উত্তর:-
অনুসন্ধান স্লিপ বা ইনকোয়ারী স্লিপ:- কোন থানায় রুজুকৃত মামলার গ্রেফতারকৃত বা পলাতক বা ফেরারী আসামীর স্থায়ী ঠিকানা যদি অন্য থানায় হয় তাহলে ঐ থানা হতে আসামীর স্থায়ী ঠিকানার থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর আসামী নাম, ঠিকানা, স্বভাব চরিত্র, পূর্ববর্তী অপরাধ ও শাস্তির রেকর্ড ইত্যাদি তথ্য যাচাই ও প্রাপ্তির জন্য বিপি ফরম নং-৭৬ ও ৭৭ মোতাবেক যে স্লিপ বা পত্র প্রেরণ করা হয় তাকে অনুসন্ধান স্লিপ বা ইনকোয়ারী স্লিপ বলে। পিআরবি বিধি ৩৮৯।
নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে অনুসন্ধান স্লিপ ইস্যু করা হয়ঃ
১। কোন থানায় রুজুকৃত মামলার গ্রেফতারকৃত বা পলাতক বা ফেরারী আসামীর স্থায়ী ঠিকানা যদি অন্য থানায় হয় তাহলে উক্ত আসামীর নাম, ঠিকানা, স্বভাব চরিত্র, পূর্ববর্তী অপরাধ ও শাস্তির রেকর্ড ইত্যাদি তথ্য যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান স্লিপ ইস্যু করা হয়।
২। কোন মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের জন্য ইহা ইস্যু করা হয়।
৩। কোন আসামীর স্থায়ী ঠিকানাগত থানার মামলায় তাকে গ্রেফতারের জন্য সম্ভাব্য বর্তমান ঠিকানার থানা বরাবর ইহা ইস্যু করা হয়।
৪। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংঘটনের সাথে জড়িত ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, স্বভাব চরিত্র ও ক্রাইম রেকর্ড যাচাই ও গ্রেফতারের জন্য ইহা ইস্যু করা হয়। পিআরবি বিধি ৩৮৯।
অনুসন্ধান স্লিপ প্রাপ্তির পর পুলিশ অফিসারের করনীয় বিষয় সমূহ নিম্নেআলোচনা করা হলোঃ
১। ইহা থানার পত্র গ্রহণ রেজিষ্টার পার্ট-৩ এ গ্রহণ করে লাল কালি দ্বারা লিপিবদ্ধ করতে হবে। পিআরবি বিধি ৩৭৬
২। প্রাপ্ত অনুসন্ধান স্লিপ এর বিষয়বস্তু অনুসন্ধানের নিমিত্তে অফিসার ইনচার্জ যে কোন এসআই বা এএসআই এর উপর হাওলা করবেন। ফৌজদারী কার্যবিধি’র ধারা ১৫৬।
৩। হাওলামূলে অনুসন্ধান স্লিপ প্রাপ্ত অফিসার উহা তদন্তের জন্য তৎপর হবেন।
৪। অনুসন্ধান স্লিপ প্রাপ্তির পর অতিরিক্ত কেস ডায়রী পত্তন করবেন এবং উহার সারমর্ম অতিরিক্ত কেস ডায়রীতে লিপিবদ্ধ করবেন। ফৌজদারী কার্যবিধি’র ধারা ১৭২, পিআরবি বিধি ২৬৩, ২৬৪।
৫। অনুসন্ধান স্লিপ-এ বর্ণিত আসামীর নাম, ঠিকানা, স্বভাব চরিত্র যাচাইয়ের জন্য জিডিতে নোট দিয়ে কাংখিত ঠিকানায় গমনের উদ্দেশ্যে সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা হতে রওনা করবেন। কার্যবিধির ১৫৪, ১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা, পিআরবি ৩৭৭
৬। যথাস্থানে উপস্থিত হয়ে প্রথমে গোপনে ও পরে প্রকাশ্যে অনুসন্ধান স্লিপ-এ বর্ণিত আসামীর নাম, ঠিকানা, স্বভাব চরিত্র যাচাই ও অনুসন্ধান করবেন। পিআরবি বিধি ৩৮৯।
৭। অনুসন্ধান স্লিপ-এ আসামী গ্রেফতারের অনুরোধ থাকলে আসামী গ্রেফতার করবেন বা গ্রেফতারের চেষ্টা চালাবেন। ফৌজদারী কার্যবিধি’র ৪৬, ৫৪(৯) ধারা, পিআরবি বিধি ৩১৬। এসময় ফৌজদারী কার্যবিধি’র ধারা ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ১০২, ১০৩ ও পিআরবি বিধি ২৮০ অনুসরণ করতে হবে।
৮। আসামী সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য ও গ্রেফতারের লক্ষ্যে গুপ্তচর নিয়োগ করতে হবে। পিআরবি বিধি ২৯৫, ৩৪১, ৩৪২, ৩৪৫।
৯। থানায় ফিরে এসে আসামীর পূর্ববর্তী অপরাধ ও শাস্তির রেকর্ড ইত্যাদি তথ্য যাচাইয়ের জন্য “ভিসিএনবি, এজাহার বহি, সিডিএমএস ও অন্যান্য রেজিষ্টার সমূহ” পর্যালোচনা করতে হবে এবং কোন তথ্য পাওয়া গেলে তা অতিরিক্ত কেস ডায়রীতে লিপিবদ্ধ করতে হবে। পিআরবি বিধি ৩৯১, ২৪৩, ৩৮০, ফৌজদারী কার্যবিধি ১৫৪ ধারা।
১০। গ্রেফতারের অনুরোধের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে গ্রেফতার সম্ভব হলে আসামীকে সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রেরণ করতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি’র ধারা ৬১, পিআরবি বিধি ৩২৪।
১১। অনুসন্ধানের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিজ থানার অফিসার ইনচার্জ কে অবগত করতে হবে। ফেক্সঃ কার্যবিধি’র ধারা ১৬৮।
১২। যে থানা হতে অনুসন্ধান স্লিপ পাওয়া গেছে ঐ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অনুসন্ধানের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখপূর্বক অতিরিক্ত কেস ডায়রী আকারে প্রেরণ করতে হবে। কার্যবিধি’র ধারা ১৭২, পিআরবি বিধি ২৬৩, ২৬৪, ৩৮৯