উত্তর:-
১। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪(ত) ধারা ও পিআরবি বিধি ২০৭(গ) মতে থানার দায়িত্বে থাকাকালীন অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংবাদ পেলে পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা, ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪, ১৫৫ ধারা এবং পিআরবি বিধি ৩৭৭ মতে বিষয়টি জিডিভুক্ত করব।
২। থানার চার্জ একজন এএসআই এর উপর ন্যস্ত করব। যদি কোন এএসআই থানায় না থাকেন তাহলে সিনিয়র কনস্টেবলের উপর থানার ভার ন্যস্ত করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হব।
৩। ঘটনাস্থলে গিয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৫ ধারা মতে স্থানীয় ২/৩ জন ব্যক্তিকে সুরতহাল রিপোর্টের সাক্ষী হওয়ার জন্য তলব করব।
৪। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৪ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৯৯ মতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে নিম্নলিখিতভাবে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে রিপোর্টে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিব।
ক) মৃত দেহের আশপাশে কিংবা ঘটনাস্থলের কাছে কোন রক্তের দাগ বা আলামত আছে কিনা লিপিবদ্ধ করব।
খ) মৃত দেহের উপর কোন কাটা দাগ বা কোন ক্ষত চিহ্ন আছে কিনা তা রিপোর্টে লিপিবদ্ধ করব।
গ) মৃত ব্যক্তির হাত, পা, জিহবা এগুলোর অবস্থান সম্পর্কে রিপোর্টে লিপিবদ্ধ করব।
ঘ) মৃত ব্যক্তির কোন প্রকার মলমূত্র বের হয়েছে কিনা তা লিপিবদ্ধ করব।
ঙ) ফাঁসির মরা হলে ফাঁসির দড়ি যে স্থানে বাধা ছিল তা শক্ত কিনা, ফাঁসির দড়ি ঝুলন্ত অবস্থায় মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট ছিল কিনা তা লিপিবদ্ধ করব।
চ) ঘটনাস্থলের আশে পাশে এমন কোন চিহ্ন বা আলামত পাওয়া যায় কিনা যে উক্ত ব্যক্তি নিজেই ইচ্ছাকৃতভাবে আত্মহত্যা করেছে কিনা তা লিপিবদ্ধ করব।
৫। প্রকাশ্য ও গোপনে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য অনুসন্ধান চালাব। যদি ঘটনাস্থলের সার্বিক তথ্যাবলী ও তদন্তে প্রতীয়মান হয় যে, মৃত ব্যক্তি নিজেই ইচ্ছাকৃতভাবে আত্মহত্যা করেছে তবে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী লাশকে সৎকারের হুকুম দিব। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে সাক্ষীদের পড়ে শুনাব এবং তাদের স্বাক্ষর নিব।
৬। সার্বিক তদন্তে যদি ঘটনাস্থলের কোন তথ্য মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কে সন্দেহের সৃষ্টি হয় তাহলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্নয়ের জন্য সুরতহাল রিপোর্টের কপি, আদেশপত্র ও ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণসহ লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করব। পিআরবি বিধি ৩০৪, ৩০৫।
৭। থানায় ফিরে এসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট সমস্ত কাগজপত্র অর্পণ করে মৃত্যুর ঘটনা ব্যক্ত করব।