পুলিশ আইন ১৮৬১ সানের ৫নং আইন ধারা বিবরণ ১ সংজ্ঞা সমূহঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, জেলারেল পুলিশ ডিস্ট্রিক্ট, জেলা সুপারিন্টেন্ডেন্ট, সম্পত্তি, ব্যক্তি, মাস, গবাদিপশু, নিম্নপদস্থ পুলিশ কর্মচারী। ২* পুলিশ বাহিনীর গঠন ৪ পুলিশের প্রশাসনিক ক্ষমতাঃ সরকার দেশের সকল অংশের পুলিশ বাহিনীর সকল কাজ তত্ত্বাবধান করবেন এবং সরকার কর্তৃক ক্ষমতা অর্পিত না হয়ে অন্য কেহ বা কোন কর্মকর্তা বা আদালত পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ্ত করতে পারবে না। ৫* আইজিপি সকল জেলার ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা (পিআরবি-৩৫, কাঃবিঃ ১৪) ৭ অধঃস্তন পুলিশ কর্মচারীদের দুই ধরণের শাস্তির বিধান (পিআরপি-৪৩৪, ডিএমপি-১২) গুরুদন্ডঃ ১। চাকুরী হতে বরখাস্তকরণ, ২। চাকুরী হতে অপসারণ, ৩। পদাবনতি, ৪। বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ, ৫। পদোন্নতি স্থগিতকরণ। গুরুদন্ড প্রদান করতে হলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করতে হয়। বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে গুরুদন্ড প্রদান করা হয়। শুরুদন্ডের শাস্তির বিরুদ্ধে আপীল করা যায়। লঘুদন্ডঃ ১। সতর্কীকরণ, ২। তিরস্কার, ৩। অতিরিক্ত ড্রিল, ৪। ফেটিক ডিউটি, ৫। আটক বা নজরবন্দি লঘুদন্ড প্রদান করতে হলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করতে হয় না। লঘুদন্ডের শাস্তির বিরুদ্ধে আপীল করা যায় না। ৮ প্রত্যেক পুলিশ কর্মচারী নিযুক্ত হলে একটি করে নিয়োগপত্র পাবে ৯* ০২ মাসের নোটিশ না দিয়ে পুলিশের কার্যে ইস্তেফা দিতে পারবেন না।(ডিএমপি-১৪) ১০* আইজিপির লিখিত অনুমতি ছাড়া নিজ কর্তব্যকর্ম ব্যতীত অন্য কোন কর্মে বা চাকুরীতে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবে না। (পিআরবি-১১০) ১২ আইজিপির বিধি তৈরীর ক্ষমতা ১৩* কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগ করা যাবে (পিআরবি-৬৬৯, ডিএমপি-৩৬) ১৪ রেলওয়ের আশে-পাশে এবং অন্যান্য কাজে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ১৫* বিপদজ্জনক এলাকা বলে ঘোষনা ও অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগ(পিআরপি-৬৬৭) ১৭* বেআইনী জনতা বা দংগা হাঙ্গামা প্রতিরোধকল্পে স্পেশাল পুলিশ নিয়োগ(পিআরবি-৬৭৪) ১৮ স্পেশাল পুলিশের সুযোগ-সুবিধাঃ সাধারনত পুলিশ কর্মচারীর সকল ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, দায়িত্ব ও সুযোগ-সুবিধার অদিকারী হবে। ১৯ স্পেশাল পুলিশ কর্তৃক অবহেলার শাস্তি। ২২* পুলিশ কর্মচারী ২৪ ঘন্টা কর্মরত থাকবে (ডিএমপি-১৩) ২৩** নিম্নলিখিত কার্যগুলি সকল পুলিশ অফিসারের কর্তব্য বলে গন্য হবেঃ- ১। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সকল বৈধ আদেশ দ্রুত পালন বা কার্যকরী করা; ২। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সকল বৈধ পরোয়ানা জারি ও দ্রুত কার্যকরী করা; ৩। সর্বসাধারণের শাস্তি রক্ষা সম্পর্কিত সংবাদ সংগ্রহ ও যথাস্থানে তার রিপোর্ট দান করা; ৪। কোন অপরাধ সংঘটিত হতে দেখলে বা হওয়ার আশঙ্কা থাকলে উক্ত অপরাধ প্রতিরোধ বা নিবারন করা; ৫। সর্বসাধারণের বিরক্তিকর কার্য অর্থাৎ পাবলিক ন্যুইসেন্স নিবারণ করা; ৬। অপরাধের বৃত্তান্ত অনুসন্ধান বা উদঘাটন করা; ৭। অপরাধীকে বিচারার্থে আদালতে সোপর্দকরা; ৮। আইন সঙ্গতভাবে গ্রেফতারযোগ্য সকল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা; উপরোক্ত কর্তৃব্য সমূহ পালনের জন্য সকল পুলিশ অফিসার যেকোন সরাবখানা, জুয়ার আড্ডা, সন্ধিগ্ধ ও উচ্ছৃখল চরিত্রের লোকদের সমাগম স্থানে বিনা পরোয়ানায় প্রবেশ করতে পারবেন। ২৪** যে