একজন আসামীকে গ্রেফতার করার পর সেই গ্রেফতার কৃত আসামীরও কিছু আইনানুগ অধিকার আছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর আইনগত অধিকার বা মানধিকার রক্ষায় গ্রেফতারের পদ্ধতি সমূহ নিম্নে আইন ও বিধি মোতাবেক আলোচনা করা হলো:
১। কাউকে খেয়াল খুশিমত গ্রেফতার, আটক বা নির্বাসন করা যাবে না। [মানবাধিকার সর্বজনীন ঘোষণাপত্র ৯ ধারা]
২। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পূর্বে প্রথমেই নিজের পরিচয় দিতে হবে এবং আসামীকে গ্রেফতারের কারণ জানাতে হবে [পিআরবি ২২০ বিধি, কা: বি: ৮০ ধারা]
৩। নাম, ঠিকানা যাচাই করে প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেফতার করতে হবে।
৪। যযাযথ বিধান পালন করে আসামীকে গ্রেফতার করতে হবে।[ফৌ: কা: ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯ ধারা, পিআরবি ১৫৩, ৩১৬ বিধি]
৫। আসামী যদি মহিলা হয় তাহলে মহিলা পুলিশ অথবা একজন ভদ্র মহিলা দ্বারা তার দেহ তল্লাশি করতে হবে এবং মহিলার নিকট হতে চুরি, শঙ্খ ইত্যাদি জিনিসপত্র হেফাজতে নেওয়া যাবে না । [ফৌ:কা: ৫২ ধারা, পিআরবি ৩২২, ৩২৮(গ) বিধি ]
৬। আসামির নিকট যদি কোন মালামাল পাওয়া যায় তা জব্দ করে একটি তালিকা তৈরি করতঃ এক কপি আসামীকে দিতে হবে। [কা: বি: ৫৩ ধারা]
৭। গ্রেফতার করার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেই আসামীকে আদালতে প্রেরণ করতে হবে। [ফৌ: কা: ৬০, ৬১, ৮১ ধারা]
৮। অপরাধটি জামিনযোগ্য হলে তাকে জামিনে মুক্তি দিতে হবে [ফৌ: কা: ৪৯৬, ৪৯৭ ধারা ও পিআরবি ৩১৭ বিধি]
৯। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি অসুস্থ হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। [পিআরবি ৩২১ বিধি, ডিএমপি অধ্যাদেশ ১৬]
১০। হাজতে থাকার জন্য ৩৬ বর্গফুট স্কেল বিশিষ্ট জায়গা দিতে হবে। [পিআরবি ৩২৭ বিধি]
১১। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি যদি মহিলা, শিশু বা বৃদ্ধ হয় তাহলে হাতকড়া পরানো যাবে না। [পিআরবি ৩৩০ বিধি]
১২। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি যদি ক্ষুধার্ত হয় তাহলে তার খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। [পিআরবি ৩৩৩/৪৮৭ বিধি]
১৩। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নিকট হতে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করা যাবে না [ফৌ: কা: ১৬৩, ১৬৪ ধারা ও পিআরবি ৪৬৭ বিধি]
১৪। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি শিশু জামিনে মুক্তি দিতে হবে। [শিশু আইন ৫২ ধারা]
১৫। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি মহিলা হলে তাকে নিরাপত্তামূলক হেফাজতে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। [না: শি: নি: দমন আইন ৩১ ধারা]
একজন আসামীকে গ্রেফতাকালে মানবাধিকার রক্ষার্থে উপরোক্ত আইন ও বিধি অনুসরণ করতে হবে।