উত্তরঃ
ফাইনাল রিপোর্ট বা চূড়ান্ত প্রতিবেদনঃ মামলা তদন্তকারী পুলিশ অফিসার তদন্ত শেষে যদি অভিযোগ প্রমাণের স্বপক্ষে যথেষ্ট পরিমাণ সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে সমর্থ না হন, তাহলে তিনি মামলাটি বিচারার্থে গ্রহণ না করে আসামীদের অব্যাহতিদানে লক্ষ্যে নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত দিয়ে বিপি ফরম নং ৪২ মোতাবেক আদালতে যে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করেন তাকে ফাইনাল রিপোর্ট বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন বলে। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৩ ধারা ও পিআরবি বিধি ২৭৫।
চূড়ান্ত প্রতিবেদন মোট ৫ প্রকার।
নিম্নেবিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলোঃ-
১। চূড়ান্ত প্রতিবেদন সত্য (ঋরহধষ জবঢ়ড়ৎঃ ধং ঞৎঁব): এজাহারে বর্ণিত ঘটনা সত্য, কিন্তু কোন সাক্ষ্য প্রমাণ নেই, এমতাবস্থায় তদন্তকারী কর্মকর্তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন হলো “চূড়ান্ত প্রতিবেদন সত্য।”
২। চূড়ান্ত প্রতিবেদন উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা (ঋরহধষ জবঢ়ড়ৎঃ ধং ওহঃবহঃরড়হধষষু ঋধষংব): ঘটনা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক, এমতাবস্থায়, তদন্তকারী কর্মকর্তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন হলো “চূড়ান্ত প্রতিবেদন উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা”।
৩। চূড়ান্ত প্রতিবেদন তথ্যগত ভুল (ঋরহধষ জবঢ়ড়ৎঃ ধং গরংঃধশব ড়ভ ঋধপঃ): তদন্তে প্রাপ্ত ঘটনা এক প্রকার এবং এজাহারে বর্ণিত ঘটনা অন্য প্রকার, এমতাবস্থায়, তদন্তকারী কর্মকর্তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন হলো “চূড়ান্ত প্রতিবেদন তথ্যগত ভুল”।
৪। চূড়ান্ত প্রতিবেদন আইনগত ভুল (ঋরহধষ জবঢ়ড়ৎঃ ধং গরংঃধশব ড়ভ খধ)ি: যে আইনে এজাহার দায়ের করা হয়েছে সে আইনে নয় অন্য আইনে মামলা চলবে, এমতাবস্থায়, তদন্তকারী কর্মকর্তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন হলো “চূড়ান্ত প্রতিবেদন আইনগত ভুল”।
৫। চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমলের অযোগ্য (ঋরহধষ জবঢ়ড়ৎঃ ধং ঘড়হ-ঈড়মহরুধনষব): এজাহারে বর্ণিত ঘটনা আংশিক প্রমাণিত হলে এবং তা এফআইআর যোগ্য না হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের অনুমতিক্রমে নন-এফআইআর প্রসিকিউশন রিপোর্ট আদালতে দাখিল করবেন। এটি হলো চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমলের অযোগ্য।
পিআরবি বিধি ২৭৭(ক) মতে কোন মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রদানের পরও যদি ঐ মামলার কোন তথ্য বা সূত্র পাওয়া যায় তাহলে তদন্ত কার্য পুনরায় আরম্ভ করা যায়।
তদন্ত পদ্ধতি:- থানার ওসি যে কোন অফিসারকে দিয়ে অনুরূপ মামলা পুনঃতদন্ত করাতে পারেন। কোন মামলার তদন্ত পুনরাম্ভ করা হলে পুনঃতদন্তের ব্যাপারে মূল তদন্তের বিধি অনুসরণ করতে হবে। কোন মামলা তদন্তের পুনরুজ্জীবনের প্রয়োজন হলে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট আবেদন করে অনুমতি নিতে হবে। পিআরবি বিধি ২৭৭(গ) মতে পুনঃতদন্তে বিচারের যেক্সক্তিকতা প্রমাণের মত সাক্ষ্য প্রমানাদি সংগ্রহ করতে পারলে একটি চার্জশীট প্রনয়ন করতে হবে। নতুবা একটি সম্পূরক চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরী
করতঃ মূল চূড়ান্ত প্রতিবেদনের মতই দাখিল করতে হবে।