উত্তর:-
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪(ত) ধারা ও পিআরবি বিধি ২০৭(গ) মতে থানার দায়িত্বে থাকাকালীন ডাকাতির সংবাদ পেলে নিম্নবর্ণিত দায়িত্বসমূহ পালন করবঃ-
১। ডাকাতির সংবাদ আসলে বাদীর মেক্সখিক বা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দন্ডবিধি আইনের ৩৯৫ ধারায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে এজাহার গ্রহণ করব। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৪৩।
২। এজাহারের প্রথম কপি কোর্টে, দ্বিতীয় কপি পুলিশ সুপারের অফিসে প্রেরণ করব। তৃতীয় কপি থানার এজাহার বহিতে রেকর্ড হিসেবে থাকবে। এজাহারের মূল কপির ছায়ালিপি এএসপি সার্কেল অফিসে ও অপর ছায়ালিপি তদন্তকারী অফিসার হিসেবে আমি নিজে কেস ডকেট ক্সতরীর জন্য নিব। সিআইডি কার্যালয়ে এক্সপ্রেস লেটারসহ এজাহারের ছায়ালিপি প্রেরণ করব। পিআরবি বিধি ২৪৬।
৩। ডাকাতির ঘটনাটি এএসপি সার্কেল ও পুলিশ সুপার কে জানাব। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫০ ধারা ও পিআরবি বিধি ১২০।
৪। থানায় রক্ষিত অপরাধ মানচিত্র ও ক্রাইম চার্টে চিহ্নিত করব। পিআরবি বিধি ৩৯০।
৫। সীমান্তবর্তী থানা সমূহে, রেলওয়ে থানা, পার্শ্ববর্তী পুলিশ ফাঁড়ি ও ইউনিটসমূহে হৈ চৈ বিজ্ঞাপন পাঠাব। পিআরবি বিধি ২৫০।
৬। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৬ ধারা মতে আমি নিজেই এ মামলার তদন্তভার গ্রহণ করব।
৭। থানার ভিসিএনবি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় নোট নিব। পিআরবি বিধি ২৫৬।
৮। থানার চার্জ একজন এএসআই এর উপর ন্যস্ত করব। যদি কোন এএসআই থানায় না থাকেন তাহলে সিনিয়র কনস্টেবলের উপর থানার ভার ন্যস্ত করে মালখানার চাবি হস্তান্তর পূর্বক জিডিতে নোট করে অতি দ্রুত ডাকাতি ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হব। পিআরবি বিধি ২০৭(গ), ২৩৯(ক), ২৫৫(খ), ৩৭৭।
৯। পিআরবি বিধি ২৫৮ মতে ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করব।
১০। পিআরবি ২৮০ ও কার্যবিধি ১০৩(২) ধারা মতে ডাকাতির সাথে জড়িত কোন বস্তু বা আলামত পাওয়া গেলে তা জব্দ করব।
১১। পিআরবি ২৭৩ মতে ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচীপত্র তৈরী করতে হবে।
১২। ঘটনাস্থলে কোন ব্যক্তি আহত হলে উক্ত ভিকটিমের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করব। পিআরবি বিধি ৩১২।
১৩। কার্যবিধি ১৬১ ও পিআরবি ২৬৫ মতে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ভিকটিম বা ক্ষতিগ্রস্থ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের জবানবন্দী রেকর্ড করব।
১৪। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন, লুন্ঠিত দ্রব্যাদি উদ্ধার, অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য পিআরবি বিধি ২৯৫, ৩৪১, ৩৪২, ৩৪৫ মতে গুপ্তচর নিয়োগ করব। সাক্ষ্য আইনের ১২৫ ধারা।
১৫। এজাহারে বর্ণিত আসামীদেরকে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০২, ১০৩, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫৪ ধারা মতে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে নিব। পিআরবি বিধি ৩১৬।
১৬। লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের নিমিত্তে সন্দেহজনক স্থান ও পেশাদার অপরাধীদের বাড়ীতে তল্লাশি চালাব। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০২, ১০৩, ১৬৫, ১৬৬ ধারা, পিআরবি বিধি ২৮০।
১৭। থানায় ফিরে এসে বিস্তারিত ঘটনা জিডিতে নোট দিব এবং প্রাথমিক তদন্তের ফলাফল উর্ধ্বতন অফিসারগণকে জানাব। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫০, ১৫৪, ১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের ২৩, ৪৪ ধারা, পিআরবি বিধি ১২০, ৩৭৭।