কোন পুলিশ অফিসার কোন অপরাধ সম্পর্কে ম্যাজিষ্ট্রেটকে অবহিত করতে পারবেন এবং যেকোন অপরাধী ব্যক্তির প্রতি সমন, ওয়ারেন্ট, বা থানা তল্লাশির পরোয়ানা বা অন্যবিধ আইনসঙ্গত পরোয়ানার জন্য আবেদন করতে পারবেন। (পিআরবি-১২০, কাঃ বিঃ ১৫০) ২৫* কোন বেওয়ারিশ বা দাবিদারহীন সম্পত্তি পাওয়া গেলে প্রত্যেক পুলিশ অফিসারের কর্তব্য হবে তা হেফাজতে নেয়া এবং সম্পত্তির একটি তালিকা প্রস্তুত করে ইহা ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট দাখিল করা। (ডিএমপি-২২) ২৬* (১) বেওয়ারিশ বা দাবিদারহীন সম্পত্তি পাওয়া গেলে ইহার বিবরণসহ ম্যাজিষ্ট্রেট ঘোষনা প্রকাশ করতে পারবেন এবং ইহাতে কারো দাবি থাকলে ঘোষণা প্রকাশের ৬ মাসের মধ্যে তার দাবী পেশ করতে হবে। ২৭* (১) যদি কোন ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এইরুপ সম্পত্তি অথবা ইহার বিক্রয়লদ্ধ অর্থ দাবি না করে অথবা পূর্ববর্তী ধারার (২) উপধারা অধীনে এই সম্পত্তির বিক্রয়লদ্ধ অর্থ সম্পর্কে কোন দাবি প্রতিষ্ঠিত না হলে ইহা সরকারি কোষাগারে জমা হবে। ২৮* পুলিশ হিসেবে চাকুরী হতে বরখাস্ত, পদত্যাগ, চাকুরীচ্যুত ইত্যাদি হলে নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে নিয়োগপত্র, পোশাক-পরিচ্ছেদ প্রভৃতি কর্তৃকপক্ষের নিকট জমা দিতে হবে। জমাপ্রদানে ব্যর্থ হলে ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমান/ ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। ২৯** যে কোন পুলিশ কর্মচারী যদি নিম্নলিখিত রুপে যেকোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়, যথাঃ (১) কর্তব্যচ্যুতি কোন নিয়ম বা রেগুলেশন স্বেচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করা ও গাফিলতি পূর্বক তা পালনে শৈথিল্য করা; (২) উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষের কোন বৈধ আদেশ ইচ্ছাপূর্বক অমান্য বা গাফিলতি পূর্বক তা পালনে শৈথিল্য করা (৩) পুলিশ আইনের ৯ ধারার বিধান লঙ্গন করে উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে অথবা অন্তর দুই মাসের নোটিস না দিয়ে কর্মত্যাগ (৪) ছুটি গ্রহণ করার পর, ছুটির মেয়াদান্তে যুক্তিসঙ্গত করণ ব্যতীত কর্মে যোগদানে ব্যর্থ হওয়া (৫) উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে পুলিশের কর্ম ব্যতীত অন্য কোন কর্মে নিজেকে নিযুক্ত করা (৬) ভীরুতার অপরাধে অপরাধী হওয়া (৭) পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন কোন আসামীর উপর অন্যায়ভাবে শারীরিক নির্যাতন বা আঘাত করা (পিআরবি নিয়ম ৪৩৪) তবে তাকে বিচারার্থে ম্যাজিস্ট্রেটের সমক্ষে সোপর্দ করা চলবে এবং বিচারে অপরাধী প্রমাণিত হলে তার তিন মাসের বেতনের সমপরিমাণ জরিমানা অথবা বিনাশ্রম কারাদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। ৩০* (১) জেলার পুলিশ সুপার বা সহকারি পুলিশ সুপার জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় শোভাযাত্রা, মিছিল বা জনসমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং কোন কোন রাস্তায় কোন কোন সময় ইহা যেতে পারবে তার নির্দেশ দিতে পারেন। (২) যদি কোন মিছিল বা জনসমাবেশে শান্তিভঙ্গের আশষ্কা দেখা দেয় তবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইহা যোগদানকারীগণকে লাইসেন্স লইতে বাধ্য করতে পারবেন। (৩) লাইসেন্সের দরখাস্ত পেলে, দরখাস্তকারীগণের নাম উল্লেখ করে শর্তাবলী আরোপ পূর্বক পুলিশ সুপার লাইসেন্স মঞ্জুর করতে পারবেন। অবশ্য এইরুপ লাইসেন্স এর জন্য কোন প্রকার পয়সা বা ফিস আদায় করা যাবে না। ৩০-ক* (১) শোভাযাত্রা বা জনসমাবেশ লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করলে