উত্তরঃ মিথ্যা পরিচয় দানকারীর বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়ঃ
১। পুলিশ অফিসারের জিজ্ঞাসাবাদে যদি কোন ব্যক্তি নাম ঠিকানা দিতে অস্বীকৃতি জানায় বা মিথ্যা পরিচয় দেয় তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে। ফৌজদারী কার্যবিধি ৫৭(১) ধারা।
২। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে এসে বিষয়টি জিডিতে নোট দিতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি ১৫৪, ১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা, পিআরবি বিধি ৩৭৭।
৩। মিথ্যা পরিচয়দানকারীকে গ্রেফতারের বিষয়টি ওসিকে অবহিত করতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৮ ধারা।
৪। যাচাই বাছাই শেষে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম ঠিকানা সঠিক পাওয়া গেলে মুচলেকা নিয়ে তাকে জামিন দেয়া যাবে। ফৌজদারী কার্যবিধি ৫৭(২) ধারা, পিআরবি বিধি ৩১৭।
৫। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির সঠিক নাম ঠিকানা না পাওয়া গেলে এবং মুচলেকা দিতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪১৯ ধারায় মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করতে হবে। দন্ডবিধির ৪১৯ ধারা, পুলিশ আইনের ২৪ ধারা, পিআরবি বিধি ২১৩।
৬। যদি কোন ব্যক্তি সামরিক বাহিনীর পোশাক পরিধান করে বা প্রতীক ব্যবহার করে মিথ্যা পরিচয় দান তাহলে তিনি দন্ডবিধির ১৪০ ধারার অপরাধে দন্ডনীয় হবেন।
৭। যদি কোন ব্যক্তি সরকারী কর্মচারীর ছদ্মবেশ ধারনপূর্বক মিথ্যা পরিচয় দান করে তাহলে তিনি দন্ডবিধির ১৭০ ধারার অপরাধে দন্ডনীয় হবেন।
৮। যদি কোন ব্যক্তি প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে সরকারী কর্মচারীর পোশাক পরিধান বা প্রতীক ধারণ করে তাহলে তিনি দন্ডবিধির ১৭১ ধারার অপরাধে দন্ডনীয় হবেন।