Law Guide Of Bangladesh Police

১,০০০ হাজারের বেশি প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাজানো

প্রশ্ন- ৫। অস্বাভাবিক বা অপমৃত্যু মামলা তদন্ত প্রক্রিয়া বর্ণনা করুন ??

 প্রশ্ন- ৫। অস্বাভাবিক বা অপমৃত্যু মামলা তদন্ত প্রক্রিয়া বর্ণনা করুন।
প্রশ্ন- ৫। অস্বাভাবিক বা অপমৃত্যু মামলা তদন্ত প্রক্রিয়া বর্ণনা করুন।

প্রশ্ন- ৫। অস্বাভাবিক বা অপমৃত্যু মামলা তদন্ত প্রক্রিয়া বর্ণনা করুন।

উত্তরঃ নিম্নেঅস্বাভাবিক বা অপমৃত্যু মামলা তদন্ত প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলোঃ
১। অস্বাভাবিক বা অপমৃত্যুর সংবাদ পেলে বা মৃতের আত্মীয়-স্বজন থানায় এসে সংবাদ দিলে ওসি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করবেন।
ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৪, ১৭৫ ধারা, পিআরবি বিধি ২৯৯, ৩০০।
২। অপমৃত্যু মামলা রেকর্ডের বিষয়টি জিডিতে নোট দিতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৪, ১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা, পিআরবি বিধি ৩৭৭।
৩। ওসি নিজে তদন্ত করবেন বা অন্য কোন এসআই এর উপর তদন্তভার অর্পণ করবেন।ফৌজদারী কার্যবিধি’র ধারা ১৫৬।
৪। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত সহায়ক জিনিসপত্র সাথে সঙ্গীয় ফোর্সসহ জিডি করে দ্রুত ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ফৌজদারীকার্যবিধি ১৫৪, ১৫৫ ধারা, পিআরবি বিধি ৩৭৭, পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা।
৫। ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে লাশের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হবেন। ফৌজদারী কার্যবিধি’র ধারা ১৫৬, পিআরবি বিধি ২৫৮।
৬। মৃত লাশের বিভিনড়ব এঙ্গেল থেকে ছবি তুলবেন। পিআরবি বিধি ৬৩৫, ৬৩৮।
৭। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন .তরীর জন্য স্থানীয় ২/৩ জন গন্যমান্য ব্যক্তিকে সাক্ষী হওয়ার জন্য তলব করবেন। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৪, ১৭৫ ধারা, পিআরবি বিধি ২৯৯, ৩০০।
৮। সাক্ষী ও লাশের সনাক্তকারী ব্যক্তির উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করা শুরু করবেন। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৪, ১৭৫ ধারা, পিআরবি বিধি ২৯৯, ৩০০।
৯। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করার সময় নি¤েড়বাক্ত বিষয়গুলি যথাযথভাবে খেয়াল রেখে লিপিবদ্ধ করতে হবেঃ
১) সূত্র, ২) সুরতহাল প্রস্তুতের তারিখ, সময় ও স্থান, ৩) লাশ প্রাপ্তি স্থানের পূর্ণ বর্ণনা, ৪) মৃত ব্যক্তির পরিচিতিঃ নাম, বয়স, পিতা/মাতার নাম, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, লিঙ্গ, ধর্ম, ৫) মৃত ব্যক্তির সনাক্তকারীর পরিচিতি, ৬) উপস্থিত সাক্ষীগণের পরিচিতি, ৭) গোপন অঙ্গসমূহের অবস্থা (মহিলা হলে অন্য মহিলা দ্বারা পরীক্ষা করাতে হবে)। অজ্ঞাত পুরুষ হলে খৎনা করা আছে কিনা, ৮) লাশের ছবি তুলতে হবে, বস্ত্র পরিহিত ও নগড়ব উভয় অবস্থায়, ৯) লাশের শরীরে থাকা জিনিসপত্রের বর্ণনা, ১০) লাশের শারীরিক বর্ণনা (মাথা হতে পা পর্যন্ত লক্ষণসমূহ), ১১) লাশের পরিধেয় বস্ত্রের বর্ণনা, ১২) আঘাতের ধরণ, ১৩) লাশের শরীরে কৃত্রিম চিহ্নের বর্ণনা, ১৪) আঘাত ব্যতীত অন্যান্য কারণে মৃত্যুর বর্ণনাঃ ফাঁসিতে, শ্বাসরোধজনিত কারণে, বিষ প্রয়োগে/বিষপানে, পানিতে ডুবে, বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে, আগুনে পুড়ে মৃত্যু ইত্যাদি, ১৫) মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য, ১৬) মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সুরতহাল প্রস্তুতকারী অফিসারের মন্তব্য, ১৭) স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর, ১৮) প্রস্তুতকারী অফিসারের স্বাক্ষর, পদবী

১০। প্রকাশ্য ও গোপন জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ নির্ণয় করে উহা সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করবেন।
১১। লাশের আশপাশে মৃত্যু সংক্রান্তে কোন আলামত পাওয়া গেলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা মূলে তা জব্দ করতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৩ ধারা, পিআরবি বিধি ২৮০।
১২। বেওয়ারিশ লাশের ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ নিতে হবে ও পূর্নাঙ্গ লাশের ছবি নিতে হবে। পিআরবি বিধি ৩১৩, ৩১৪
১৩। সার্বিক তদন্তে আত্মহত্যা বা অপমৃত্যু বলে প্রতীয়মান হলে ধর্মীয় বিধান মোতাবেক লাশ সৎকারের আদেশ দিতে হবে এবং বিষয়টি সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে। পিআরবি বিধি ৩১০।
১৪। একাধিক লাশ হলে পৃথক পৃথক সুরতহাল রিপোর্ট .তরী করতে হবে।
১৫। অপমৃত্যু হলে সার্বিক তদন্ত ও লাশের নিষ্পত্তি শেষে থানায় ফিরে জিডিতে নোট দিতে হবে এবং কেস ডায়রীতে বিস্তারিত বিষয় লিপিবদ্ধ করতে হবে। অপমৃত্যু মামলার এজাহারের কপি বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করতে হবে এবং তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন অফিসার ইনচার্জের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করতে হবে। কার্যবিধি’র ধারা ১৬৮, ১৭২, পিআরবি বিধি ২৬৩, ২৬৪
১৬। লাশের মৃত্যু নিয়ে কোন সন্দেহ হলে বা ক্রাইমসিন পাওয়া গেলে সুরতহাল রিপোর্ট, চালানপত্র, মফস্বল সিসি দিয়ে কনস্টেবল মারফত লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করতে হবে। পিআরবি বিধি ৩০৪, ৩০৫, ৩০৬।
১৭। পুলিশ হেফাজতে কোন অপমৃত্যু হলে ম্যাজিস্ট্রেটের উক্ত সুরতহাল রিপোর্ট ক্সতরীসহ যাবতীয় তদন্ত করবেন। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৬(১), পিআরবি বিধি ৩০২(খ)

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post