নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন আইন/২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) ধারা বিবরণ ২(ক)* অপরাধঃ অপরাধ অর্থ এ আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ। ২(খ)* অপহরণঃ অপহরণ অর্থ বল প্রয়োগ বা প্রলুব্ধ করে বা ফুসলিয়ে বা ভুল বুঝিয়ে বা ভীতি প্রদর্শন করে কোন স্থান হতে কোন ব্যক্তিকে অন্যত্রে যেতে বাধ্য করা। ২(ছ)* নারীঃ নারী অর্থ যে কোন বয়সের নারী। ২(ঞ)* যৌতুকঃ কোন বিবাহের বর বা বরের পিতা বা মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের সাথে জড়িত বর পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত বিবাহের সময় বা তৎপূর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ স্থির থাকার শর্তে, বিবাহের পণ হিসেবে বিবাহের কনে পক্ষের নিকট দাবীকৃত অর্থ/ সম্পদ। ২(ট)* শিশুঃ শিশু অর্থ অনধিক ১৬ বছরের বয়সের কোন ব্যক্তি। ৪* দহনকারী (এসিড) ইত্যাদি পদার্থ দ্বারা সংঘটিত অপরাধের শাস্তিঃ (১) দহনকারী, ক্ষয়কারী বা বিষক্ত পদার্থ দ্বারা কোন নারী ও শিশুর মৃত্যু ঘটায় বা মৃত্যু ঘটানো চেষ্টা করে-মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। (২) দহনকারী, ক্ষয়কারী বা বিষক্ত পদার্থ দ্বারা কোন নারী ও শিশুর এমনভাবে আহত করেন যার ফলে- (ক) দৃষ্টি শক্তি বা শ্রবন শক্তি নষ্ট বা মুখমন্ডল, স্তন বা যৌনাঙ্গ বিকৃত বা নষ্ট করে - মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দণ্ড। (খ) শরীরের অন্য কোন অঙ্গ বিকৃত বা নষ্ট হওয়ার বা শরীরের কোন স্থানে আঘাত পাওয়ার ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি অনধিক ১৪ বৎসর কারাদণ্ড। (৩) যদি কোন ব্যক্তি কোন দহনকারী, ক্ষয়কারী অথবা বিষক্ত পদার্থ দ্বারা কোন নারী ও শিশুর উপর নিক্ষিপ করে বা করার চেষ্টে করে তাহলে উক্ত ব্যক্তি তার উক্তরূপ কার্যের দরুন সংশ্লিষ্ট শিশু বা নারীর শারীরিক, মানসিক বা অন্যকোনভঅবে কোন ক্ষতি না হলেও ৪(৩)-অনাধিক সাত কারাদণ্ড। (৪) এ ধারার অধীন অর্থদন্ডের অর্থ প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ী যে ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার উত্তরাধিকারীদের প্রদান করা হবে। ৫* নারী পাচার ইত্যাদির শাস্তিঃ (১) যদি কোন ব্যক্তি পতিতাবৃত্তি কাজে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে কোন নারীকে বিদেশ হতে আনায়ন/ পাচার অথবা ক্রয়/ বিক্রয় করেন বা কোন নারীকে ভাড়ায় বা অন্যকোন নির্যাতনের উদ্দেশ্যে দখলে/ জিম্মায়/ হেফাজতে রাখে-মুত্যদণ্ড বা যাবজ্জীবন ৫(১)। (২) যদি কোন নারীকে পতিতার নিকট বা পতিতালয়ের রক্ষনাবেক্ষনকারী বা ব্যবস্থাপকের নিকট বিক্রয়, ভাড়া বা অন্য কোন ভাবে হস্তান্তর করে। তাহলে উক্ত ব্যক্তি ৫(২) ধারায় দণ্ডনীয় হবে। (৩) যদি কোন পতিতালয়ের রক্ষনাবেক্ষনকারী বা পতিতালয়ের ব্যবস্থাপনা নিয়োজিত কোন ব্যাক্তি কোন নারীকে ক্রয় বা ভাড়া করেন বা অন্য কোন ভাবে দখলে নেয় তাহলে ৫(৩) এই ধারায় দণ্ডনীয় হবে। ৬* শিশু পাচার ও ইত্যাদির শাস্তিঃ (১) যদি কোন ব্যাক্তি বেআইনীভাবে কোন শিশুকে বিদেশ হতে আনয়ণ করে/ বিদেশে প্রেরন/ পাচার করে তবে সে ব্যক্তি ৬(১) ধারা মোতাবেক মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হবে । (২) যদি কোন ব্যক্তি কোন নবজাতক শিশুকে হাসপাতাল/ মাতৃসনদ/ নাসিং হোম/ ক্লিনিক বা অভিভাবক এর নিকট হতে চুরি করে সে ব্যাক্তি ৬(২) ধারায় মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ৭* নারী ও ‘শিশু অপহরনের শাস্তিঃ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা চোদ্দ বছর ৮* মুক্তিপন আদায়ের শাস্তিঃ সে ব্যাক্তি মৃত্যু দণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ৯* ধর্ষণ বা ধর্ষণজনিত কারনে মৃত্যু ইত্যাদির শাস্তিঃ (১) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে