উত্তরঃ বেআইনী সমাবেশ বা অবৈধ জনতা ছত্রভঙ্গ করার পদ্ধতি নিম্নেআলোচনা করা হলোঃ
১। ডিএমপি অধ্যাদেশের ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ ধারা মতে বেআইনী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ অফিসারকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
২। পুলিশ আইনের ১৭ ধারা এবং পিআরবি বিধি ৬৭৪ মতে বেআইনী সমাবেশ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা আশংকামুক্ত করার জন্য পুলিশ অফিসার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন।
৩। পুলিশ আইনের ৩০-ক(১) ধারা, পিআরবি বিধি ১৪২ এবং ফৌজদারীকার্যবিধি আইনের ১২৭ ধারা মোতাবেক কোন
ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, ইন্সপেক্টর বা থানার ওসি বেআইনী সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার জন্য আদেশ দিবেন এবং এরূপ আদেশ পাওয়ার পর উক্ত সমাবেশের সদস্যদের ছত্রভঙ্গ হওয়া কর্তব্য হবে।
৪। পুলিশ আইনের ৩০-ক(২) ধারা, পিআরবি বিধি ১৪৩ এবং ফৌজদারীকার্যবিধি আইনের ১২৮ ধারা মোতাবেক উক্ত আদেশ পাওয়ার পরও যদি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ না হয় তাহলে ম্যাজিষ্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার তাদেরকে বল প্রয়োগপূর্বক ছত্রভঙ্গ করবেন।
৫। ফৌজদারীকার্যবিধির ১৫১ ধারা ও পিআরবি বিধি ৩১৬ মতে প্রয়োজনে সমাবেশকারীদের বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে হবে। ফৌজদারীকার্যবিধির ৪২ ধারা মতে এ সময় জনসাধারণের নিকট হতে সাহায্য নেয়া যাবে।
৬। বেআইনী সমাবেশের সদস্যদের আচরণ যদি এমন মারমুখী হয় যাতে নিজের জানমাল, সরকারী সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় বা জানমাল চরম হুমকির সম্মুখীন হয় তাহলে দন্ডবিধি আইনের ৯৯ ধারার নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে ও দন্ডবিধি আইনের ১০০, ১০৩ ধারা এবং পিআরবি বিধি ১৫৩, ১৫৪, ১৫৫ মতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে হবে।
৭। আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পর পিআরবি বিধি ১৫৬ অনুসরণ করতে হবে।
৮। ফৌজদারীকার্যবিধি আইনের ১২৯ ধারা মতে পরিস্থিতি বিবেচনায় ম্যাজিষ্ট্রেট বা পুলিশ কমিশনার সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে বেআইনী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে পারবেন।