উত্তরঃ
১। পুলিশ অফিসারের নিকট হতে সমন পাওয়ার পর সাক্ষী হাজির না হলে দন্ডবিধি আইনের ১৭৪, ১৭৫, ১৮৭ ধারা মতে অভিযুক্ত ও দন্ডিত হবে।
২। সাক্ষী হাজির হয়ে জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের জবাব না দিলে দন্ডবিধি আইনের ১৭৯ ধারা মতে অভিযুক্ত ও দন্ডিত হবে।
৩। সাক্ষী হাজির হয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করলে দন্ডবিধি আইনের ১৮১ ও ১৯৩ ধারা মতে অভিযুক্ত ও দন্ডিত হবে।
প্রশ্ন- ২৩। সাক্ষ্য গ্রহণের ক্রম বা ধারাবাহিকতা বলতে কি বুঝায় ? সাক্ষ্য গ্রহণের ক্রম বা ধারাবাহিক ধাপ সমূহ বর্ণনা করুন। অথবা জবানবন্দী, জেরা, পুনঃজবানবন্দী ও পুনঃ জেরা কাকে বলে ?
উত্তরঃ সাক্ষ্য গ্রহণের ক্রম বা ধারাবাহিকতা:- যে পদ্ধতিতে ও পর্যায়ক্রমিকভাবে বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় তাকে সাক্ষ্য গ্রহণের ক্রম বা ধারাবাহিকতা বলে। সাক্ষ্য আইনের ১৩৭, ১৩৮ ধারা।
সাক্ষ্য গ্রহণের ক্রম বা ধারাবাহিক ধাপ সমূহ হলোঃ
১। জবানবন্দী, ২। জেরা, ৩। পুনঃ জবানবন্দী, ৪। পুনঃজেরা।
নিম্নেক্রম গুলির বিস্তারিত উল্লেখ করা হলোঃ
১। জবানবন্দীঃ যে পক্ষ সাক্ষীকে হাজির করেছেন সেই পক্ষ যখন সাক্ষীকে প্রশ্ন- করেন তখন তাকে সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করা বলা হয়। সাক্ষ্য আইনের ১৩৭, ১৩৮ ধারা।
২। জেরাঃ বিরুদ্ধ পক্ষ যখন সাক্ষীকে প্রশ্ন- করেন তখন তাকে জেরা বলা হয়। সাক্ষ্য আইনের ১৩৭,১৩৮ ধারা।
৩। পুনঃজবানবন্দীঃ জেরার পর যখন সাক্ষীকে উপস্থিতকারী পক্ষ যদি পুনরায় তাকে প্রশ্ন- করেন তবে তাকে পুনঃজবানবন্দী গ্রহণ করা বলা হয়। সাক্ষ্য আইনের ১৩৭,১৩৮ ধারা।
৪। পুনঃ জেরাঃ পুনঃ জবানবন্দী প্রদানের পর বিরুদ্ধপক্ষ যখন সাক্ষীকে প্রশ্ন- করেন তাকে পুনঃজেরা বলে। সাক্ষ্য আইনের ১৩৭,১৩৮ ধারা।