উত্তরঃ
যে সম্পত্তির কোন মালিক বা দাবীদার বা ওয়ারিশ খুজে পাওয়া যায় না তাকে বেওয়ারিশ সম্পত্তি বলে। পুলিশ আইনের
২৫ ধারা এবং পিআরবি বিধি ২৫১, ৩৭৯।
কোন পুলিশ অফিসার বেওয়ারিশ সম্পত্তি পেলে নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেঃ-
১। ডিএমপি অধ্যাদেশের ২২ ধারা মতে পুলিশ বেওয়ারিশ সম্পত্তি নিজ হেফাজতে নিতে পারবে।
২। পুলিশ আইনের ২৫ ধারা মতে মালিকবিহীন কোন অস্থাবর সম্পত্তি পুলিশ পেলে উক্ত সম্পত্তির তালিকা প্রস্তুত করে নিকটতম ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করবেন এবং বিলি ব্যবস্থার আদেশের জন্য আবেদন করবেন।
৩। পুলিশ আইনের ২৬ ধারা মতে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত সম্পত্তির বিবরণসহ এইরূপ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবেন যে, উক্ত মালামালের কোন দাবীদার থাকলে তারা যেন বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখ হতে ছয় মাসের মধ্যে নিজ দাবী আদালতে প্রমাণ করেন।
৪। পুলিশ আইনের ২৭ ধারা মতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি কোন দাবীদার না আসে তাহলে এই ধারার (২) উপধারা মতে ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশের সম্পত্তি বিক্রয় করে বিক্রয়লব্ধ অর্থ ট্রেজারীতে জমা দিতে হবে।
৫। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫২৩ ধারা মতে বেওয়ারিশ সম্পত্তির তালিকা প্রাপ্তির পর যদি দাবীদার না থাকে তাহলে প্রাপ্ত সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণসহ এই মর্মে ঘোষণা প্রকাশ করবেন যে, উক্ত সম্পত্তিতে কারও কোন দাবী থাকলে ঘোষণার তারিখ হতে ছয় মাসের মধ্যে ম্যাজিষ্ট্রেটের সম্মুখে হাজির হয়ে উক্ত দাবী প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
৬। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫২৪ ধারা মতে ছয় মাসের মধ্যে দাবীদার হাজির না হলে বেওয়ারিশ মালামাল সরকারী হেফাজতে চলে যাবে এবং ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশক্রমে তা বিক্রয় করা যাবে।
৭। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫২৫ ধারা মতে পুলিশ হেফাজতে নেয়া বেওয়ারিশ মালামাল পচনশীল হলে ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশক্রমে তা বিক্রয় করা যাবে। পিআরবি বিধি ২৫১ ও ৩৭৯।