প্রশ্ন- ১৬। একটি মামলা তদন্তের কি কি দুর্বল ক্ষেত্র সমূহ থাকার কারণে আসামী খালাস পেয়ে যায় আলোচনা করুন।
উত্তরঃ
একটি মামলার তদন্তের নিম্নলিখিত ক্ষেত্র সমূহ দুর্বল থাকার কারণে মামলার তদন্তে ত্রুটি হয় যার কারণে আসামী খালাস পেয়ে যায়।
১। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৪৩ মতে লিপিবদ্ধকৃত এজাহারটি তদন্ত করার সময় ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে না পড়া।
২। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৬, ১৫৭ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৫৮ মতে ঘটনাস্থলে দ্রুত না পেক্সছানো।
৩। পিআরবি বিধি ২৫৬ অনুসারে তদন্তের পূর্বে থানার গুরুত্বপূর্ণ রেজিষ্টার সমূহ না দেখা।
৪। পিআরবি বিধি ৩৯১ মতে ভিসিএনবি হতে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ না করা।
৫। পিআরবি বিধি ৬৩৫ মতে ঘটনাস্থলে দ্রুত পেক্সছে বস্তুগত সাক্ষ্য সমূহ সংগ্রহ না করা।
৬। পিআরবি বিধি ২৭৩ মতে ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র তৈরী না করা।
৭। ঘটনাস্থলে থাকা আলামত সমূহের জব্দ তালিকা তৈরী না করা। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(২) ধারা, পিআরবি বিধি ২৮০।
৮। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬১ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৬৫ মতে ঘটনার সাথে পরিচিত ব্যক্তির মেক্সখিক সাক্ষ্য গ্রহণ না করা।
৯। সাক্ষ্য আইনের ৩২(১) ধারা ও পিআরবি বিধি ২৬৬ মতে মৃত্যুর সম্মুখীন ব্যক্তির মৃত্যুকালীন জবানবন্দী লিপিবদ্ধ না করা।
১০। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৭ ধারা ও পিআরবি বিধি ৩২৪ মতে আসামীকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ না করা।
১১। আসামী গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য সোর্স নিয়োগ না করা। পিআরবি বিধি ২৯৫, ৩৪১, ৩৪২, ৩৪৫, ও সাক্ষ্য আইনের ১২৫ ধারা।
১২। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা, পিআরবি বিধি ৪৬৭ মতে আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী লিপিবদ্ধ না করা।
১৩। পিআরবি বিধি ২৯৭ ও সাক্ষ্য আইনের ৯, ২৭, ৪৫ ধারা মতে বস্তুগত সাক্ষ্য পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞের নিকট প্রেরণ করে মতামত গ্রহণ না করা।
১৪। পিআরবি বিধি ২৮২ মতে টিআই প্যারেডের অনুষ্ঠান না করা।
১৫। মৃত ব্যক্তির সুরতহাল রিপোর্ট সঠিকভাবে তৈরী না করা। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭৪ ধারা, পিআরবি বিধি ২৯৯।
১৬। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য লাশটি মর্গে প্রেরণ না করা। পিআরবি বিধি ৩০৪, ৩০৫।
১৭। ভিডিও ক্যামেরা ও টেপ রেকর্ডে অপরাধ সংঘটনের স্থান ও অপরাধীদের কথাবার্তা ধারণ না করা। দ্রুত বিচার আইনের ১৪ ধারা।
১৮। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৭২ ধারা, পিআরবি বিধি ২৬৩, ২৬৪ মতে কেস ডায়রী সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ না করা।