উত্তর:- আমাকে দলপতি বানিয়ে ১০ জন কনস্টেবল দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় গাড়ী চেকিং ডিউটির জন্য মোতায়েন করা হলে আমি নিম্নলিখিতভাবে ব্রিফ দিব এবং তল্লাশির স্বার্থের কনস্টেবলদেরকে ভাগ ভাগ করে মোতায়েন করব।
ব্রিফ:- ১০ জন কনস্টেবলকে দুই সারিতে ফলইন করে আমি তাদের সামনে বক্তব্য রাখবঃ-
১। এখন চেকপোষ্ট ডিউটি শুরু হবে, আপনারা সকলে রিফলেক্টিং বেল্ট পরে এবং সার্চ লাইট বা ট্রাফিক কন্ট্রোল লাইট নিয়ে ডিউটি শুরু করবেন।
২। চেকপোষ্টে ডিউটি করার সময় নিজেকে নিরাপদে রাখতে হবে।
৩। অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে কখনো গাড়ীর সামনে গিয়ে দাঁড়াবেন না।
৪। নিরাপদ দূরত্বে থেকে গাড়ী থামানোর জন্য সিগন্যাল দিবেন।
৫। যাদের কাছে অস্ত্র ইস্যু আছে তারা অস্ত্র নিয়ে অনগার্ড পজিশনে থাকবেন।
৬। তল্লাশিকালে চালক ও যাত্রী সাধারণের সাথে ন¤্র, ভদ্র ও বিনয়ী আচরণ করবেন। পিআরবি বিধি ৩৩।
৭। কোন অপরাধী গ্রেফতার হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু আসামীকে নির্যাতন করবেন না।
৮। কোন মহিলাকে তল্লাশির প্রয়োজন হলে মহিলা পুলিশ দ্বারা তল্লাশি করাতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫২ ধারা। পিআরবি বিধি ৩২২।
৯। তল্লাশিকালে কোন যাত্রীকে অহেতুক হয়রানি করা যাবে না। পিআরবি বিধি ২৬০।
১০। বিপজ্জনক যাত্রী হলে গাড়ী হতে নামিয়ে তার দেহ তল্লাশি করতে হবে।
১১। জব্দ তালিকা ব্যতীত যাত্রীদের কোন মালামাল বা সম্পদ নেয়া যাবে না।
গাড়ী তল্লাশি কার্যক্রম:- ফরমেশন (২+৩+২+৩)
১। গাড়ী তল্লাশির প্রথম দল:- ২ জন কনস্টেবলকে রিফলেক্টিং বেল্ট পড়ে এবং সার্চ লাইট নিয়ে নিরাপদ দূরত্ব থেকে হুইসেল বাজিয়ে ও সিগন্যাল দিয়ে গাড়ী থামাবার দায়িত্ব দেব।
২। গাড়ী তল্লাশির দ্বিতীয় দল:- এসএস সিস্টেমে ব্যারিকেড তৈরী করতে হবে যাতে ড্রাইভার সোজা গাড়ী চালিয়ে যেতে না পারে। সন্দেহজনক গাড়ীটিকে রাস্তার এক পাশে নিয়ে আসতে হবে। গাড়ীর বাম পাশে অনুমান ২ মিটার দূরত্বে তিন জন কনস্টেবল অস্ত্র নিয়ে অনগার্ড পজিশনে থাকবে।
৩। গাড়ী তল্লাশির তৃতীয় দল:- ২ জন কনস্টেবল অস্ত্র নিয়ে অনগার্ড পজিশনে থামানো গাড়ী থেকে অনুমান ১০ মিটার দূরত্বে অবস্থান করবে।
৪। গাড়ী তল্লাশির চতুর্থ দল:- ৩ জন কনস্টেবল নিয়ে আমি নিজে দলপতি হিসেবে গাড়ী তল্লাশি শুরু করব। তল্লাশিকালে দুইজন সাক্ষী উপস্থিত রাখব। সন্দেহজনক যাত্রী ও তাদের মালামাল তল্লাশি করব। প্রথমেই ড্রাইভিং সিট ও সিটের পাশে, নিচে, সামনে, পিছনে তনড়ব তনড়ব করে তল্লাশি করব। গাড়ীর পিছনের বক্সের ডালা, গাড়ীর ছাদ, সিলিং, বনেট তল্লাশি করব। সার্চ মিরর দিয়ে গাড়ীর নিচের অংশ দেখব।
৫। গাড়ী তল্লাশিকালে কোন অবৈধ মালামাল বা অস্ত্র বা মাদক দ্রব্য পেলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৩(২) ধারা ও পিআরবি বিধি ২৮০ মতে জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে পুলিশ হেফাজতে নিব এবং থানায় গিয়ে জিডি এন্ট্রি করব। ফৌজদারীকার্যবিধি আইনের ১৫০ ধারা ও পিআরবি বিধি ১২০ মতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
৬। আসামী গ্রেফতার থাকলে নিজে বাদী হয়ে সুয়োমটো মামলা দায়ের করব। পিআরবি বিধি ২১৩, দন্ডবিধি আইনের ২২৪ ধারা ও পুলিশ আইনের ২৪ ধারা। জব্দ তালিকার ১ম কপি কোর্টে পাঠিয়ে দিব। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০২, ১০৩, ১৬৫, ১৬৬ ও ৫৫০ ধারা, পিআরবি বিধি ২৮০, পুলিশ আইনের ২৩(৮) ধারা, মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ ধারা।