উত্তরঃ গৃহ তল্লাশি বা খানা তল্লাশিঃ তল্লাশি পরোয়ানার ক্ষমতাবলে নির্দেশ মোতাবেক পরোয়ানা তামিলকারী অফিসার কর্তৃক পরোয়ানায় নির্দেশিত স্থানে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করাকে গৃহ তল্লাশি বা খানা তল্লাশি বলে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৯৬ এবং পিআরবি বিধি ২৮০।
বিনা পরোয়ানায় গৃহ তল্লাশি বা খানা তল্লাশির পদ্ধতি নিম্নেআলোচনা করা হলো-
১। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৭ ধারা:- গ্রেফতারযোগ্য ব্যক্তি যদি পলায়ন করে কোন স্থানে লুকায় তবে তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অফিসার সেখানে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারে।
২। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৩ ধারা:- থানার ওসি যদি তার এলাকায় অবৈধ বাটখারা বা মিথ্যা পরিমাপ যন্ত্রের সন্ধান পান তাহলে সেখানে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারেন।
৩। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৫ ধারা:- মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার তদন্তের স্বার্থে চোরাইমাল বা সন্ধিগ্ধ মালামাল আটকের জন্য বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারেন।
৪। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৬ ধারা:- মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার তদন্তের স্বার্থে আসামী গ্রেফতার, চোরাইমাল উদ্ধার সংক্রান্তে নিজ থানার বাহিরে যে কোন স্থান বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারেন।
৫। পুলিশ আইনের ২৩(৮) ধারা:- পুলিশ অফিসার শরাবখানা, জুয়ার আড্ডা বা সন্ধিগ্ধ লোকদের আগমনের স্থানে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারেন।
৬। জুয়া আইনের ৫ ধারা:- পুলিশ অফিসার জুয়ার আড্ডায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারেন।
৭। মাদকদ্রব্য আইনের ৩৬ ধারা:- কোথাও বেআইনীভাবে মাদকদ্রব্য মজুদ রাখলে পুলিশ অফিসার বিনা পরোয়ানায় সেখানে তল্লাশি করতে পারেন।
বিনা পরোয়ানায় তল্লাশির সকল কার্যক্রম পিআরবি বিধি ২৮০ অনুযায়ী সম্পাদিত হবে।
নিম্নেএকটি জব্দ তালিকা তৈরী করে দেখানো হলো:--
জব্দ তালিকাঃ বিপি ফরম নং-৪৪
সূত্র- সাভার থানার জিডি নং-২২২, তারিখ- ২২/০২/২০১৪ ইং
১। জব্দ করার তারিখ ও সময়ঃ ২২/০২/২০১৪ ইং, সময়- সকাল ১০.০০ ঘটিকা।
২। তল্লাশির স্থানঃ করিম শেখ (৩৫), পিতা- আঃ জব্বার শেখ, গ্রাম- সোনাপুর, থানা-সাভার, জেলা-ঢাকা এর দক্ষিণ দুয়ারী চেক্সচালা টিনের ঘরের
৩। উপস্থিত সাক্ষীদের নাম ও ঠিকানাঃ
ক) মোঃ সোহরাব হোসেন (৫০), পিতা- কালু মিয়া, গ্রাম- সোনাপুর, থানা-সাভার, জেলা- ঢাকা
খ) মোঃ আঃ সবুর (৩৫), পিতা- হানিফ মিয়া, গ্রাম- সোনাপুর, থানা-সাভার, জেলা- ঢাকা
গ) মোঃ আঃ মালেক (৩০), পিতা- খলিলুর রহমান, গ্রাম- সোনাপুর, থানা-সাভার, জেলা- ঢাকা
সর্ব থানা- সাভার, ঢাকা জেলা।
৪। জব্দকৃত মালামালের বিবরণঃ
ক) ভারতীয় প্রিন্টের শাড়ী- ৪০ পিস, মূল্য আনুমানিক ২৪০০০/- টাকা।
খ) ভারতীয় ফেন্সিডিল- ১০০ বোতল, মূল্য আনুমানিক ১০০০০/- টাকা।
গ) ভারতীয় পাতার বিড়ি- ২০০ প্যাকেট, মূল্য আনুমানিক ২০০০/- টাকা।
৫। সাক্ষীগণের স্বাক্ষরঃ
ক) মোঃ সোহরাব হোসেন
খ) মোঃ আঃ সবুর
গ) মোঃ আঃ মালেক
জব্দকারী কর্মকর্তার স্বাক্ষর