উত্তরঃ
থানার ওসি হিসেবে থানা এলাকার অপরাধ প্রতিরোধের জন্য একটি সুপারিশমালা নিম্নেআলোচনা করা হলোঃ
১। থানার সকল অফিসার ও ফোর্স নিয়ে অপরাধ দমন সভা ও পরিকল্পনা প্রনয়ন করব এবং থানা এলাকা ইউনিয়ন বা বিট ভিত্তিক ভাগ করে অফিসারদের মধ্যে দায়িত্ব বন্টন করব। পিআরবি ১১৮, ১২১, ১২২, ১২৫
২। থানার সকল রেজিষ্টার ও নথিপত্র রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অফিসারদের মধ্যে দায়িত্ব বন্টন করব। পিআরবি ৩৭৩, ৩৭৪
৩। থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং জননিরাপত্তা বিধানের জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকব। পিআরবি ২০১, ১১৮,
৪। থানা এলাকার সকল সড়ক-মহাসড়ক, হাট-বাজার, বাস স্ট্যান্ড, খেলার মাঠ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উন্মুক্ত ময়দান, জনসমাগমের সকল স্থান বেআইনী সমাবেশ ও যে কোন বিশৃঙ্খলা ও দাঙ্গামুক্ত রাখার জন্য নিয়মিত পুলিশ টহল জোরদার করব। পিআরবি ১১৮, ১৪১, ১৪২, ১৪৩, ৩৫৬, ৩৫৮, ৩৫৯।
৫। মুলতবী মামলা ও বিবিধ তদন্ত, ওয়ারেন্ট তামিল ও মাদক উদ্ধারে সকল অফিসার ও ফোর্সকে নির্দেশনা দিব। ফৌজদারী কার্যবিধি ১৫৬, ৭৫, ৪৬ ধারা। পিআরবি ৩১৫,
৬। অপরাধ দমনে ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহ ও গুপ্তচর নিয়োগের জন্য অফিসার ও ফোর্সকে নির্দেশনা দিব। পিআরবি বিধি ২৯৫, ৩৪১, ৩৪২, ৩৪৫।
৭। আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সংবাদ থানায় আসলে মামলা রেকর্ড এবং তদন্তের সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করব। ফৌজদারী কার্যবিধি’র ধারা ১৫৪, ১৫৬ পিআরবি বিধি ২৪৩।
৮। থানা পুলিশের সামনে কোন আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটন হলে/সংবাদ পেলে সংশ্লিষ্ট অফিসার তাৎক্ষনিক উহা দমন করবেন এবং ঘটনার বিষয়ে দ্রুত ওসি’কে জানাবেন। এসময় বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারযোগ্য ব্যক্তিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিব। পরে বাদী পাওয়া গেলে মামলা রেকর্ড করব, বাদী না পাওয়া গেলে পুলিশ বাদী মামলা রেকর্ডের ব্যবস্থা নিব। ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৬, ৫৪, ১৪৯, ১৫০, ১৫১ ধারা, মোটরযান আইনের ১৬০ ধারা, অস্ত্র আইনের ১২ ও ১৩ ধারা, পুলিশ আইনের ১৭, ২৩, ৩৪ ও ৩৪(ক) ধারা, ডিএমপি অধ্যাদেশের ১০০ ধারা। পিআরবি বিধি ৩১৬, ২৪৩।
৯। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আদালতে পাঠাব। ফেক্সঃ কার্যবিধি’র ধারা ৬১, পিআরবি বিধি ৩২৪।
১০। জরুরী পরিস্থিতি ও বিশেষ ঘটনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করব। ফেক্সঃ কার্যবিধি ১৫০ ধারা, পিআরবি বিধি ১২০।
১১। আমলের অযোগ্য অপরাধের সংবাদ আসলে উহা জিডিভুক্ত করব এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে তদন্তের ব্যবস্থা নিব। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৫ ধারা, পিআরবি বিধি ২৫৪, ৩৫৪, ২৬৮।
১২। অপমৃত্যুর সংবাদ পেলে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড ও তদন্তের ব্যবস্থা নিব। ফেক্সঃ কার্যবিধি ১৭৪, পিআরবি বিধি ২৯৯।
১৩। থানায় নির্ধারিত ফরমে জেনারেল ডায়রী রাখব। থানার সকল কার্যক্রমের সারমর্ম ইহাতে লিপিবদ্ধ করতে হবে। পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা, পিআরবি ৩৭৭, ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৪, ১৫৫ ধারা।
১৪। অসৎ চরিত্রের লোকদের বিষয়ে “এ রোল” ও “বি রোল” জারী করব। পিআরবি বিধি ৩৪৩, ৩৪৪
১৫। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ক্সহ.চ বিজ্ঞাপন ও অনুসন্ধান স্লিপ ইস্যু করব। পিআরবি বিধি ২৫০, ৩৮৯
১৬। চেক্সকিদারী প্যারেড অনুষ্ঠান এবং কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগণ ও চেক্সকিদারদের সহযোগিতা নিব। পিআরবি বিধি ৩৬৩, ৩৬৪, ৩৬৯, ৩৭০, ৬৭৪, ৬৭৫, ৬৭৬। ফৌজদারী কার্যবিধি ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫ ধারা।
১৭। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, সাইবার ক্রাইম, যেক্সতুক ও মাদকের কুফল সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মাঝে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিব এবং উক্ত অপরাধ সমূহ নিয়ন্ত্রণের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সহায়তায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে সচেতনতা তৈরী করব। পুলিশ আইনের ২৩ ধারা, পিআরবি বিধি ১১৮, কার্যবিধি
১৮। বেওয়ারিশ ও সন্দিগ্ধ মালামাল, বেওয়ারিশ বা অজ্ঞাতনামা লাশ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিব। ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৫০ ধারা, পুলিশ আইনের ২৫ ধারা এবং পিআরবি বিধি ২৫১, ৩৭৯, ৩২২, ৩৭৯(খ), ৩১৩, ৩১৪, ৬৩৫, ৬৩৮, ৩০৪, ৩০৫, ৩১০।
১৯। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট ও চাকরীর ভেরিফিকেশন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমা রাখা, মানি এসকর্ট, টেন্ডার ড্রপ, পাবলিক পরীক্ষা, ঈদগাহ, মেলা, পূজা, বিশেষ উৎসব, সড়ক দুর্ঘটনা, ভিআইপি, ভিভিআইপি’র গমনাগমন স্থল, যে কোন অবৈধ সমাবেশ, মোবাইল কোর্ট, নির্বাচনী ভোট কেন্দ্র ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ও পুলিশী সেবা প্রদানের ব্যবস্থা নিব। পুলিশ আইনের ২৩ ধারা। পিআরবি ১১৮, ২৩৫, ৩৮৪, ৬৮২, ৬৯০, ৭০১,
২০। অপরাধ দমন, মামলা তদন্ত ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজ্ঞ আদালত ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অন্য যে কোন আইনানুগ কাজ সম্পাদন করব। পুলিশ আইনের ২৩ ধারা। পিআরবি ১৬৮।