তাহলে ৯(১) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। (২) যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী অনধিক কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটায় তাহলে ৯(২) উক্ত ব্যক্তির মৃত্যু দণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দণ্ডনীয় হবে। (৩) যদি একাধিক ব্যক্তি (গণ ধর্ষন) দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ফলে মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন তাহলে ৯(৩) প্রত্যেক ব্যাক্তি মৃত্যু দণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দণ্ডনীয় হবে। (৪) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে - (ক) ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানো বা আহত করার চেষ্টা করে তাহলে ৯(৪)(ক) উক্ত ব্যাক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দণ্ডনীয় হবে। (খ) ধর্ষনের চেষ্টা করেন তাহলে ৯(৪)(খ)অনধিক ১০ বছর কারা দণ্ড। (৫) যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে যদি কোন নারী ধর্ষিত হন তাহলে যাদের হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে ধর্ষন সংঘটিত হয়েছে সে ব্যক্তি ধর্ষিতা নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরিভাবে দায়ী ছিলেন ৯(৫) অনধিক ১০ বছর কারা দণ্ড। ৯-ক নারী আত্মহত্যার প্ররোচনা ইত্যাদির শাস্তি। ১০* যৌনপীড়ন/ শালীতাহানী ইত্যাদির শাস্তি। ১১* যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো ইত্যাদি শাস্তি। (ক) যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো/ মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করলে ১১(ক) (খ) যৌতুকের জন্য মারাত্বক জখম করা ১১(খ) (গ) যৌতুকের জন্য সাধারন জখম করা ১১(গ)। ১২* ভিক্ষাবৃত্তি ইত্যাদির উদ্দেশ্যে শিশুর অঙ্গহানী ইত্যাদি করার শাস্তি। ১৩* ধর্ষনের ফলশ্র“তিতে জন্মলাভকারী শিশু সংক্রান্ত বিধান। ১৪* সংবাদ মাধ্যমে নির্যাতিতা নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারে বিধি-নিষেধ ঃ (১) এ আইনে বর্নিত অপরাধের শিকার হয়েছেন এরূপ নারী বা শিশুর পরিচয় সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ করতে হবে যাতে নাম, ঠিকানা, পরিচয় প্রকাশ না পায়; (২) এ আইনের (১) উপধারার বিধান লঙ্গন করলে দায়ী ব্যক্তি/ ব্যক্তিবর্গ ০২ বছর কারাদন্ডে দন্ডিত হবে। ১৭* মিথ্যা মামলা/ অভিযোগ দায়ের ইত্যাদির শাস্তিঃ (এসিড ৮, দঃবিঃ ২১১) ১৮ অপরাধের তদন্তঃ ১৯ অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ ইত্যাদিঃ ২০ বিচার পদ্ধতিঃ ২১ আসামীর অনুপস্থিতে বিচারঃ (কাঃবিঃ ৩৩৯(খ), (এসিড অপরাধ দমন আইন ১৮) ২২* ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক যে কোন স্থানে জবানবন্দী গ্রহনের ক্ষমতাঃ ২৩* রাসায়নিক পরীক্ষক, রক্ত পরীক্ষক ইত্যাদির সাক্ষ্য ২৪ সাক্ষীর উপস্থিতিঃ ২৬ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালঃ ২৭ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারঃ ২৮ আপীলঃ ২৯ মৃত্যুদন্ড অনুমোদনঃ এ আইনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য মামলার নথিপত্র ফৌঃ কাঃ বিঃ ৩৭৪ এর বিধান অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরন করতে হবে। উক্ত বিভাগের অনুমোদন ব্যতীত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে না। ৩০* অপরাধে প্ররোচনা ও সহায়তার শাস্তিঃ (এসিড-৭, দঃবিঃ ১০৯,১১১,১১৩ মোটরযান-১৪৭) ৩২ মেডিক্যাল পরীক্ষা (এসিড আইন ২৯)
সকল কিছু ঠিক ঠাক আছে ভাল লেগেছে কিন্তু আমি বিস্তারিত কোথায় পাবো একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর বই pdf ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর সকল বই ডাউনলোড এমন সর্ম্পকে একটু জানালে উপকৃত হইতাম।
ReplyDelete