উত্তর:-
১। আইনসঙ্গত হেফাজত থেকে আসামী পলায়ন করলে কিংবা আসামীকে ছিনাইয়া নিলে পুলিশ অফিসার ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৬৬ ধারা মতে বাংলাদেশের যে কোন স্থানে আসামীকে অনুসরণ করে গ্রেফতার করতে পারবেন।
২। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৬৬ ধারা মোতাবেক গ্রেফতারের ক্ষেত্রে ৬৭ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আসামী কোন স্থানে প্রবেশ করলে সে স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির অনুমতি সাপেক্ষে উক্ত স্থানে প্রবেশ করে আসামীকে গ্রেফতার করতে পারবেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৭ ধারা।
৩। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৭ ধারা মতে যদি কোন স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট হতে উক্ত স্থানে প্রবেশের অনুমতি না পাওয়া যায় তাহলে দরজা জানালা ভেঙ্গে সেখানে প্রবেশ করে গ্রেফতার কার্যকর করা যাবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৮ ধারা।
৪। গ্রেফতার কার্যকর করতে গিয়ে যদি গ্রেফতারকারী পুলিশ অফিসার কোন স্থানে আটকা পড়ে যান তাহলে উক্ত স্থানের দরজা জানালা ভেঙ্গে নিজেকে মুক্ত করা যাবে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৯ ধারা।
৫। গ্রেফতার কার্যকর করতে গিয়ে যতটুকু বল প্রয়োগের প্রয়োজন তার অধিক করা যাবে না। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫০ ধারা। পিআরবি বিধি ৩৩০।
৬। পলাতক আসামী গ্রেফতারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুলিশ অফিসার জনসাধারণের সাহায্য নিতে পারবেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪২ ধারা।
৭। পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের জন্য চেক্সকিদারী প্যারেডে হাজির সকল দফাদার ও চেক্সকিদারকে অবহিত করব। পিআরবি বিধি ৩৬৯।
৮। পলাতক আসামী গ্রেফতারের জন্য গুপ্তচর নিয়োগ করব। পিআরবি বিধি ২৯৫, ৩৪১, ৩৪২, ৩৪৫।
৯। পিআরবি বিধি ৩৪৩ মতে এ-রোল জারী করতে হবে।
১০। পিআরবি বিধি ৩৮৯ মতে তদন্ত স্লিপ ইস্যু করতে হবে।
১১। পার্শ্ববর্তী থানা/ফাঁড়ী বা সীমান্তবর্তী এলাকায় পিআরবি বিধি ২৫০ মতে ক্সহ.চ বিজ্ঞাপন ইস্যু করতে হবে।
১২। পলাতক আসামী গ্রেফতার হলে তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ২২৪ ধারা মতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
১৩। পলাতক আসামী গ্রেফতার না হলে পিআরবি বিধি ৩২৩ মতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
১৪। সিআইডি কর্তৃক নিয়মিতভাবে প্রকাশিত “বাংলাদেশ অপরাধ সমীক্ষা” রিপোর্টে প্রকাশের জন্য পলাতক আসামীর বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে পত্র প্রেরণ করতে হবে। পিআরবি বিধি ৭২।
১৫। পলাতক আসামীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির তালিকা প্রস্তুত করে ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করতে হবে। পিআরবি বিধি ৪৭৩, ৪৭৪,