ম্যাজিষ্ট্রেট বা পুলিশ সুপার বা সহকারি পুলিশ সুপার কিংবা ইন্সপেক্টর বা থানার অফিসার ইনচার্জ তা বন্ধ করে দিতে পারবেন এবং তাতে যোগদানকারী সকলকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার আদেশ দিতে পারবেন। (২) অনুরুপ কোন শোভাযাত্রা বা জনসমাবেশ উক্ত আদেশ পালন করতে বা ছত্রভঙ্গ হতে অস্বীকার করলে তা অবৈধ জনতা বলে বিবেচিত এবং ঘোষিত হবে। ( অবৈধ জনতা বলে গণ্য হওয়ার পর উক্ত জনতা সম্পর্কে ফৌজদারী কার্যবিধি ১২৭, ১২৮, ১২৯, ১৩০, ১৩১ ধারা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে)। ৩১ রাস্তার জনসাধারণের চলাচলের স্থানে বা অবতরণের ঘাটে যেখানে সর্বদা জনসমাগম হয় অর্থাৎ যে সকল স্থানে জনসমাগন হয় সেই সকল স্থানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তৃব্য বলে বিবেচিত হবে। ৩২ কেউ অত্র আইনের ৩০, ৩০-ক, ৩১ ধারা অমান্য করলে ২০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবে। ৩৪** পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় বর্ণিত বিধান যে শহরে প্রযোজ্য হয়েছে সেখানে কোন রাস্তায় বা প্রকাশ্য স্থানে যদি কেউ নিম্নবর্ণিত অপরাধজনক কাজ করে যা দ্বারা কোন লোকের অসুবিধা হতে পারে তা হলে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ৫০/- টাকা জরিমানা বা ৮ দিন সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ড হবে এবং যে কোন পুলিশ কর্মচারীর সম্মুখে কাউকে অনুরুপ অপরাধ করতে দেখলে তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবে। (১) অনাবৃত জায়গায় গবাদিপশু জবাই করা বা মৃত্যু পশুর চামড়া ছাড়ান কিংবা বেপরোয়ানা ভাবে ঘোড়া ছুটান বা অন্য কোন পশু তাড়না করা। (২) নির্দয় বা নিষ্ঠুরভাবে কোন জীব জানোয়ারকে মারধর করা কিংবা যন্ত্রনা দেওয়া। (৩) জনসাধারণের বিপদ বা অসুবিধার সৃষ্টি করে রাস্তায় অনাবশ্যক গাড়ি ঘোড়া দাড় করে রাখা; (৪) খোলা বা উম্মুক্ত জায়গায় বিক্রয়ে জন্য কোন মাল ফেলে রাখা; (৫) রাস্তায় আবর্জনা বা জঞ্জাল নিক্ষেপ করা কিংবা রাস্তার ধারে গোয়াল ঘর কিংবা আস্থাবল বা কারখানা হতে দুর্গন্ধ নির্গত করান। (৬) মাতাল বা বেসামাল অবস্থায় রাস্তায় বেড়ান। (৭) রাস্তায় মলমূত্র ত্যাগ করা কিংবা উলঙ্গ হয়ে বেড়ান বা কুৎসিত ব্যাধি প্রদশণ করা বা সংরক্ষিত পুকুরে গোসল করা কিংবা কাপড় কাঁচা (৮) পুকুর কুয়া কিংবা কোন বিপদজনক জায়গা না ঘিরিয়া খোলা বা অরক্ষিত অবস্থায় রেখেয় দেয়া। পিআরবি নিয়ম-৩১৬, ২৫৪ ৩৪-ক কোন চিত্তবিনোদনের টিকিট যদি কেউ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে বিক্রয় করে তাহলে তাকে সর্বনিম্ন সার্জেন্ট বা সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবেন। (ডিএমপি-৯৩) ৪২ কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে অপরাধ করার তিন মাসের মধ্যে তা করতে হবে এবং তার অন্তর একমাস পূর্বে বিবাদী অথবা পুলিশ সুপার অথবা সহকারি পুলিশ সুপারকে নোটিশ দিতে হবে। অবশ্য কোন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে তার বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করা চলবে না। ৪৪ প্রত্যেক থানার অফিসার ইনচার্জ কে নির্ধারিত ফরমে জেনারেল ডায়েরী রাখতে হবে। এই ডায়েরীতে যাদের নালিশ থাকবে আগে তাদের নাম, ঠিকানা, নালিশের বিবরণ এবং কেউ গ্রেফতার হলে তার নাম, ঠিকানা, ধৃত ব্যক্তির নিকট হতে প্রাপ্ত অস্ত্রশস্ত্র কিংবা কোন সম্পত্তি বা সাক্ষীগণের নাম প্রভৃতি লিখতে হবে। প্রয়োজন হলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এই ডায়েরী তলব করতে পারবেন। জেনারেল ডাইরী (জিডি) (পিআরবি-৩৭৭, কাঃ বিঃ ১৫৫)