উত্তরঃ
থানার চার্জে থাকা অবস্থায় “থানাধীন “ক” নামক বাজারে সরকার নিষিদ্ধ জাটকা ইলিশ বিক্রয় হচ্ছে” এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে নিম্নবর্নিত পদক্ষেপ গ্রহণ করবঃ
১। জাটকা ইলিশ বিক্রয়ের সংবাদ পাওয়ার পর বিষয়টি জিডিতে নোট দিব। কার্যবিধি ১৫৪, ১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা, পিআরবি বিধি ৩৭৭।
২। থানার চার্জ পরবর্তী সিনিয়র কর্মকর্তার উপর অর্পণ করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স নিয়ে সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হব। কার্যবিধি’র ধারা ১৫৬
৩। ঘটনাস্থল অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট বাজারে পেক্সছে সংবাদের সত্যতা যাচাই করব। এ সময় ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলব। কার্যবিধি’র ধারা ১৫৬, পিআরবি বিধি ২৫৮।
৪। ঘটনাস্থলে কোন ব্যক্তি জাটকা ইলিশ বিক্রয়রত থাকলে তাদেরকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করব। কার্যবিধি’র ৪৬, ১৫১ ধারা, পিআরবি বিধি ৩১৬। এসময় কার্যবিধি’র ধারা ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ১০২, ১০৩ ও পিআরবি বিধি ২৮০ অনুসরণ করতে হবে। মৎস রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ৬ ধারা।
৫। জাটকা ইলিশ মাছ ও বিক্রয়ের সরঞ্জাম জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করব। কার্যবিধি’র ধারা ১০৩(২), পিআরবি বিধি ২৮০।
৬। বিষয়টি মোবাইল ফোনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব। কার্যবিধি ১৫০ ধারা, পিআরবি বিধি ১২০।
৭। নিষিদ্ধ জাটকা ইলিশ বিক্রয়ের বিষয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচারের জন্য উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুরোধ জানাব। কার্যবিধি ১৫০ ধারা, পিআরবি বিধি ১২০।
৮। ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাঁর নিকট আসামী ও আলামত উপস্থাপন করে পুরো বিষয়টি খুলে বলব।
৯। ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপরাধীকে কারাদন্ড সাজা প্রদান করলে তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ মোতাবেক পুলিশী পাহারায় জেলা কারাগারে প্রেরণ করব। মৎস রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ৫ ধারা। কার্যবিধি’র ধারা ৬১, পিআরবি বিধি ৩২৪।
১০। জব্দকৃত জাটকা ইলিশ ও বিক্রয় সরঞ্জামের বিষয়ে নিষ্পত্তির জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা অনুসরণ করব। পুলিশ আইনের ২৩ ধারা।
১১। থানায় ফিরে এসে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদানের বিষয়ে পুনরায় জিডিতে নোট দিব। কার্যবিধি ১৫৪, ১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা, পিআরবি বিধি ৩৭৭।
১২। ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবহিত করব। কার্যবিধি ১৫০ ধারা, পিআরবি বিধি ১২০