের ৪৫ ধারা
১২। থানায় ফিরে এসে তদন্ত সম্পর্কে ওসি সাহেবকে বিস্তারিত বিষয় অবহিত করব। কার্যবিধি ১৬৮ ধারা।
১৩। সার্বিক তদন্তেপ্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় বাদীর আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট অধর্তব্য ধারায় বিজ্ঞ আদালতে প্রসিকিউশন রিপোর্ট দাখিল করব। কার্যবিধি ১৫৫ ধারা, পিআরবি বিধি ২৫৪, ২৬৮, ৩৫৪, বিপি ফরম নং-৩৫
১৪। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করব।